বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সামাজিক মাধ্যমে অসামাজিক প্রচার

মহিউদ্দিন খান মোহন

সামাজিক মাধ্যমে অসামাজিক প্রচার

বছরখানেক আগে আমার মেয়েটি হঠাৎ অসুস্থ পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে ওর রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোথায় রক্ত পাব এই ভেবে উদ্বিগ্ন হলাম। ফোনে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। কিন্তু কাক্সিক্ষত গ্রুপের রক্তের সন্ধান পেলাম না। শেষে শরণাপন্ন হলাম ফেসবুকের। রক্তের প্রয়োজনের কথা লিখে একটি স্ট্যাটাস দিলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্তত ১০ জন সাড়া দিল। তারা রক্ত দিতে প্রস্তুত। সেদিন ফেসবুক নামের এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির গুরুত্ব আমার কাছে ভিন্নরূপে ধরা দিল। শুধু সময় কাটানো বা বিনোদন নয়, ফেসবুক যে মানুষের জন্য একটি অতিপ্রয়োজনীয় যোগাযোগমাধ্যম তা উপলব্ধি করলাম। আরেকবার আমার ভাগনির জন্য রক্তের দরকার হলে আমি একই পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। শুধু আমি নই, এমন অনেকেই ফেসবুকের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। আজ মানুষের কাছে ফেসবুকের যে গ্রহণযোগ্যতা তার কারণ এ মাধ্যমটি মানুষকে সহজেই একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। কেউ কেউ অবশ্য বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের চেয়ে সামাজিক মাধ্যম বেশি শক্তিশালী এবং এর গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। কথাটি সর্বাংশে সত্য বা মিথ্যা বলা যাবে না। তবে সংবাদপত্র বা রেডিও-টেলিভিশনের চেয়ে ফেসবুককে আমার কখনই অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। না, আমি সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুকের গুরুত্বকে খাটো করে দেখছি না, অস্বীকারও করছি না। অবশ্যই এর গুরুত্ব রয়েছে। তবে তা কখনই সংবাদমাধ্যমের বিকল্প হতে পারে না। সংবাদমাধ্যমকে একটি নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। প্রতিটি সংবাদপত্রের আলাদা সম্পাদকীয় নীতি রয়েছে। কোন সংবাদ বা মতামতটি পত্রস্থ করা যাবে সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা স্মরণে রেখে সংবাদটি ছাপতে দেন। গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপ বলে একটি কথা চালু আছে। এর মর্মার্থ হলো দায়িত্বশীলতা। যিনি সংবাদটি লিখবেন, সম্পাদনা করবেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে যিনি সেটি ছাপার অর্ডার দেবেন তাকে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেতনভাবে তা করতে হয়। কেননা একটি ভুল সংবাদ সমাজে বা রাষ্ট্রে নানা অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে বিভ্রান্তি-বিশৃঙ্খলা। সংবাদকর্মীদের হাত-পা সব সময় নিজেদের বিবেকের কাছে বন্দী। অবশ্য স্বৈরশাসনের কথা আলাদা। ওই ধরনের শাসনামলে নানা ধরনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নির্দেশাবলি দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে গণতান্ত্রিক শাসনামলে সাংবাদিকরা নিজেদের বিবেকবোধ ও দায়িত্বশীলতার দ্বারাই পরিচালিত হন। ফলে সুযোগ থাকলেও কেউ যা খুশি তা সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে পারে না, রেডিও-টিভিতে প্রচার করতে পারে না। জবাবদিহির একটা ব্যাপার রয়েছে, যেটা মাথায় রেখেই সংবাদকর্মীদের কাজ করতে হয়। কিন্তু ফেসবুক তথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেলায় সেই দায়িত্বশীলতা বা জবাবদিহির কোনো বালাই নেই। অন্য দেশের কথা বলতে পারব না। তবে আমাদের দেশে এ মাধ্যমটির যে যথেচ্ছ ব্যবহার চলছে তা অস্বীকার করা যাবে না। ব্যবহার না বলে অপব্যবহার বলাই বরং শ্রেয়। এ অপব্যবহারের বিষয়টি সচেতন মানুষদের ইদানীং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলেছে। নানারকম অপপ্রচারের প্রধান মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ফেসবুক। একশ্রেণির লোক অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে এ মাধ্যমে এমন কথা লিখে প্রচার করে যা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কখনো কখনো তা শালীনতার সীমা অতিক্রম করে যায়।

মূলত এ মাধ্যমটির অপব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে এর জবাবদিহির অভাবের কারণে। তা ছাড়া এখানে সম্পাদনার বিষয়টি একেবারেই অনুপস্থিত। ফলে যে-যার মতো মন্তব্য-বক্তব্য লিখে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও তথ্যপ্রযুক্তি আইন বলে একটি আইন রয়েছে। তবে তার ব্যবহার-অপব্যবহার নিয়েও কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত এ আইনটির যেটুকু ব্যবহার হয়েছে তার সিংহভাগ হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে। অথচ একশ্রেণির মানুষ ফেসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে সময়ে সময়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, সম্মানীয় ব্যক্তিদের সম্মানহানি করছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার বা পূর্বশত্রুতার জেরে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রচার করে কারও চরিত্রহননের অপপ্রয়াসেও লিপ্ত হয়। একটি বিষয় লক্ষণীয়, যারা সামাজিক মাধ্যম তথা ফেসবুকে নানা ধরনের ভিত্তিহীন কথা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তারা কোনো গণমাধ্যমে তা করার সুযোগ পায় না। কারণ গণমাধ্যমের যে প্রচার-প্রকাশ নীতিমালা রয়েছে তার কারণে ওইসব অসম্পাদিত কথা কখনই প্রচার করা সম্ভব নয়। ফেসবুকের অপপ্রচার বহু হৃদয়বিদারক ঘটনারও জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ সেসব অপপ্রচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছে। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার থেমে নেই।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা বা দেশের আইনকানুন সম্বন্ধে অতটা জ্ঞাত নয় তেমন মানুষেরা সর্বজনীন এই মাধ্যমটির অপব্যবহার করলে একটা কৈফিয়ৎ খাড়া করা যায়। কিন্তু শিক্ষিত, আইন সম্বন্ধে অবগত ও নিজেদের যারা সমাজের বিবেকবান অংশের প্রতিনিধি দাবি করেন তারা যখন একই কাজে লিপ্ত হন তখন বিস্ময়ে বিমূঢ় হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। একজন অজ্ঞ ব্যক্তির অপরাধ প্রথমবার ক্ষমা করা যায়, কিন্তু যখন কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি সচেতনভাবেই কারও সম্মানহানি বা চরিত্রহননের অপপ্রয়াসে লিপ্ত হন তখন তাকে উপেক্ষা করার সুযোগ থাকে না। সম্প্রতি সংঘটিত একটি রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোড়ন। সেই মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছু ব্যক্তি একেবারে হামলে পড়েছে দেশের বৃহৎ একটি মিডিয়া হাউসের ওপর। দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প-বাণিজ্য গ্রুপের অর্থায়নে পরিচালিত ওই প্রিন্টেড ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য। ওই হাউসের একটি দৈনিক দেশের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত পত্রিকা। ওই মিডিয়া হাউসের অর্থায়নে পরিচালিত ছয়টি প্রতিষ্ঠানই মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি রহস্যময় সোচ্চার হয়ে উঠেছেন সেই ঘটনার সঙ্গে ওই মিডিয়ার কোনো কর্মী জড়িত নন। কিন্তু কিছু লোক ওই সংবাদমাধ্যমগুলোর সম্পাদক থেকে শুরু করে অন্য কর্মীদের কটাক্ষ করে আপত্তিজনক কথা বলেই চলেছেন। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তারা যে ওই মিডিয়া হাউসটির ওপর ক্ষুব্ধ তা তাদের কথাতেই স্পষ্ট। যে কজন ব্যক্তির কথা আমার নজরে এসেছে এখানে তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। বিবরণ থেকে অনেকেই তাদের ছবি কল্পনা করতে পারবেন।

তাদের একজন বহুল আলোচিত সম্পাদক। মিডিয়া জগতে নানান কীর্তিকাহিনির জন্য ইতিমধ্যেই খ্যাতি (?) অর্জন করেছেন। তার মধ্যে বড় কৃতিত্ব হলো তিনি যে পাতে খান সে পাত ফুটো করতে দ্বিধা করেন না। আর সেজন্যই কোথাও তার পাতিল কালো হয়নি। প্রতিটি কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। শোনা যায়, এক মালিক-প্রকাশকের সঙ্গে বিরোধ এতটাই চরমে উঠেছিল যে মালিক ভদ্রলোক এক রাতে তাকে পিস্তল নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন। উপায়ান্তর না দেখে ‘সাহসী’ সম্পাদক মহোদয় লুঙ্গি পরা অবস্থায় পেছনের দরজা দিয়ে দেয়াল ডিঙিয়ে পৈতৃক প্রাণ নিয়ে পগারপার হয়েছিলেন। এ কথা তিনি নিজেই তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন। সেই তিনি এখন লেগেছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকাগুলো এবং ওই মিডিয়া হাউসটির পেছনে। তিনি তার ফেসবুক পেজে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চেষ্টা করছেন, ওই হাউসের সম্পাদকরা সব মেরুদণ্ডহীন, তারা মালিকের সেবাদাস। বাংলাদেশের মিডিয়াকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, আর তা করতে হলে ‘স্বাধীন সম্পাদকদের’ কী করা দরকার এসব ওয়াজ-নসিহত করে চলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষার বিষয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। অথচ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জগতের কে না জানে তিনি যে নামসর্বস্ব কয়েকটি পত্রিকা ছাপেন সেগুলোয় কর্মরতরা ঠিকমতো বেতন পান না। এমনকি যারা তার পত্রিকায় লিখেন তাদেরও প্রাপ্য সম্মানি দেন না। সাংবাদিক ও মিডিয়ার দরদিজন বটে!

আরেকজন বেশ বড় মাপের সাংবাদিক। না, কাজকর্মে নয়। দৈহিক গড়ন ও উচ্চতায় তিনি বেশ বড়। তার ইতিহাস বড়ই চমকপ্রদ। একটি দৈনিকে কর্মরত অবস্থায় একটি যুদ্ধের নিউজ কভার করে তিনি স্বঘোষিত প্রথিতযশা সাংবাদিকে পরিণত হয়েছেন। অভিজ্ঞতা বলতে ওটুকুই। তারপর শুধু একের পর এক হাউস বদল। কোথাও বেশিদিন টিকতে পারেননি। তিনি অবশ্য বলে বেড়ান, মালিকপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় স্বেচ্ছায় চলে এসেছেন। তবে ভিতরের খবর যারা রাখেন তারা ভালো করেই জানেন তিনি কী কারণে বারবার বিতাড়িত হন। সেই তিনি দেশের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় দৈনিক পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘টয়লেট পেপার’। আর ওই মিডিয়া হাউসে কর্মরত সাংবাদিকদের বলেছেন মালিকের ‘পা-চাটা কুত্তা’। একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন তার ভাষা যে এতটা কদর্য হতে পারে তা ওই ব্যক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস না পড়লে জানতেই পারতাম না।

আরেকজন কোনো দিন কোনো বড় মিডিয়া হাউসে কাজ করেননি। তবে ভাবসাবে দেখান যে তার মতো জ্ঞানী সাংবাদিক এ দেশে আর একজনও নেই। সাংবাদিক মহলে তিনি ‘মহামতি সক্রেটিসের খালাতো ভাই’ হিসেবে পরিচিত। এই ব্যক্তির সঙ্গে দেশের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয়ে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। তাতে তার নৈতিক চরিত্রের যে পরিচয় পেয়েছি তা এখানে আর উল্লেখ করলাম না। সেই তিনি ওই মিডিয়া হাউসটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে ওই মিডিয়াগুলোর সম্পাদক ও সাংবাদিকরা কেন পদত্যাগ করছেন না তা নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। আমাদের বিক্রমপুরে একটি প্রবচন আছে, ‘যার পাতের তলায় গু, সে করে থু থু’। যার কারণে একাধিক সংসারে আগুন জ্বলেছে সে কি না অন্যের চরিত্র নিয়ে কথা বলে! ওই মিডিয়া হাউসটির সাংবাদিকরা সম্প্রতি ফেসবুকে একটি কমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তারা ওই মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে গর্বিত। এ স্ট্যাটাসও কারও কারও গাত্রদাহ সৃষ্টি করেছে। এ স্ট্যাটাস নিয়ে ওই লোকগুলো অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ট্রল করেছে। কেউ তার পেশা বা কর্মস্থল নিয়ে গর্বিত বোধ করতেই পারেন। তাতে অন্যদের গাত্রদাহ হবে কেন? এটা পেশাগত ঈর্ষাজনিত জ্বালা, নাকি পরশ্রীকাতরতা?

লক্ষণীয় হলো, ওই ব্যক্তিরা তাদের বক্তব্য-মন্তব্য কোনো পত্রিকার পাতায় তুলে ধরতে পারেননি। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য তুলে ধরার মতো কোনো সংবাদমাধমের আশ্রয় নিতে পারেননি। তাই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ফেসবুকের, যেখানে কোনো সম্পাদক নেই, সম্পদকীয় নীতিমালা নেই। যে যা খুশি লিখে আপলোড করে দিতে পারে। অনেকে বলেন, ফেসবুক তথা সামাজিক মাধ্যম নাকি এখন সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম। কিন্তু এটা যে কত বড় অসত্য তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে আমার পর্যবেক্ষণ হলো, এ প্ল্যাটফরমটির যথেচ্ছ অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চরিত্রহননে এটা এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে কেউ কেউ। এতে অবশ্য ফেসবুককে দোষ দেওয়া যায় না। কেননা আগ্নেয়াস্ত্র যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে থাকে তখন তা মানুষের জীবন রক্ষার কাজে ব্যবহার হয়। আর যখন তা দুর্বৃত্তের হাতে যায় তখন তা মানুষের প্রাণসংহারে ব্যবহার হয়। সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে অসামাজিক প্রচারের যে অশুভ প্রবণতা দিনে দিনে বিস্তার লাভ করছে, তার রাশ টেনে ধরার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

সর্বশেষ খবর