রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

হুমকিতে খাদ্য কর্মসূচি

দ্রুত আমদানির উদ্যোগ নিন

জরুরি ও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশে ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল মজুদ থাকা প্রয়োজন। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ মজুদ কার্যকর ভূমিকা রাখে। লক্ষ্য অনুযায়ী খাদ্য সংগ্রহ করতে না পারায় এ বছর হুমকিতে রয়েছে সরকারের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি। চলতি অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিসেম্বর-জুন মেয়াদে প্রায় ১৩ লাখ টন খাদ্যের প্রয়োজন। গুদামে মজুদ আছে মাত্র সাড়ে ৭ লাখ টন। জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তত ১০ লাখ টন খাদ্য আমদানির কথা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেড় লাখ টন খাদ্য আমদানি চুক্তির কথা রয়েছে। এ ছাড়া জি টু জি পদ্ধতিতে ভারত থেকে চাল আনার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে খাদ্য ব্যবহার হয়। আর এ খাদ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ডিসেম্বর-জুন প্রান্তিকে। এ সময় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় অবকাঠামো প্রকল্পের গতি বাড়ে। ফলে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাল-গম দরকার হয়। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব চাল আমদানির উদ্যোগ প্রয়োজন। করোনার কারণে নতুন করে অনেক লোক দরিদ্র হয়েছে। খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় তাদের অনেকে কিনে খেতে পারবে না। এদের জন্য সরকারের ভিজিএফ, ভিজিডি, ওএমএসসহ নানা কর্মসূচি নিতে হচ্ছে। আর এ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দ্রুত খাদ্য আমদানি করতে হবে। সরকারের আমদানি প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত হবে তত বেশি অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে। তখন দাম আরও বাড়িয়ে সুযোগ নেবে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমদানির ক্ষেত্রে কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর