দুনিয়াজুড়ে চেইন সুপারশপগুলো মানসম্মত পণ্য বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দামে ভোক্তাদের পণ্য সরবরাহের চেষ্টাও করে তারা। চেইন সুপারশপ থেকে মানহীন বা পচা নকল পণ্য উদ্ধার করার ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। বহির্দুনিয়ার পথ ধরে বাংলাদেশেও চালু হয়েছে একের পর এক চেইন সুপারশপ। এর সব না হলেও বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে রয়েছে বাহারি বিজ্ঞাপনের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ। বেশির ভাগ পণ্যেই সুপারশপগুলো ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করছে। হাতে গোনা কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয়, এগুলো বাজারমূল্যের চেয়েও কম দাম। এর বাইরে শত শত পণ্যের গলা কাটা দাম রাখা হয়। চটকদার বিজ্ঞাপন আর প্রতারণামূলক বিক্রয় কৌশলে অনেক সময় ভোক্তাদের ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়। নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অভিযোগ বেশির ভাগ সুপারশপের বিরুদ্ধে। বহুবার জরিমানা করার পরও বন্ধ হয়নি অনিয়ম। অতিসম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজধানীর শান্তিনগরে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য রাখায় জরিমানা করা হয় কয়েকটি সুপারশপকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ অভিযানে পচা মাছ, মাংস ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য রাখার অপরাধে জেল-জরিমানাসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হয় সুপারশপ-সংশ্লিষ্টদের। কথায় বলে চোরা নাহি শোনে ধর্মের কাহিনি। সুপারশপগুলোর একাংশের অবস্থা দাঁড়িয়েছে তেমনি। বারবার জরিমানার শিকার হওয়া সত্ত্বেও তাদের লোক ঠকানো অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটছে না। মানসম্মত পণ্যের জন্য সমাজের অবস্থাপন্ন যেসব মানুষ সুপারশপগুলোর দিকে যাচ্ছে তাদের অনেকেই ঠকতে বাধ্য হচ্ছে। জনস্বার্থেই সুপারশপগুলো কর্তৃপক্ষের তীক্ষè নজর রাখা জরুরি হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এগুলো যাতে মানহীন ও নকল-ভেজাল পণ্যের ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত না হয় তা দেখা তাদের কর্তব্য বিবেচিত হওয়া উচিত।