রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বদলে যাবে উত্তর দিগন্ত

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে হবে

যানজটে অচল ঢাকায় কিছু ফ্লাইওভার, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), মেট্রোরেল বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান তার অগ্রগতি যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। ঢাকার সঙ্গে যানজটকবলিত গাজীপুর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার দ্রুত ও সহজ যোগাযোগের জন্য এগিয়ে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। ২০১২ সালে প্রকল্পটি ২ হাজার ৪০ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হলেও ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হলেও সার্বিক অগ্রগতি মাত্র ৪২ ভাগ। ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-গাজীপুরের সাড়ে ২০ কিলোমিটার পথে যাতায়াত করা যাবে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টায়। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় যাতায়াত অনেক স্বচ্ছন্দের হবে। গণপরিবহনে যোগ হবে নতুন মাত্রা। বদলে যাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাতায়াতে নিত্যদুর্ভোগের চিত্র। বিআরটি রুটে বিদ্যমান মহাসড়কের ওপর দিয়ে পৃথক লেনে দুই দিক থেকে ১০০ আর্টিকুলেটেড (জোড়া) বাস প্রতি ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। করোনার ধকল কাটিয়ে এখন পুরোদমে কাজ চলছে বিআরটি প্রকল্পের। এটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), সেতু কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। সাড়ে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঢাকা-গাজীপুর বিদ্যমান সড়কের মাঝবরাবর নির্মাণ হচ্ছে বিআরটির রুট। প্রকল্পে রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার ও সেতু। জলজট নিরসনে প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ধীরগতি ও দ্রুতগতির যানবাহন চলাচলে থাকবে পৃথক লেন। জনবহুল নগরগুলো কার্যকর পরিবহনব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন বিআরটি প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেই যাত্রী ও পরিবহন সেবায় সুফল বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর