বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রমজান সম্পর্কে কোরআনের নির্দেশনা

মাহমুদুল হক জালীস

রমজান সম্পর্কে কোরআনের নির্দেশনা

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। আল্লাহ রোজার প্রতিদান নিজ হাতে দানের ঘোষণা দিয়েছেন। এ রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে কোরআনে এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। রোজা কি সব সময় আদায় করবে নাকি শুধু এক মাস। অথবা রোজা কি সবাই আদায় করবে নাকি অসুস্থ এবং সফরকারীর জন্য ছাড় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে এসেছে, ‘সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। এটা যাদের সাতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া- একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৪)। রোজা মানুষকে পরহেজগারিতা শেখায়। রোজার মাধ্যমে মানুষ সংযমী হতে পারে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে এসেছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না, এজন্য যে তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)। রোজার মাসে স্ত্রীসহবাস কখন করবে। এ সম্পর্কে কোরআনে এসেছে, ‘সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য এবং তোমরাও তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন তোমরা তোমাদের নিজেদের সঙ্গে খিয়ানত করছিলে, এরপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদের মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সঙ্গে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ কর। আর তোমরা আহার কর ও পান কর যতক্ষণ তোমাদের জন্য (রাতের) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সঙ্গে সংগত হইও না। এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, সুতরাং এর নিকটবর্তী হইও না। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্য তার আয়াতগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৭)।

 

লেখক : মুহাদ্দিস, খাদিমুল ইসলাম মাদরাসা, কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর