শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার সঙ্গে বসবাস

শাইখ সিরাজ

করোনার সঙ্গে বসবাস

বাংলাদেশে প্রথম কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ, ২০২০। সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। অনেকের মতো সেদিন থেকে বাসায় অবস্থান করি। মোটামুটি বাসা থেকেই সারতে থাকি অফিসের কাজকর্ম। ফোনে আর অনলাইনে সর্বক্ষণ ব্যস্ততা। একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৬, সবাইকে নিয়েই শঙ্কা। তাদের কথা ভেবে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত ছিলাম। যেহেতু সরকার কার্যত লকডাউন কখনো ঘোষণা করেনি, বাংলাদেশের মানুষও করোনাকে সেভাবে ভয় পায়নি। অল্প দিন পরই সব স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকল। মানুষ করোনাকে ভয় না পেলেও করোনা থেমে থাকেনি। ঠিকই অসংখ্য মানুষ সংক্রমিত হয়েছে, মৃত্যুও ঘটেছে অনেকের। আমি যখন এ লেখা লিখছি তখন সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে মোট শনাক্তকৃত সংক্রমিত রোগীর ৫ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ঘটেছে ৭ হাজারের বেশি। সারা বিশ্বে সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ৮ কোটি। এর মধ্যে মারা গেছে ১৭ লাখের ওপর। করোনা যেমন সারা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছে, তেমনি আমরাও বুঝতে পেরেছি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবস্থা। যদিও সরকার খুব দক্ষ হাতে করোনা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে, তবে আমরা দেখেছি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে রোগীদের ছুটে গিয়েও চিকিৎসা না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে ঢের। যাই হোক, আমি আজ কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখে লিখছি।

করোনা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছিল। প্রথমে দূরের পরিচিতজনরা আক্রান্ত হয়েছেন এমন খবর এলেও খুব অচিরেই আমার অফিসের কলিগদেরও করোনা সংক্রমণের খবর পেতে থাকলাম। এমন এক অসুখ যে অসুস্থের পাশে যাওয়ার উপায় নেই। দূরে থেকেই ফোনে ফোনে যতটুকু সাহায্য করা যায়, যতটুকু সাহস আর ভরসা দেওয়া যায়, দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সর্বনিম্ন জনবল দিয়ে অফিসের কাজকর্ম পরিচালনার ব্যবস্থা নিলাম। ট্রান্সমিশন বিভাগ, সংবাদ বিভাগসহ একেবারেই যাদের অফিসে আসার বিকল্প নেই তাদের ছাড়া অধিকাংশের হোম অফিসের ব্যবস্থা করলাম। তার পরও করোনা দাবিয়ে রাখা কঠিন হয়ে উঠল। পরিচিত অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন। অনেক পরিচিত মানুষ করোনার থাবায় চলে যাচ্ছেন পৃথিবী ছেড়ে এমন সংবাদ বাড়ছিল দিন দিন। কত দিন আর ঘরে বন্দী থাকা যায়! স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম। অনুষ্ঠান ধারণের কাজে একটু আধটু বাইরেও যেতে হচ্ছে। আগেই বলেছি আমার একান্নবর্তী পরিবারের সংসার। ছোট ভাই মিরনকে অফিসে যেতে হয় প্রতিদিন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত সাবধানে অফিসে যাওয়া-আসা করছিল তার পরও ১২ নভেম্বর কীভাবে যেন কভিড আক্রান্ত হয়ে গেল। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঘরেই আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা চলতে থাকল তার। ১৫ নভেম্বর রাতে আমার ছোট ছেলে আশিক সিরাজ বিজয়ের জ্বর এলো। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হলো। এখন জ্বর মানেই ভয়, করোনা নয় তো! বিজয় লেখাপড়া শেষে সবে একটা চাকরিতে জয়েন করেছে। তাকেও অফিসে যেতে হয় প্রতিদিন। কে জানে সেও করোনায় সংক্রমিত হলো কিনা! পরদিন সকালে বন্ধু ফয়জুর রহমান বকুলের ডিএমএফআর মলিক্যুলার ল্যাব থেকে লোক এনে বাসার সবার করোনা টেস্ট করানো হলো। আমাদের সবার রেজাল্ট নেগেটিভ এলেও বিজয় পজিটিভ। ঘরেই তাকে আইসোলেশন করা হলো। ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা চলল। এর মাঝে আমার বড় ভাইও জ্বরে আক্রান্ত হলেন। তিনিও করোনাক্রান্ত। স্টেরয়েড দিতে হলো বিধায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমার বড় ভাই মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, ছোট ভাই মিরন এবং ছোট ছেলে বিজয় কভিড থেকে সেরে উঠেছে। কিন্তু ঠিক ওই সময়টাতে অর্থাৎ ১২ নভেম্বরে খবর এলো আমার স্ত্রীর বড় ভাই আবুল হোসেনও করোনায় আক্রান্ত। তাঁকেও বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছিল। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে আইসিইউ খালি না পাওয়ায় শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকল। কিন্তু প্রতিদিন তাঁর আইসিইউর খরচ আসতে থাকল লাখ টাকার ওপর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি মুহূর্তের তাগিদ বিল পরিশোধের। প্রথম কয়েক দিনেই তাদের হাতের সব টাকা জমা হয়ে গেল হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে। একদিকে তাদের স্বজন মৃত্যুসজ্জায় আরেকদিকে রাত পোহালেই লাখ টাকা বিল! এ দুয়ের টানাপোড়েনে একটা পরিবার কেমন বিপর্যস্ত, তা দেখেছি চোখের সামনে। আত্মীয়স্বজন যার যা অবস্থান থেকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। তবে বিলের বোঝা বাড়তে থাকল তার চেয়ে বেশি গতিতে। ১৪-১৫ দিনে হাসপাতাল নিয়ে গেল ১৭ লাখ টাকা! লাখ লাখ টাকা হাসপাতালের কোষাগারে জমা হচ্ছে, আইসিইউর বাইরে থেকে ছেলেমেয়েরা দেখছে তাদের বাবাকে, কিন্তু বাবাকে বাঁচাতে এত টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা তারা জানতে পারছে না। তখন ওদের মতো আইসিইউতে থাকা রোগীর স্বজনদের মনে প্রশ্ন আসে- এত টাকা খরচ কোথায় হচ্ছে? কিন্তু জিজ্ঞেস করার পরিস্থিতি থাকে না, পাছে রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হয়। শুনেছি এমন চিত্র অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেরই। চিকিৎসার জন্য যখন একজন রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা হাসপাতালে যান তখন তাদের একটি মাত্র চাওয়াই থাকে, যে কোনো উপায়ে সেই স্বজন যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই স্বজনের সুস্থতার বিনিময়ে সর্বস্ব দিয়ে দিতেও কাপর্ণ্য করেন না। সাধারণ মানুষের এ দুর্বলতাকেই পুঁজি করে অনেক ডাক্তার ও হাসপাতাল নিঃস্ব করে দিচ্ছে অনেককে। যাই হোক, ওই হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না। আমি আমার বন্ধুতুল্য স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান সাহেবকে ফোন দিলাম। তিনিও কয়েক দিন আগে করোনায় তাঁর স্ত্রীকে হারিয়েছেন। তাঁকে বিস্তারিত জানিয়ে অনুরোধ করলাম, একটা সরকারি হাসপাতালে আবুল হোসেন ভাইয়ের চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য। তিনি তৎক্ষণাৎ শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউয়ে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। এ কারণে তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমার সম্বন্ধী সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১৩ ডিসেম্বর ফজরের নামাজ পড়ে শুয়ে ছিলাম, সকালে শাহানার কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙল। তার ভাই মারা গেছেন। তাঁকে আর বাঁচানো গেল না।

আমরা বিজয়ের ৫০ বছর উদ্যাপন করছি। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সামাজিক উন্নয়নের যেসব মাপকাঠি আছে সেগুলোয় আমাদের দারুণ অগ্রগতি। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত কতটুকু উন্নত? প্রশ্ন ওঠে- দেশের সাধারণ মানুষ কী ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে? কতটুকু সেবা পাচ্ছে?

আমি প্রায়ই শুনি, একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে অনন্যোপায় হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জমি-বাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা খরচ দেয় ঠিকই কিন্তু বাড়ি ফেরে স্বজনের লাশ নিয়ে। এ রকম ঘটনার খবর প্রতিনিয়তই পাচ্ছি। আমাদের দেশের উচ্চবিত্ত রোগীরা থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর বা অন্য কোনো উন্নত দেশে চিকিৎসা নিতে চলে যায়, নিম্নমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত রোগীদের বড় একটা অংশ চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যায়। অর্থাৎ চিকিৎসার জন্য বিশাল পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি মানুষের আস্থা নেই কেন? এ বিষয়গুলো নিয়ে টেলিভিশন-পত্রিকায় আলাপ-আলোচনা হয়। বিষয়গুলো সবাই জানি। কিন্তু এ সমস্যাগুলোর সমাধান কেন হচ্ছে না?

পত্রিকা ঘেঁটে দেখলাম স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ ও মানের সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ পেছনে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর বৈশ্বিক মূল্যায়নে ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একটি জরিপ দেখলাম। তারা বলছে প্রতি বছর বাংলাদেশের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ বেসরকারি খাতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাণিজ্য। একদিকে সরকারি চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ নেই। ফলে বাধ্য হয়েই খরচ বেশি হলেও বেসরকারি চিকিৎসাসেবার নিতে ছুটছে সাধারণ মানুষ। আর নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আমি যত দূর জানি কভিডকালীন আইসিইউ, অক্সিজেন/ঘণ্টা/লিটার ইত্যাদির সব হিসাব নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি অনেক হাসপাতাল সেগুলো মানছে কি? রোগীর চিকিৎসা খরচ নিয়ে হাসপাতালগুলো ততটা স্বচ্ছ নয়। এ বিষয়টি ইতিমধ্যে অনেক পত্রপত্রিকায়ও উঠে এসেছে। মনে পড়ছে ২০১৫ সালে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলাম কাজ করতে। একদিন কাজ শেষে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যাই আমরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের গাইড হানেকে ভান হুফ এবং হেলেন রুহি। খেতে খেতে তাদের সঙ্গে নানান বিষয়ে গল্প হচ্ছিল। দেশ, জনসংখ্যা, উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে কথায় কথায় আমি তাদের বলছিলাম আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, কমেছে শিশুমৃত্যু হারও। তখন ওদের বললাম আমাদের এখানে প্রসবকালীন সিজারিয়ান অপারেশনটাই বেশি হয়। আমরা যেটা সিজারিয়ান বলি, ওরা বলে সি-সেকশন। এ কথা শুনে একরকম আকাশ থেকে পড়ল ওরা। কারণ নেদারল্যান্ডসে বিশেষ কোনো জরুরি কারণ ছাড়া সি-সেকশন বা সিজারিয়ান করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এ কাজটি তখনই করতে হয় যখন রোগীর অবস্থা হয় বিশেষ সংকটাপন্ন। আর যদি কোনো চিকিৎসক এটি করেন বিনা কারণে তাহলে জেল-জরিমানাও গুনতে হয়। আমাদের এখানে যে হামেশাই এ কাজটি চলছে রীতিমতো প্যাকেজ মূল্যে এ বিষয়টি শুনে ওরা বেশ ব্যথিত হয়েছিল সেদিন।

লেখাটি লিখতে গিয়ে বারবার সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কথা মনে পড়ছে। মন্ত্রী থাকাকালে আমার ‘কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠানটিতে বলতে গেলে সবচে বেশি আগ্রহ নিয়ে যেতেন তিনি। এমনকি এই ৮৭ বছর বয়সে তাঁর সেই আগ্রহ একই রকম আছে। স্যারের সঙ্গে নানা বিষয়ে গল্প হতো, অনুষ্ঠান ধারণ করতে আসা-যাওয়ার পথে। ২০১৯ সালে নাটোর যাওয়ার সুযোগ হলো ট্রেনে। লম্বা পথ। নানান বিষয় নিয়ে কথা হলো। সেবার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে বেশ লম্বা কথা হয়। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির তুলনায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে না পারার আক্ষেপ জানালেন বারবার। তবে তাঁর একটা ধারণা যথেষ্ট আশাবাদী করে তুলেছিল আমাকে। ইউনিভার্সেল পেনশন স্কিম ও ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ। পাঠক ভেবে দেখুন কত মহৎ উদ্যোগ হতে পারত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় আমরা জানি নাগরিকরা হাসপাতালে যান, চিকিৎসা নেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বিল পে করে, গ্রাহক তা ধীরে ধীরে শোধ করে। ১৯৮৯ সালে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের বাইপাস অপারেশনের প্রয়োজন হয়। তখন মালয়েশিয়ার চিকিৎসাব্যবস্থা তত উন্নত ছিল না। মন্ত্রী-আমলা সবাই চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যেতেন। মাহাথিরকেও দেশের বাইরে নেওয়ার উদ্যোগ হয়। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে রাজি হননি। ফলে দেশের হাসপাতালেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর সুস্থ হয়ে তিনি চমৎকারভাবে ঢেলে সাজান মালয়েশিয়ার চিকিৎসাব্যবস্থা। যার কারণে মালয়েশিয়া এখন চিকিৎসাব্যবস্থায় অনেক এগিয়ে এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাও ওই দেশে হচ্ছে।

আমরা জানি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও দেশেই চিকিৎসাসেবা নেন। সবশেষে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ে তাঁর সুপরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা উন্নীতকরণের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজ করা ছাড়া আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।  

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর