দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সময় যে দেশটি ছিল জনশক্তি রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার সে দেশে যাওয়ার সুযোগ পেতে উন্মুখ হয়ে ওঠে লাখ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৫ হাজার কর্মী নিতে আবেদন করেছেন মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা। মালয়েশিয়ায় এ সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শেষ করেছেন তারা। কিন্তু গরজ যাদের বেশি হওয়ার কথা তাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিদের সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে সবকিছু। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়ন না করায় এসব ভিসা ইস্যু হচ্ছে না। বাংলাদেশ হাইকমিশনের ‘অ্যাকটিভেশন সিস্টেম’ চালু না থাকায় হাইকমিশনে ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে পারছেন না মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা। এ পরিস্থিতিতে হুমকিতে পড়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় চালু হতে যাওয়া শ্রমবাজার ফের আটকে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। অথচ ২০১৭ সালের মতো একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন পেলেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করে আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব বলে মনে করেন এ খাতে বিশেষজ্ঞরা। মালয়েশিয়া যেমন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার তেমন সাংস্কৃতিক দিক থেকে মিল থাকায় অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে ওই দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাংলাদেশ থেকে সন্নিকটে থাকায় অল্প খরচে সে দেশে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশনের সত্যায়নের অভাবে পুরো প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে। স্মর্তব্য, ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ২০০ সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সির সমন্বয়ে ২০১৭ সালে কর্মী পাঠানো শুরু হয়। ২০১৯ সালে তা থেমে যায় নিষেধাজ্ঞার কারণে। গত বছরের শেষ দিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এ অচলাবস্থার অবসান হওয়া উচিত।