সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সোনা চোরাচালান

কার কতটা দায় নিরূপণ হওয়া উচিত

এক সময় সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নাম। এ জন্য বিমানের একাধিক উড়োজাহাজ জব্দও করা হয়েছে। বিমানের ওপর কাস্টমস এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির কারণে সোনা চোরাচালানিদের পরিবহন হিসেবে এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস লিমিটেড। একের পর এক সোনা চোরাচালান ধরা পড়ছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট থেকে। সবশেষ মাসকাট থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট থেকে ৭ কেজি ২৯০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টম হাউস। এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর আগে গত বছর ১১ জানুয়ারি শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস থেকে ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। একই বছরের ৩১ জুলাই একই বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার যাত্রী বহনকারী গাড়ির চালকের কাছ থেকে ৩ কেজি ৭১২ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ১৭ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি সোনার বারসহ আটক হন ইউএস-বাংলার এক কর্মী। তার আগে ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমী। একই বছরের ২০ এপ্রিল প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ কেজি সোনা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ইউএস বাংলার দুটি ফ্লাইট থেকে ৮ কেজি ৭২৯ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে গড়ে প্রতি একশ সোনা চালানের বড় জোর এক বা দুটি চালান ধরা পড়ে। বিমান সংশ্লিষ্টদের সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কোনোভাবেই সোনা চোরাচালান সম্ভব নয়। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংস্থাকে আড়াল করে সোনা চোরাচালান কঠিন। এ প্রেক্ষাপটে সোনা চোরাচালান ইউএস-বাংলার দায় কতটুকু তা নিরূপণেও তদন্ত হওয়া উচিত।  অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর