শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মাথার ওপরের বিশাল ছায়াটি সরে গেল

শাইখ সিরাজ

মাথার ওপরের বিশাল ছায়াটি সরে গেল

মাকে হারিয়েছি ১৫ বছর আগে। তারও আগে বাবাকে। মা যখন ছিলেন তার ছায়ায় ছিলাম। মা না থাকলে পৃথিবীটা কেমন হতে পারে আগে কখনো চিন্তা করিনি। মা যেদিন চলে গেলেন বুঝলাম মাথার ওপর থেকে কি বিশাল ছায়া সরে গেল। একজন মানুষের জীবন গড়ে ওঠে অনেক মানুষের মমতায়। পূর্ণতা পায় বহু মানুষের ভালোবাসায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমি আমার মায়ের মমতা আর বাবার আদর্শিক জীবনের সান্নিধ্যে থেকেও একরকমের বহির্মুখী মন নিয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু মাতৃস্নেহ ঠিকই সব সময় পেয়েছি। এটি হয়তো আমার মায়েরই দোয়ার বরকতে। বলতে চাইছি আমার জীবনের আরেকজন মায়ের কথা। তিনি আমার খালাম্মা। রাবেয়া খাতুন। বিখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে যতটা না দেখেছি তাঁকে পেয়েছি মাতৃস্নেহের আরেক উৎস হিসেবে। তাঁকে পাই ’৭০-এর দশকের মাঝামাঝি। তখন আমার বয়স বিশের কোঠায়। আমি আর সাগর টেলিভিশন করি, খাবারদাবার রেস্টুরেন্ট চালাই, ইউনিভার্সিটিতে যাই। সম্পর্কের সূত্রটা আমার বন্ধু পারভেজের (আবদুর রশীদ মজুমদার) মাধ্যমে। পারভেজ আমার নটর ডেম কলেজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। বাসাবোয় ওদের বাসা। তখন আমার বন্ধু বলতে প্রধানত সবাই কলেজবন্ধু। সাগরও আমাদের কলেজবন্ধু। বাসাবো মাঠের পাশে একটি বিল্ডিংয়ের চার তলায় সাগরদের বাসা। পারভেজের মাধ্যমে সাগরের সঙ্গে পরিচয়। পারভেজের ছোট ভাই বাবু (আবদুল মুকিত মজুমদার)। ওই সূত্র ধরেই একদল বন্ধু হয়ে যাই। তখন থেকে আমরা বন্ধুরা একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছি।

সাগরের সঙ্গে অনেক কিছুতে জড়িয়ে যাই। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হামদর্দ ল্যাবরেটরির পাশে খাবারদাবার পিঠাঘর চালানোর দায়িত্ব নিলাম আমি আর সাগর। সন্ধ্যা হতেই গোটা এলাকা হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। তখন ফুটপাথের ব্যবসাও রমরমা হয়নি। আমাদের হোটেল মূলত দুপুরে জমে উঠত। কিন্তু আমরা রাত ৯টা-১০টা পর্যন্ত খোলা রাখতাম। তখন অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হতো। যতটা খিচুড়ি রান্না হতো আমাদের লক্ষ্য থাকত পুরোটা বিক্রি করে ঘরে ফেরা। হয়তো ৮ কেজি চালের সর্বমোট ৬৪ প্লেট খিচুড়ি করা হয়েছে। এক-দুই প্লেট খিচুড়ি অবশিষ্ট রেখেও আমরা আগেভাগে হোটেল বন্ধ করতাম না। অপেক্ষায় থাকতাম যদি শেষাবধি দু-একজন কাস্টমার আসে। ভোরে উঠে ঠাটারীবাজারে হোটেলের বাজার করা দিয়ে দিন শুরু করে রাত ৯টা-১০টায় যখন হোটেল বন্ধ করতাম তখন গোটা এলাকায় মধ্যরাতের নীরবতা। ওই সুনসান পরিবেশে আমি আর সাগর হেঁটে স্টেডিয়ামের ভিতর দিয়ে শিল্প ভবনের পাশ হয়ে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে আসতাম। কখনো দু-একটি রিকশা পাওয়া যেত, কখনো যেত না। রিকশা পেলে সাগরের সঙ্গে ওদের বাসাবোর বাসায় চলে যেতাম। খালাম্মা তখন জেগে থাকতেন। দেখতাম, হয়তো টেবিলে বসে লিখছেন। দিনের পর দিন সাগরের বাসায় এত বেশি যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়াসহ সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতাম যে খালাম্মার চার সন্তানের সঙ্গে আমাদের অন্য বন্ধুরাও সন্তানতুল্য হয়ে উঠেছিল। সেই মমতা, ভালোবাসা কিংবা মনোযোগ সবই আমরা পেয়েছি। শুক্রবার হলে সাগরের বাসায় আড্ডা জমত। সেদিন আমাদের সব বন্ধুর ঠিকানা হয়ে উঠত সাগরদের বাড়ি। আমি, আফজাল, ফরীদি, পারভেজ, বাবু, ইফতেখার, মিলন, জুবায়ের (প্রয়াত), পাভেলসহ সবাই থাকতাম ওই আড্ডায়। কেকার (কেকা ফেরদৌসি, সাগরের ছোট বোন) ছোটবেলা থেকেই ছিল রান্নার হাত। অসাধারণ সব খাবার ও তৈরি করত। খালাম্মার স্নেহ আর প্রশ্রয়, বন্ধুদের তুমুল আড্ডা আর কেকার হাতের খাবার আমাদের জন্য ছিল দারুণ প্রাপ্তির ব্যাপার। যত দূর মনে পড়ে কেকার প্রথম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে মাশরুমের রেসিপি তৈরির ওপর। সে সময় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ দেশে কেবল শুরু হয়েছে ভারতের জিটিভি। সেখানে একটি রান্নার অনুষ্ঠান হতো। ওই অনুষ্ঠানের সেটটি ছিল অনেকটা কেকার শ্বশুরবাড়ি মানে বাবুদের বাড়ির কিচেনের মতো। কিচেন কেবিনেট থেকে শুরু করে অন্য আসবাবগুলো ছিল ওই অনুষ্ঠানের মতো সুসজ্জিত। ওই কিচেনে আমরা রেকর্ড করেছিলাম কেকার অনুষ্ঠান। আমাদের সবকিছুর মধ্যে বন্ধুরা ছিল সর্বাগ্রে। এ কারণেই প্রতিটি কাজ আমরা সবাই মিলেই উপভোগ করতাম। আমি তখন থেকেই দেখেছি খালাম্মাও আমার কাজগুলো বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেন। এ নিয়ে নিয়মিত খালাম্মার সঙ্গে কথাবার্তাও হতো। তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইতেন তরুণ প্রজন্মের সে সময়ের প্রবণতাগুলো। তার লেখনীতে বিষয়গুলো উঠে আসত।

খালাম্মার সঙ্গে আমার ছিল দারুণ ঘনিষ্ঠতা। আমি দেখেছি খালাম্মা যে কথাগুলো সাগরকে সরাসরি জিজ্ঞেস করছেন না সে কথা হয়তো আমাকে বলছেন। খাবারদাবার হোটেলের বিষয়, সংসারের নানা বিষয়, টেলিভিশনের বিষয়। তখন সাগর কঠিন পরিশ্রম করে সংসারের সব এক হাতে সামলাচ্ছে। কেকা, কাকলি ও মহারাজের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব। সাগরের উপার্জন বলতে হোটেল ও টেলিভিশন থেকে যা আসে। সবকিছু চলেছে ঠিকঠাক। কেউ কোনো টানাটানির কথা শুনতে পায়নি। কখনো কখনো খালাম্মা শেয়ার করতেন। সাগরের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টাকে গর্ব, ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে উপলব্ধি করতেন। আমি বুঝতাম।

সাগরও সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি কতটা যে মনোযোগী ছিল তাও দেখেছি অবাক বিস্ময়ে। সে সময়ের কথা। রাতে যখন আমরা হোটেল বন্ধ করে ফিরতাম রিকশায় সারা দিনের নানা কথা উঠত। হঠাৎ হয়তো সাগর বলে উঠত, আম্মার জন্য যে ওষুধ কিনেছি তার দাম বলবে ১০ টাকা। হয়তো ওষুধের দাম ৫০ টাকা। জানতে চাইতাম কেন? সাগর বলত ওষুধের দাম বেশি জানলে আম্মা নাও খেতে পারেন। তার মানে খালাম্মা যাতে কোনোভাবেই অর্থচিন্তা করে ওষুধ খেতে অনিচ্ছা প্রকাশ না করেন সে কারণেই সাগর এ কৌশল নিত। সাগর এভাবেই নীরবে মায়ের মন বুঝে সবকিছু অন্যরকমভাবে অনুসরণ করে গেছে। খালাম্মাকে বারবার চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাঁর ভালোলাগার বিষয়গুলো উপলব্ধির চেষ্টা করেছে। আকস্মিক ইচ্ছা পূরণ করে অবাক করেছে। সাগরের এ অভ্যাস শুধু খালাম্মার ক্ষেত্রেই নয় বন্ধুবান্ধব সবার ক্ষেত্রে। সে মুগ্ধ করতে ভালোবাসে। অবাক করে দেওয়াটা তার প্রিয় একটি কাজ।

আমরা সবাই দল ধরে বেড়াতে যেতাম। একবার খালাম্মাসহ সাগরদের সবাই, আমি ও অন্য বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার গেলাম। জীবনে সেই প্রথম কক্সবাজার যাওয়া। তখন কক্সবাজার যাওয়া মানে আজকের দিনে ইংল্যান্ড-আমেরিকা যাওয়ার মতো। হোটেল সায়মনে উঠলাম। আমার মনে আছে সেবারই প্রথম আমি রূপচাঁদা ফ্রাই খেলাম। সত্যি কথা বলতে, সেই প্রথম রূপচাঁদা দেখলাম। বড় বড় রূপচাঁদা গরম তেলে ভাজা ও খাওয়ার যে মজা তা উল্লেখ না করলে অপূর্ণ থাকবে। আগেই বলেছি আমার সঙ্গে সব সময় মায়ের স্নেহ ছিল। যেখানে খালাম্মা থাকতেন সেখানেই আমাদের মাথার ওপর একটি মমতার ছায়া থাকত।

আমাদের সবারই দিন বদলেছে। সাগরের পরিবারের সবাই, আমাদের বন্ধুদের সবাই সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। সাগর গণমাধ্যম, ব্যবসা, শিল্প-সংস্কৃতি, শিশুসাহিত্য সব ক্ষেত্রেই অসামান্য অবদান রেখে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দেখেছি সাগর যে মায়ের সন্তান সেই মায়ের প্রতি তার অতি যত্ন ও সদাসর্বদা মনোযোগ থেকে একচুলও সরে আসেনি। শত ব্যস্ততার ভিতরও মাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এটি সাগরের অনন্য একটি দিক। আমি দেখেছি খালাম্মাও সাগরের সব সময়ের পরিশ্রম, মায়ের প্রতি সেবা ও মনোযোগকে অন্যভাবে মূল্যায়ন করেছেন। একটি বিষয়ে খালাম্মার সঙ্গে আমার মিল আছে। খালাম্মা সবুজ রং পছন্দ করেন। সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি খালাম্মা সবুজ শাড়ি পরছেন। আমি জিজ্ঞাসাও করেছি। খালাম্মা বলেছেন এটি তাঁর পছন্দ। বাল্যবেলা থেকে সবুজের দিকেই মন সায় দিয়েছে। খালাম্মা একদিন বললেন, বীজ থেকে যখন কোনো গাছ বেরোয় সবুজ রঙেই বেরোয়। সবুজ রঙেই একটি গাছ প্রথম পৃথিবী দেখে। খালাম্মার ব্যাখ্যাটিও অসাধারণ। আমিও আমার পেশাগত জীবনে সবুজ (জলপাই সবুজ) রঙের শার্টই ভালোবেসে গেছি। দেখেছি দেশের কৃষকের সঙ্গে সবুজের গভীর সম্পর্ক। তারা সবুজ ফসলের মতোই সবুজ শার্টও ভালোবাসে। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার পেছনে সবুজ রঙের জাদুটিও লক্ষ্য করেছি।

খালাম্মা আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী শাহানাকেও খুব ভালোবেসেছেন। যখনই আমরা গেছি আপন মায়ের স্নেহ দিয়েই ছেলে আর পুত্রবধূর ভালোবাসায় আমাদের আবৃত করেছেন। আমার দুই সন্তান অয়ন-বিজয়ও পেয়েছে তাঁর আদর-ভালোবাসা। মাকে কাছ থেকে দেখার মতোই খালাম্মাকে দেখেছি। যে মানুষটিকে শুধু নিবিষ্ট মনে বহুদিনের পুরনো একই চেয়ার-টেবিলে বসে লিখতে দেখেছি, আশি পেরিয়ে তাতে যেন ছেদ পড়ে যায়। খালাম্মা লেখালেখি কমাতে কমাতে একসময় ছেড়েই দিলেন বলা যায়। আমি জিজ্ঞেস করেছি। বলেছেন আর লেখা হচ্ছে না। অনেক কিছুই লিখতে চাই। কিন্তু লেখা হচ্ছে না। খালাম্মা লেখার ব্যাপারে কারও সহযোগিতাও নিতে চাইতেন না। নিজেই কাগজে-কলমে গভীর অভিনিবেশ দিয়ে লিখতে ভালোবাসতেন। শেষের দিকে একদিন বাসায় গিয়ে দেখলাম সেই চেয়ার-টেবিল শূন্য। খালাম্মা বিছানায় বসে আছেন। আমাকে ওই চেয়ারটিতে বসতে বললেন। খুশি হয়ে নানা কথা শেয়ার করলেন। দেখলাম সৃষ্টিমগ্ন একজন মানুষ লেখালেখির বাইরে খুব বেশি ভালো থাকেন না। লেখালেখি করতে না পারার আফসোসটি তাঁর ছিল সব সময়।

খালাম্মা চ্যানেল আইতে আমার ঈদ অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ খুব পছন্দ করতেন। দেখা হলেই ঈদ আনন্দের গল্প করতেন। নানা কথা জানতে চাইতেন। তাঁর এ কৌতূহল ও ভালোবাসায় আমি দারুণ অনুপ্রাণিত হতাম। আমি মনে করি যাঁদের অনুপ্রেরণা আমাকে আমার কাজটি চালিয়ে যেতে শক্তি জুগিয়েছে খালাম্মার অনুপ্রেরণা সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খালাম্মার জন্ম বিক্রমপুরে। আড়িয়ল বিল নিয়ে তাঁর নানা স্মৃতি রয়েছে। আমি আড়িয়ল বিল নিয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছি। তখন খালাম্মা আড়িয়ল বিলের নানা প্রসঙ্গে বলেছিলেন। বলেছিলেন তাঁর এক স্কুলমাস্টারের কথা। তখন তিনি বেঁচে আছেন। আড়িয়ল বিলে তাঁরা কুমড়ার আবাদ করেন। আমি মৌসুমে কুমড়ার সেই প্রতিবেদন তুলে ধরেছিলাম। খালাম্মা দেখে খুব খুশি হন।

করোনার কঠিন সময়ে মৃত্যুর ব্যাপারটি যেন অন্য রকম। কত যে প্রিয় মুখ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিল! করোনার গত আট মাস খালাম্মা বাসায়ই ছিলেন। বন্ধু সাগর সুস্থতা-অসুস্থতার ভিতর দিয়ে মায়ের পাশাপাশি থেকেছে। সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে মা আর ছেলের। সাগর খালাম্মাকে রেখে বাইরে কোথাও বেশিদিন থাকতে পারেনি। করোনাকালে মাকে চোখে চোখে রেখেছে। ও বরাবরই খালাম্মার সামনে শিশুর মতো আচরণ করে এসেছে। গেল ২৭ ডিসেম্বর ছিল খালাম্মার জন্মদিন। সাগর যেভাবে মায়ের জন্মদিন পালন করে থাকে এবার বাসার ভিতরে হলেও জাঁকজমকপূর্ণভাবেই পালন করেছে। আমি আর আমার স্ত্রী ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা জানালাম খালাম্মাকে। বুঝিনি ওটিই খালাম্মার সঙ্গে শেষ কথা হবে। পরদিন সাগর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বাইরে গেল। ওর শরীরের অবস্থা নিয়েই আমরা বেশ চিন্তিত। তার ঠিক তিন দিন পরই খালাম্মা সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। মায়ের বিদায়ের সময় সাগর কাছে থাকল না। ওর জন্য বিষয়টি সহ্য করা বড় কঠিন ছিল। হয়তো নিয়তি এভাবে সব ঠিক করে রেখেছিল।

খালাম্মার স্মৃতি অনুপ্রেরণা সবই আমাদের জীবনের অনন্য পাথেয়। তাঁর কাছ থেকে যে সাহস ও উদ্দীপনা পেয়েছি, হাসিমুখের যে সরলতা দেখেছি তার ভিতরে অসামান্য এক জাদু ছিল। তাঁর চলে যাওয়ার পর কত শত ঘটনা যে মনে পড়ছে হিসাব নেই। শুধু মনে হচ্ছে, মাথার ওপরের বিশাল ছায়াটি সরে গেল। খালাম্মা বেহেশতবাসী হোন।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিচালক ও বার্তাপ্রধান

চ্যানেল আই।

সর্বশেষ খবর