বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতি

পুষিয়ে নিতে চাই বাড়তি উদ্যোগ

শিক্ষা-দীক্ষা জাতীয় উন্নতির প্রধান হাতিয়ার। এ হাতিয়ারের অধিকারী জাতিগুলো নিজেদের উন্নয়নের শিখরে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে জাতীয় অগ্রগতির স্বার্থে। কিন্তু করোনার কারণে গত নয় মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ ক্ষেত্রে জাতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পরিমাপ করাও কঠিন। মানুষের জীবনের দাম সবকিছুর চেয়ে বেশি। ওই মহাসত্য সামনে রেখেই করোনা মহামারীকালে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী থেকে শুরু করে সব পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে অটো পাস দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতেও দেওয়া হয়েছে অটো প্রমোশন। স্বীকার করতেই হবে করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। এ অবস্থায় নতুন বছরে শিক্ষায় গতি ফিরিয়ে আনাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি নির্ধারিত আছে। শিক্ষায় গতি ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আভাস দিয়েছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে জুনে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। আশা করা যায় করোনার থাবা থামানো সম্ভব হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। নয়-দশ মাসের ক্ষতি পোষাতে নেওয়া হবে বাড়তি উদ্যোগ। প্রয়োজনে ছুটি কমিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। আজকের যুগ হলো প্রযুক্তির। বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তি এ যুগের অগ্রযাত্রার হাতিয়ার। ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনোভাবে পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। জাতীয় অগ্রগতির স্বার্থেই করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সরকার শুধু নয়- ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।

সর্বশেষ খবর