বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ বিভ্রাট

জাতীয় গ্রিডের বিপর্যয় কেন খুঁজে দেখুন

এক মাসের ব্যবধানে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর থেকে রাতেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ না থাকায় জনভোগান্তি ছিল চরমে। উৎকণ্ঠায় ভুগেছে মানুষ। ব্যাহত হয় পানি সরবরাহব্যবস্থা, হাসপাতালের সেবা, অফিস-আদালত, বিমানবন্দরের কর্মকান্ডসহ স্বাভাবিক জীবনযাপন। ভোগান্তিতে পড়ে মোবাইল-ইন্টারনেট সেবা। উৎপাদন বন্ধ থাকে শিল্পকারখানায়।

দুর্ভোগ দেখা দেয় সিএনজি স্টেশনগুলোয়। টানা ৪ ঘণ্টা দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে পরিস্থিতি।

রাত ১২টায়ও বেশ কিছু এলাকা ছিল বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, আকস্মিকভাবে দুপুর ২টা ৪ মিনিটে জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অংশ অর্থাৎ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে ধৈর্যধারণের আবেদন জানানো হয় এবং বলা হয়, প্রকৌশলীরা দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় গ্রিড চালুর চেষ্টা করছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির দিক থেকে দুনিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর দেশগুলোয়ও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে কখনো কখনো। তবে এক মাসের ব্যবধানে জাতীয় গ্রিডে দ্বিতীয়বারের এ বিপর্যয়ের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এক মাস আগে জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনের বিভ্রাটে রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। মঙ্গলবারের বিদ্যুৎ বিভ্রাট যে উৎপাদন ক্ষতির কারণ ঘটিয়েছে তা বিশাল। মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বিঘিœত হওয়ায় মানসিক আতঙ্কে ভুগেছে লাখো মানুষ। এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সবাই বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর