ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, বাদবাকি সব ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং নির্বাচন-উপযোগী উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনাকালেও নির্বাচন অনুষ্ঠানকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে কমিশনের পক্ষ থেকে। করোনার কারণে আটকে থাকা সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন হবে ৪ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচনের প্রার্থীরা ১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। স্মর্তব্য, সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ২৮ জুলাই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর এক দিন আগে আদালতের আদেশে ভোট স্থগিত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে সিলেট-৩ উপনির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতেই হবে। এজন্য ৪ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে ইসি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সবশেষ ২১ জুন প্রথম ধাপে ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়। করোনার কারণে ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। সোমবার নির্বাচন কমিশনের সভায় সব আটকে থাকা ভোট ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬৭ ইউপি ও নয়টি পৌরসভা। গণতান্ত্রিক সমাজে দেশ পরিচালিত হয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। আমাদের নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত সকল পর্যায়ের নির্বাচনের ব্যাপারে যে খুবই আন্তরিক তাতে কোনো সংশয়ের অবকাশই নেই। নির্বাচন কমিশনের পেছনে দেশবাসীর ট্যাক্সের শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়। নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠানে কমিশনের আগ্রহ থাকা খুবই ইতিবাচক দিক এবং তা প্রশংসার যোগ্য। তবে দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানেও নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক হতে হবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।