সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিজয়- ভারত ও সোভিয়েতের অবিস্মরণীয় ভূমিকা

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

বিজয়- ভারত ও সোভিয়েতের অবিস্মরণীয় ভূমিকা

‘ইট ওয়াজ দ্য বেস্ট অব টাইমস, ইট ওয়াজ দ্য ওয়ার্স্ট অব টাইমস- চার্লস ডিকেন্সের এই জগদ্বিখ্যাত উক্তিটি একাত্তরে আমাদের জন্য শতভাগ সত্য ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে বিজয়, তাও আবার মাত্র ৯ মাসে, পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সৈন্যের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। ভাবা যায় না, এমন উদাহরণ বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। তাই সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য নিশ্চিতভাবে এটা ছিল বেস্ট অব দ্য টাইমস। লেখাটি যখন শুরু করছি তখন হঠাৎ করে মনটা যেন ছড়াৎ করে ওঠল, আরে লেখাটি যেদিন ছাপা হবে তার পরের দিনই তো ১৪ ডিসেম্বর। কী নিদারুণ মর্মঘাতী এক বিয়োগান্তক দিন। পাকিস্তানের গণহত্যার একান্ত সহযোগী, বাঙালি নামের কলঙ্ক, রাজাকার-আলবদর বাহিনী বেছে বেছে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সব শ্রেণি-পেশার বুদ্ধিজীবীকে বাসাবাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মিরপুর ও আশপাশের বধ্যভূমিতে মৃতদেহ ফেলে দেয়, স্বজনরা তাদের লাশটা পর্যন্ত পায়নি। এর থেকে ওয়ার্স্ট টাইমস আর কী হতে পারে। শুধুই কি তাই। ৯ মাস ধরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নজির বিশ্বে বিরল। সত্যিই একাত্তর একই সময়ে ছিল আমাদের জন্য ওয়ার্স্ট অব দ্য টাইমস।

কথায় আছে, যত বড় ত্যাগ তত বড় অর্জন। রাষ্ট্রসমাজ বা ব্যক্তিজীবন, যেটাই বলি না কেন, ত্যাগ ব্যতিরেকে কোনো অর্জন সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এমনি এমনিই তিনি হয়ে যাননি। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ অদ্বিতীয় ও অসামান্য, এককথায় তুলনাহীন। নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই বিশ্বখ্যাত হয়েছেন। স্বার্থপর, নীতি-আদর্শহীন, লোভাতুর মানুষ দ্বারা জাতি-রাষ্ট্র, মানুষ, মানবতার কোনো উপকার হয় না। ধন, সম্পদ, ক্ষমতার লোভ মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ নেতা মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান উপরোক্ত সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন বলেই সাড়ে সাত কোটি বাঙালি সব ত্যাগ করার সংকল্প নিয়ে একাত্তরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছেন এবং অকাতরে জীবন দিয়েছেন বলেই মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বের বুকে উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি বলেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে সংকট ও বিপদে বন্ধুর প্রয়োজন হয়। যার বন্ধু নেই, তার মতো কাঙাল আর হয় না। আর প্রয়োজন ও বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু। তাই বিপদ থেকে উদ্ধারে বন্ধুর অবদান কৃতজ্ঞতাসহকারে স্মরণ করার জন্য অনেক বড় মনের প্রয়োজন হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানুষকে আরও বড় করে, সম্মানিত করে এবং মর্যাদা বাড়ায়, কখনো কমায় না। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্বের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সর্বাগ্রে ভারত দ্বিধাহীনচিত্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে থেকেছে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত পর্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাই ভারতের কথা দিয়েই শুরু করি। ভারত সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ করেনি। ২৬ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের জন্য ভারত তার সব সীমান্ত খুলে দেয়। হাজার হাজার, তারপর লাখ লাখ থেকে প্রায় এক কোটি মানুষের জন্য আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ সব ব্যবস্থা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ শুধু নয়, একেবারে শুরু থেকেই ভারতের বিএসএফ ও সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত অপারেশনে সক্রিয় সমর্থন দিতে থাকে। ৩১ মার্চ ভারতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এই মর্মে যে, ‘পূর্ববাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রাম অবশ্যই জয়ী হবে। ভারতের পার্লামেন্ট পূর্ববাংলার সংগ্রামী জনগণকে এই মর্মে আশ্বস্ত করছে যে, তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামে ভারতের জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে। আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরুর মাত্র ছয় দিনের মাথায় ভারতের পার্লামেন্টে এত বড় উৎসাহব্যঞ্জক প্রস্তাব সে সময়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করেছে। তারপর থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য ভারত প্রস্তুতি নিতে থাকে। আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে তা জুন-জুলাই মাসে এসেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই ভারতের জন্যও বৃহৎ শক্তির পার্টনারশিপ জরুরি হয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারত ২০ বছর মেয়াদি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ ছিল, দুই পক্ষের কেউ আক্রান্ত হলে অথবা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সেই আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য উভয়পক্ষ অতিসত্বর আলোচনা করবে এবং সম্মিলিতভাবে নিজেদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পরবর্তীতে দেখা যায়, যুদ্ধের শেষ পর্বে এই চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বিশাল ভূমিকা রাখে। সর্বাত্মক যুদ্ধে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ২৪ অক্টোবর প্রায় তিন সপ্তাহের লম্বা সফরে আমেরিকাসহ পশ্চিম ইউরোপে যান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ২৫ নভেম্বর কংগ্রেস দলের কার্যকরী কমিটির এক সভায় তিনি ঘোষণা করেন, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই জয়ী হবে, বিশ্বে এমন কোনো শক্তি নেই, যা এই বাস্তবতাকে রোধ করতে পারে। সব জল্পনা-কল্পনা পেরিয়ে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে পাকিস্তান পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং যুদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সূত্রে বাংলাদেশের সব সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মিত্র বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে। দ্রুতই বাংলাদেশের সব ফ্রন্টে পাকিস্তান বাহিনী পিছু হটতে থাকে। পাকিস্তানের চূড়ান্ত পরাজয় কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানের আসন্ন পরাজয় ঠেকানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে কূটনৈতিক ও সামরিক তৎপরতা শুরু করে। ৪ ও ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি ও ভারতের সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য পরপর দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। দুটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রয়োগ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশল ব্যর্থ হয়ে যায়। ভারত সমান তালে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং সামরিক অভিযান জোরদার করতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। ৭ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের শক্তিশালী ঘাঁটি যশোরের পতন ঘটে। চীনকে সামরিক অভিযানে যুক্ত করতে এবং সপ্তম নৌবহরকে নিয়োজিত করার জন্য ওয়াশিংটনে বসে হেনরি কিসিঞ্জার চীন সরকার ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে অনবরত দেন-দরবার করতে থাকেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ডেকে ১০৪-১১ ভোটে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস করিয়ে নেয়। ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন ফিলিপাইন ভিয়েতনাম উপকূলে অবস্থিত সপ্তম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাকিস্তান বাহিনীর পরাজয় ও পতন রোধের জন্য নৌ, বিমান ও স্থল অপারেশন চালানোর সম্ভাব্য মিশন দেওয়া হয় সপ্তম নৌবহরকে। ৫ হাজার সৈন্য, ৭৫টি জঙ্গি বিমান, মিসাইল ও ডেস্ট্রয়ারসহ ২৫টি অ্যাসল্ট হেলিকপ্টার নিয়ে সপ্তম নৌবহর টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নকে জানিয়ে দেয় ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে সপ্তম নৌবহর নিয়োগসহ শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমেরিকার হুমকি মোকাবিলায় সোভিয়েত ইউনিয়ন পাঁচটি সাবমেরিনসহ ১৬টি যুদ্ধ জাহাজ বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশে মোতায়েন করে। সব মহলে উদ্বেগ ও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের গতিধারা এখান থেকে যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে। গভীর সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ প্রায় নিরুত্তর হয়ে পড়েন। অদম্য সাহস ও আত্মবিশ্বাসী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শান্ত ও ধীরস্থির অবস্থায় তিনটি নির্দেশ প্রদান করেন। প্রথমত, সপ্তম নৌবহরের মিশন ব্যর্থ করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের সব উপকূলে শক্তিশালী নৌ-ব্যারিকেড গড়ে তোলা। দ্বিতীয়ত, যৌথ বাহিনীর সামরিক অগ্রযাত্রার গতি আরও বৃদ্ধি এবং দ্রুত ঢাকা দখল করতে হবে। তৃতীয়ত, সপ্তম নৌবহর সামরিক অভিযানে নামলে সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হয়।

এক. জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করা।

দুই. দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তির অজুহাত দেখিয়ে সপ্তম নৌবহরকে পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক অভিযানে নিয়োজিত করা। তিন. ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নামতে চীনকে সম্মত করা। ১২ ডিসেম্বর ভারতকে যুদ্ধ বিরতি মেনে নেওয়ার চরম হুমকি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা কৌশল অবলম্বন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীনকে হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়ার জন্য চীনের উত্তর সীমান্তে ব্যাপক সৈন্যের সমাবেশ ঘটায়। ১২ ডিসেম্বরের চরম হুমকি ভারত উপেক্ষা করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু তার জন্য চীনের সরাসরি সামরিক সংশ্লিষ্টতা আমেরিকার জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর শেষ প্রহরে চীন অতি গোপনে আমেরিকাকে জানিয়ে দেয় তারা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপে যাবে না। তবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে সব রকম সমর্থন দিবে। হেনরি কিসিঞ্জার হতাশ হয়ে ১৩ ডিসেম্বর আবার নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে তৃতীয়বারের মতো ভেটো দেয়। চীন সামরিক পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অনড় অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহরকে সামরিক অভিযানের জন্য চূড়ান্ত নির্দেশ প্রদান থেকে বিরত থাকে। সপ্তম নৌবহরের সম্ভাব্য অবতরণের স্থান চট্টগ্রাম উপকূল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নৌ, বিমান ও স্থলবাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সব দিক থেকে সব রকমের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানি কমান্ডার জেনারেল আবদুল্লাহ নিয়াজি ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। ওইদিনই সবে সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশ তখন পাকিস্তানের দখল থেকে মুক্ত। সুতরাং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের অবিস্মরণীয় ভূমিকা কখনো আমরা ভুলব না। তাই আজ বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালে বিপদের বন্ধু ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর