সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ড্যাপ বাস্তবায়ন

অংশীজনদের আস্থায় রাখা ইতিবাচক

ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত অংশীজনদের আস্থায় নিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এ সুমতি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। অপরিকল্পিত নগরায়ণ কি যাচ্ছেতাই পরিণতি ডেকে আনে তা রাজধানীর দিকে তাকালেই অনুভব করা যায়। এ অব্যবস্থার অবসানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণয়ন করা হয় ড্যাপ। পদক্ষেপটি মহৎ হলেও এক দশক আগে এক প্রতিমন্ত্রীর হামবড়া মনোভাব শিব গড়তে গিয়ে বানর গড়ার ভ্রান্তিই নিশ্চিত করে। আবাসন খাতের সবকিছু সরকারের পকেটে থাকবে- বেসরকারি খাত বলে কিছু থাকবে না এমন ভ্রান্ত ধারণাকে তিনি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আবাসন খাতের অংশীজনদের ওপর। প্রণীত ড্যাপকে ভুলত্রুটির সমাহার বলে সমালোচনা ওঠার পরও তিনি তা চাপিয়ে দিতে গিয়ে নিজেই কুপাকাত হন। সবারই জানা বাসস্থান একটি মৌলিক অধিকার। আমাদের স্বাধিকার সংগ্রামে গণমানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ ছিল অন্যতম ইস্যু। দেশের লাখ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণে আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দৃষ্টিকাড়া ভূমিকা রেখেছে। জিডিপিতে আবাসন খাতের অবদান ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আবাসনের ৪৭১টি খাতে ২০ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান জড়িত। সোজা কথায় আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া নয়, লাখ লাখ মানুষের জীবিকাও নিশ্চিত করছে। সংকট সৃষ্টির কুশীলবরা সফল হলে গত এক যুগে দেশ যে দৃষ্টিকাড়া সমৃদ্ধির পথে পা বাড়িয়েছে তা সম্ভব হতো না। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকার অংশীজনদের পাশে রাখার যে নীতি অনুসরণ করছে তা এক নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনাই স্পষ্ট করেছে। আবাসন খাত নয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের উচিত অংশীজনদের আস্থায় রাখা। তাদের মতামত গ্রহণ করা। এটি সম্ভব হলে প্রতিটি খাতের ভুলত্রুটি যথাসম্ভব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে অংশীজনদের পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক যে কারণে প্রশংসার দাবিদার। আমরা মনে করি দেশবাসীর আবাসন চাহিদা পূরণে সরকারকে ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করতে হবে।  কোথায় কী সমস্যা তা খুঁজে বের করে তার গ্রন্থিমোচনে উদ্যোগী হতে হবে। আবাসন খাতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য একটি প্রধান বাধা। যা সাশ্রয়ী দামে প্লট বা ফ্ল্যাট প্রাপ্তিতে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। দ্রুত প্ল্যান পাস নিশ্চিত করতে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর