রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুমিল্লার যানজট

নাগরিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে

যানজট একসময় ছিল রাজধানী ঢাকার অনুষঙ্গ। তা এখন ঢাকা ছাড়িয়ে দেশের সব নগর-মহানগরে থাবা বিস্তার করেছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ শুধু নয়, কুমিল্লায়ও যানজট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার মতো কুমিল্লাও এখন যানজটের নগরী। প্রতিদিন যানজটে থমকে যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা। অধিকাংশ অলিগলিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে গলদঘর্ম হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও। মানুষ হাঁসফাঁস করছে। নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, নিউমার্কেট, রাজগঞ্জ, মোগলটুলী, চকবাজার, রেসকোর্স, শাসনগাছা, রানীর বাজার, টমছম ব্রিজ ও জাঙ্গালিয়ায় দিনভর যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মূল সড়কের যানজট থেকে বাঁচতে অনেকে গলিতে প্রবেশ করেন। সেখানেও যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ করে কুমিল্লা মডার্ন স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, এথনিকা স্কুল ছুটি হলে নগরী থমকে যায়। এ ছাড়া কান্দিরপাড়-পুলিশ লাইনস রোড ও লাকসাম রোডের একাংশে দিনভর যানজট লেগে থাকে। লাকসাম রোডের অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড যানজট বাড়িয়ে দিয়েছে। মনোহরপুরের খন্দকার হক টাওয়ার, সাত্তার খান কমপ্লেক্সের সামনের রোড চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। কুমিল্লায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রিকশা ও ইজিবাইকের চলাচল যানজটে ইন্ধন জোগাচ্ছে। অভিজ্ঞজনদের মতে, অবৈধ পরিবহনগুলো নিয়ন্ত্রণে না আনলে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে। সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে কুমিল্লায় যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত টমটম। নগরীতে দিন দিন গাড়ি ও মানুষের চাপ বাড়ছে। সে তুলনায় ট্রাফিক পুলিশের জনবল কম। অধিকাংশ মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি রাখার কথা থাকলেও সেখানেও দোকান বসানো হয়েছে। অনেকে রাস্তায় গাড়ি রাখছে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ছে। কুমিল্লায় যানজট কমাতে হলে সড়কশৃঙ্খলার দিকে নজর দিতে হবে। এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিও জরুরি।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর