আফগানিস্তান দেশটির সঙ্গে আমার পরিচয় সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে-বিদেশে’ ভ্রমণ কাহিনি পড়ার মধ্য দিয়ে। বাদশাহ আমানুল্লাহ এবং তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া যখন দেশটিতে আধুনিকতা আরোপ করতে চেয়েছিলেন তখন কী ধরনের সামাজিক বিদ্রোহ এবং বিপত্তি দেখা দিয়েছিল বইটি পড়ে তার প্রাণবন্ত বর্ণনা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমার যতটুকু মনে পড়ে তাঁর দেশে-বিদেশে বইয়ে পড়েছিলাম আফগানিস্তান শব্দটি এসেছে ফারসি ফগান শব্দ থেকে। ফগান মানে বিলাপ, দীর্ঘশ্বাস। এখন পরিণত বয়সে মনে হয় আফগানিস্তানের ভাগ্য ফগান থেকে মুক্ত হওয়ার নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী আফগানিস্তান বিলাপ আর দীর্ঘশ্বাসের পাঁকে বাঁধা রইল। আফগানিস্তানের পরিস্থিতির বাস্তবতা দেখে মনে হয় পৃথিবীর কোনো শক্তি ফগানের বৃত্ত ভেঙে আফগান জাতিকে মুক্ত করতে পারবে না। আফগানিস্তানকে যখন যে শাসক কূপমন্ড‚কতা থেকে মুক্ত করতে গেছে তখন সেই শাসকের গদি ছিন্নভিন্ন হতে বেশি সময় লাগেনি। আফগানিস্তানে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্য নিয়ে বাদশাহ আমানুল্লাহ বাইরের অনেক দেশ থেকে ভালো শিক্ষক বাছাই করে তাঁর দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী তেমনই একজন শিক্ষক হিসেবে কাবুলে থাকাকালে বাদশাহ আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই বিদ্রোহের ঝাপটায় বাদশাহ আমানুল্লাহর আধুনিক আফগানিস্তান গড়ার স্বপ্ন হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। জাতি সংস্কারের সব আলো নিভে গিয়ে দেশটি ফের কূপমন্ড‚কতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দেখে মুজতবা আলী আবেগের বশে আফগানিস্তান শব্দের উৎস নিয়ে লোকবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। আফগানিস্তান শব্দের উৎস ভিন্ন কিছু এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার পরও এক শতাব্দী ধরে আফগানিস্তানের জ্বালা-যন্ত্রণা দেখে মনে হয় আফগানিস্তান শব্দের উৎস নিয়ে লোকবিশ্বাস ‘বিলাপ’ ও ‘দীর্ঘশ্বাস’ আফগানদের ললাটলিখন। আফগানিস্তানের দুর্ভাগ্য আফগানিস্তান কখনো রাষ্ট্র হিসেবে তার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পেল না। উনিশ শতকের শেষ দিকে আফগানিস্তান ব্রিটিশ শাসনে আসার পর দেশটি খুব বেশি দিন ব্রিটিশের কলোনি হিসেবে ছিল না। ১৯১৯ সালে দেশটি ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর ব্রিটিশ শাসকরা তখনো আফগানিস্তানকে বাফার জোন বলে ডাকত। একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সীমান্ত, আরেক দিকে ভারতে ব্রিটিশ কলোনি। মহাপরাক্রমশালী দুই বৈরী শক্তির মাঝখানে আফগানিস্তানের মর্যাদা নেহাতই বাফার জোন। পরাশক্তিগুলোর দাপে দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের নিজস্ব পরিচয় চিরকাল আড়ালে রয়ে গেল।
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে আফগানিস্তান খুব অল্প সময় মূল আফগানদের দখলে ছিল। আধুনিককালে ১৯৭৩ সালে জহির শাহকে হটিয়ে দাউদ খান ক্ষমতা দখল করে মসনদ চিরস্থায়ী করার মতলবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পা চাটতে নেমে পড়েছিলেন। এতে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯৭৯ সালে কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করে দাউদ খানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের কবলে পড়েছিল। এরপর আফগানিস্তানে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটতে শুরু করে। পুরো ইতিহাস বলতে গেলে একখানা মহাভারত হয়ে যাবে। তবু প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। সোভিয়েত আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সেখানে কোনো সভ্য শক্তি এগিয়ে আসেনি। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আফগানিস্তানে মধ্যযুগীয় বর্বর শক্তির উত্থান ঘটতে সময় লাগেনি। আফগানিস্তান থেকে রাশিয়াকে হটানোর জন্য মুজাহিদিনদের উত্থান। দেশটিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা একা একা জেঁকে বসেনি। আমেরিকানদের কাছ থেকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ নিয়ে মুজাহিদিনদের উত্থান ঘটেছিল। একসময় মুজাহিদিনদের হটিয়ে দিয়ে আরও ভয়ংকর তালেবানদের উত্থান ঘটল। তালেবানদের সঙ্গে এসে জুটল আল-কায়েদা নামের আরেক ভয়ংকর দানব। আল-কায়েদা নামের জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে এসে তালেবানদের সঙ্গে গলাগলি সখ্য পাতিয়ে দিনে দিনে জাঁকিয়ে বসে। মুজাহিদিন, তালেবান কিংবা আল-কায়েদা সবাই ইসলামের ধ্বজা উড়িয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছিল। দিনে দিনে আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের অবাধ চারণভূমিতে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সব সন্ত্রাসী তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আফগানিস্তানকে বেছে নিয়েছে। আল-কায়েদার নেতা আরবের নাগরিক ওসামা বিন লাদেনের কথা স্মরণ করে দেখুন। লাদেন এবং তার অনুসারীরা মূলত সৌদি আরবের বাসিন্দা ছিলেন। বিখ্যাত সাংবাদিক আবদেল বারি আটোয়ানের লেখা ‘হিস্টোরি অব আল-কায়েদা’ পড়লে দেখা যায় ওসামা বিন লাদেনের যুদ্ধ ছিল সৌদি রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে। বিবাদের কারণ ছিল তাদের সহায়সম্পদ ভাগবাটোয়ারা। ওসামা বিন লাদেনের বাবা আওয়াদ বিন লাদেন ঠিকাদারি করে অঢেল সম্পদ অর্জন করে অর্ধশতাধিক ছেলেমেয়ে রেখে যখন মারা যান তখন তাদের সম্পদ নিয়ে পরিবারের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। সৌদি রাজ পরিবার আওয়াদ বিন লাদেনের সম্পত্তির ওছি নিযুক্ত থাকায় ওসামা বিন লাদেন সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সৌদি রাজ পরিবারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। স্রেফ পারিবারিক মালিকানা নিয়ে বিবাদ-বিসম্বাদের সূত্র ধরে ওসামা বিন লাদেন পুরোপুরি সন্ত্রাসী হয়ে উঠলেন। সত্যিকার অর্থে ওসামা বিন লাদেনের পারিবারিক সম্পত্তির লড়াই কেমন করে ইসলামের লড়াইয়ে রূপান্তরিত হয়ে গেল তা আমার কাছে এক বিশাল বড় ধাঁধা। নব্বইয়ের দশকে লাদেন গোষ্ঠী যখন তালেবানদের সঙ্গে গলাগলি শুরু করল তখন লোকজন একে আমেরিকার কোনো নতুন খেলা বলেই বিশ্বাস করত। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের আক্রমণের ফলাফল হিসেবে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করল। অথচ ইতিহাসের কী পরিহাস! প্রকৃত সত্য বোধ হয় মানুষ এত দিনে বেমালুম ভুলে গেছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, আমেরিকার টুইন টাওয়ার আক্রমণের সঙ্গে একজন আফগানও যুক্ত ছিল না। টুইন টাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেন সৌদি আরবের নাগরিক। টুইন টাওয়ারে আক্রমণ করার জন্য যে ১৬ জন সন্ত্রাসী নিয়োজিত ছিল তাদের একজন মুহাম্মদ আত্তা মিসরের নাগরিক। বাকি ১৫ জনের বাড়ি সৌদি আরব। অথচ টুইন টাওয়ারে আক্রমণের ফজিলত হিসেবে আমেরিকা আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করল। লাদেনকে মারার ছুতা ধরে ২০০১ সালে আমেরিকা আফগানিস্তানে যে অভিযান চালাল তাকে একতরফা নরহত্যা ছাড়া কিছু বলা চলে না। আমেরিকার আফগান অনুপ্রবেশকে যুদ্ধ শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে আমার দ্বিধা হয়। আফগানিস্তানে আমেরিকা আকাশ থেকে বোমা মেরে কতজন নিরীহ নারী-শিশু-সিভিলিয়ানকে নির্বিচারে হত্যা করেছে তার সত্যিকার হিসাব হয়তো কোনো দিনই পাওয়া যাবে না। আফগানিস্তানে আমেরিকার আক্রমণ, দুই দশক সেখানে তাদের অবস্থান এবং এখন আচমকা আফগানিস্তানকে আবার তালেবানদের হাতে সঁপে দেওয়া এ কাজগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনেক মারপ্যাঁচ আছে নিশ্চয়ই। তবে আফগানরা এখানে শুধু ভয়ংকর রাজনীতির মঞ্চে স্রেফ নরবলি। ২০০১ থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে আমেরিকানদের যুদ্ধজয় এবং সেখানে তাদের অবস্থানকে মধ্যযুগীয় শাসন বললে ভুল বলা হয় না। ২০০১ সালে আফগানিস্তান জয় করে ২০০২ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ভার্জিনিয়া মিলিটারি ইনস্টিটিউটে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানকে এমন করে গড়ে তোলা হবে যাতে এটি শয়তানমুক্ত (ফ্রি ফ্রম এভিল) মানুষের বাসযোগ্য ভূমি হয়ে ওঠে’। আহ কি দারুণ প্রতিশ্রুতির কি নিদারুণ পরিণাম একবার ভেবে দেখুন। তালেবানদের হাত থেকে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করল, ২০ বছর সেখানে তারা রাজত্ব করার পর ২০২১ সালে দেশটিকে আবার তালেবানের হাতে সঁপে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাহলে ২০ বছর ধরে আমেরিকানরা দেশটি থেকে কোন এভিল তাড়িয়ে দিয়ে দেশটিকে কোন মানুষের জন্য বাসযোগ্য করে তুলল?
রাজীব চন্দ্রশেখরান নামে একজন লেখক ‘দ্য ওয়ার উইথইন দ্য ওয়ার ফর আফগানিস্তান’ নামে একটি বই লিখেছেন। বইটিতে আমেরিকান সেনার আফগানিস্তানে উপস্থিতি এবং সেখানে আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া সম্পর্কে কথা শুরু করতে গিয়ে তিনি ইতিহাসের পাতা থেকে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে এনেছেন। আফগানিস্তানে বিদেশি সেনার প্রবেশ, তাদের অবস্থান এবং দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে তাঁর দেওয়া একটি তথ্য প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে তুলে ধরছি। ১৯৪০-এর দশকে আফগানিস্তানের তৎকালীন বাদশাহ জহির শাহ একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফগানিস্তানের হেলমান্দ নদীকে বশে এনে সেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জহির শাহ ১৯৪৬ সালে আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি মরিসন-নুডসেনকে ডেকে এনেছিলেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত থাকায় আমেরিকানরা সব সময় আফগানিস্তানে আসার সুযোগ খুঁজত। সেচ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন বেশ দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার। কাজেই আমেরিকানরা লম্বা সময় আফগানিস্তানে অবস্থানের সুযোগ লুফে নিয়েছিল। আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বসবাস এবং অবাধ বিচরণের জন্য হেলমান্দে তারা লিটল আমেরিকা বানিয়ে নিয়েছিল। বাদশাহ জহির শাহ স্বপ্ন দেখেছিলেন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি দক্ষিণ আফগানিস্তানের মরুভূমি এলাকাকে সেচ সুবিধার আওতায় এনে সেটিকে আফগানিস্তানের খাদ্যভান্ডারে রূপান্তর করে ফেলবে। কিন্তু অনেক বছর পার হয়ে যাওয়ার পর হেলমান্দে যা ঘটল তা একটি বিশাল ব্যর্থতা। বহু বছর সাধ্য সাধনার পর হেলমান্দে সেচব্যবস্থা চালু করে সেখানে চাষের জন্য কৃষকের হাতে নতুন একটি আমেরিকান জাতের গমের বীজ তুলে দেওয়া হলো। আফগান কৃষক নতুন জাতের গম চাষ করতে গিয়ে তেমন একটা ফলন পেল না। আফগান কৃষকের দুঃখকষ্ট লাঘব করার জন্য আমেরিকানরা তাদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে অনেক গবেষণা করে আমেরিকা থেকে আরও উন্নত জাতের গম এনে আফগান কৃষকের হাতে তুলে দিল। আফগান কৃষক নতুন জাতের বীজ দিয়ে চাষবাস শুরু করার পর গমের খেতে দারুণ ফলন হলো। কিন্তু আফগান কৃষকের ভাগ্যের পরিহাস। খেতের পাকা গম কৃষকের ঘরে আসার আগে তার সবটাই পরিযায়ী পাখির পেটে গেল। শীতের শুরুতে সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আমাদের অঞ্চলে উড়ে আসার পথে হেলমান্দের আকাশ থেকে নিচে তাকিয়ে দেখে কি সুন্দর সোনালি রঙের পাকা গমের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাটিতে খাবারের এমন আয়োজন দেখে অতিথি পাখির ঝাঁক সে বছর মাটিতে নেমে হেলমান্দ থেকে পেট পুরে খেয়ে স্বাস্থ্যবান হয়ে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে এসে পৌঁছাল। সে বছর সেচ প্রকল্পের রিপোর্টে আমেরিকানরা লিখল, হেলমান্দ সেচ প্রকল্প শতভাগ সফল। কারণ সেখানে খুব ভালো ফসল ফলেছে। তবে দুঃখের বিষয়, আফগান কৃষকের ফলানো ফসল কৃষকের ঘরে তোলা গেল না। সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখিরা আফগান কৃষকের ফলানো গম খেয়ে যথেষ্ট মোটা হলেও আফগান কৃষক এখনো রোগা পটকা রয়ে গেছে। আফগানিস্তানের ইতিহাসে বারবার যা ঘটছে তা হেলমান্দ সেচ প্রকল্পের পরিণামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভবিষ্যতের গর্ভে আফগানদের ভাগ্যে আরও অনেক দুর্ভোগ রয়ে গেছে।লেখক : কথাসাহিত্যিক।