ধীরে ধীরে আমরা কেমন যেন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছি। ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরকারের যেমন দায়বদ্ধতা নেই, বিরোধী রাজনীতিবিদদেরও তেমন খুব একটা দায়বদ্ধতা চোখে পড়ে না। বাজারে আগুন, সাধারণ মানুষ শান্তিতে পেটপুরে খেতে পারে না, সন্তানের পড়ালেখার খরচ বহন করতে দিশাহারা। সরকার বলছে সব ঠিক, দেশের মানুষের জন্য তাদের জান কোরবান, বিরোধী দলও শুধুই ক্ষমতার আশা নিয়ে বসে আছে। তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, চালের দাম বৃদ্ধি, মাছ-মাংস-শাকসবজি কোনো কিছু স্পর্শ করা যায় না। একসময় শুনেছিলাম, আফিমে ডুবে থাকা চীনে গাড়ি করে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে হাতে করে বাজার নিয়ে ফিরতে হতো। টাকার কোনো মূল্য ছিল না। এখন আমাদের দেশেও তেমনটা হচ্ছে। মানুষের কষ্টে প্রধান বিরোধী দল খুব একটা সাড়া দিতে পারেনি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। সবে কিছুদিন বিএনপি বেশ বড়সড় কয়েকটা বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। প্রথমে চট্টগ্রাম, তারপর ময়মনসিংহ, সেদিন খুলনায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগ সর্বতোভাবে সমাবেশগুলো ব্যর্থ করার বেশ চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। বরং বিএনপির ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে সফলতায় জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে এসেছে। খুলনা-ময়মনসিংহে সম্পূর্ণ গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ, রাস্তায় রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। দলীয় কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন, সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়েছে। এসব দলীয় কর্মকান্ডে সরকার যদি বাধা না দিত তাহলে কী এমন ক্ষতি হতো? যা লোক হয়েছে তার দ্বিগুণ হতো। কিন্তু নিরাপদে বিনা বাধায় সমাবেশগুলো সম্ভব হলে অর্ধেক মানুষই নাখোশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিত। কারণ বিএনপি নেতানেত্রীদের কথার তেমন ধার নেই। সরকারকে উৎখাত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনেকেই চায়, সরকার চায় না। এমন সব সময়ই হয়। সরকার বলবে এক কথা, বিরোধীরা অন্য কথা। এই কটি বিভাগীয় গণসংযোগ শুধু বিএনপির, এসবে জোট নেই। সরকারি বাধার কারণে সমাবেশগুলো যথেষ্ট প্রাণ পেয়েছে। একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে সবকটি সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীর উপস্থিতিই বেশি। সাধারণ মানুষের খুব একটা অংশগ্রহণ নেই। সাধারণ মানুষ ৩০-৪০ মাইল হেঁটে বিএনপির কেন, আওয়ামী লীগের মিটিং শুনতেও যাবে না। এটা শেরেবাংলার সভা নয়, হুজুর মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকুল করা সভা নয়। বিনা বাধায় সভা-সমাবেশগুলো হলে কিছু সাধারণ মানুষও সেখানে যেত। কিন্তু এমন ঝড়-তুফানে সাধারণ মানুষকে আশা করা বাতুলতার নামান্তর। আর এমনতিইে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বেশ উদাসীন হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে অনেক কিছুই ভালো লাগে না। অনেকেই কথা দিয়ে কথা রাখে না। রাজনৈতিক নেতারা সাধারণ মানুষের বন্ধু না হয়ে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক না হয়ে মালিক হয়ে বসে আছেন। যে মানুষের জন্য দেশ সেই মানুষের কোনো মর্যাদা নেই। সবকিছু লাগামহীন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের সেবক না ভেবে মালিক ভাবেন এসব অনিয়মের কোনো কূলকিনারা নেই। কদিন হলো তথ্য সচিব এবং তিনজন এসপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ নাক ফুলিয়ে কাঁদছেন, কেউ বলছেন তাদের কোনো অপরাধ নেই। সরকারি বিধিবিধানে ২৫ বছর চাকরিকাল অতিক্রম করলে যে-কোনো চাকরিজীবী যেমন যখন তখন চাকরি ছেড়ে চলে যেতে পারেন, তেমনি রাষ্ট্রও কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করে যে-কাউকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারে। এখানে চোখের পানি ফেলে লাভ কী? তথ্য সচিব গুরুতর এক অন্যায় কথা বলেছেন। তিনি ছাত্রলীগ করতেন, তারা সবাই আওয়ামী পরিবার তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া ঠিক হয়নি। এমনকি তিনি এও বলেছেন, ফাঁসির আসামিকেও কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়, তাকে তা-ও করা হয়নি। না, এটা ফাঁসির আসামির ব্যাপার না, এটা আইনের ব্যাপার। সরকার অবশ্যই পারে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে অব্যাহতি দিতে; তা-ই দিয়েছে। আরও অনেককে দেবে। সব নির্বাচনের সময়ই এমন হয়। সরকারি কর্মচারীদের যোগ্যতা কোনো দলের প্রতি আনুগত্যের বিচারে হওয়া উচিত নয়। মেধার নিরিখে সরকারি কর্মচারী হবেন, দায়বদ্ধ থাকবেন প্রজাতন্ত্রের প্রতি, সংবিধানের প্রতি, কোনো দলের প্রতি নয়। যখন যে সরকার আসবে নিষ্ঠার সঙ্গে সেই সরকারের আইনানুগ আদেশ-নির্দেশ পালন করবেন। কোনো দলবাজি করবেন না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা, বিএনপি এলে জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টি এলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ- এমন হওয়ার কোনো মানে হয় না। মীমাংসিত বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার বুকের জোর থাকা প্রয়োজন। কিন্তু তা অনেকের মধ্যেই নেই। রাস্তাঘাটে অনেকের কাছে শুনি, এমনকি আওয়ামী সমর্থকরাও কেউ কেউ বলেন, মন্ত্রীদের দলীয় রাজনীতি করা উচিত নয়। কথাটা খুবই সত্য। ১৯৫৭ সালে প্রভিন্সিয়াল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ‘একজন এক পদ’ প্রশ্নটি যখন এসেছিল তখন তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। সেজন্য তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধু যদি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে এখন যা বলেন তা বলতেন তাহলে শতভাগ সিদ্ধ হতো। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রিয় ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যা বলেন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এর ১০ গুণ বললেও গ্রহণযোগ্য হতো, হৃদয়গ্রাহী হতো। আসলেই যারা মন্ত্রী তারা তো আওয়ামী লীগের মন্ত্রী নন। তারা সারা দেশের মন্ত্রী, সব মানুষের মন্ত্রী। কেন যেন এই সাদা কথাটাই আমরা ভুলে যেতে বসেছি। বিরোধী দলের যখন সভা-সমাবেশ হয় সেখানে যদি আওয়ামী লীগের লোকেরা রাস্তায় পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত তাহলে কেমন হতো? আমার কখনো মনে হয় না এখনকার চাইতে তখন খারাপ হতো।
আজ মাস দুই ভারতের নেতা রাজীব গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধী ‘ভারত জোড়ো’ আন্দোলনে প্রায় হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করেছেন। আশির দশকে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দিল্লির মডার্ন স্কুলে যখন পড়ত তখন কোনো কোনো দিন সকাল-বিকাল আমার সঙ্গে দেখা হতো। কারণ আমার ভাতিজা-ভাতিজি শঙ্খ-গার্গী রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পড়ত। রাহুল গান্ধী রাস্তায় মানুষের সঙ্গে বসে খাচ্ছে, কথা বলছে, বাচ্চাদের হাত ধরে হাঁটছে। কখনোসখনো প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দৌড়াচ্ছে। তার লক্ষ্য ছয় মাসে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করা। এসব থেকে কি আমরা কিছুই শিখতে পারি না? ইসলামের আদিকালে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে পথে যেতেন এক বৃদ্ধা সেই পথে কাঁটা ফেলে রাখতেন। একসময় রাস্তায় কাঁটা না দেখে রসুল (সা.)-এর মনে হয় কী এমন হলো, রাস্তায় কাঁটা নেই কেন! আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। পিয়ারা নবী মর্মাহত হয়ে বৃদ্ধার বাড়ি যান। তার মাথায় হাত দিয়ে বলেন, আপনি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন, আমি ঠিক সময় জানতে পারিনি; আমায় মাফ করবেন। প্রিয় রসুল (সা.) বৃদ্ধাকে অনেক সেবাশুশ্রƒষা করে সুস্থ করে তোলেন। তেমন হলে কী এমন ক্ষতি হতো? ভারত জোড়ো আন্দোলনের নেতা রাহুল গান্ধী যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে সেখানে কিন্তু বিজেপি বা সরকারি দল পথে পথে বাধা দেয়নি, কাঁটা বিছিয়ে রাখেনি। আমাদের এসব লক্ষ করা উচিত। সত্যিই আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছি। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, সামাজিক অবস্থাও খুব একটা ভালো না। কৃষিতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু সেজন্য সুখের ঢেঁকুর তোলার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কৃষিকাজ আরও জোরদার, বেগবান হওয়া প্রয়োজন। মৎস্য-পশু পালনে, হাঁস-মুরগি চাষে আরও সরকারি অনুদান ও উৎসাহ থাকা উচিত। কৃষক যদি বুক চিতিয়ে না দাঁড়াত এতদিনে বাংলাদেশ কোথায় বিলীন হয়ে যেত অনেকের ভাবতেও কষ্ট হবে। পাকিস্তান আমলে ৭ কোটি মানুষের পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্যে ঘাটতি ছিল। এখন ১৭-১৮ কোটি মানুষ। অতিরিক্ত খাদ্যের দেশ বাংলাদেশ নয়, কিন্তু ঘাটতির দেশও নয়। কৃষকের এই যে অবদান কেউ স্বীকার করে না, সামান্য একটু মর্যাদাও দেয় না। কি অবহেলা, কি তাচ্ছিল্য যে সহ্য করে কৃষক তা বলে শেষ করা যাবে না। হাজার কোটি লুটে নিয়ে অনেকে আসমানে ঘুরে বেড়ায়। অথচ ১০-২০ হাজার কৃষিঋণ নিয়ে সময়মতো শোধ করতে না পেরে কত কৃষকের মাজায় দড়ি, জেলে জায়গা হয়। এটা দেওয়া হচ্ছে ওটা দেওয়া হচ্ছে বলা হয় ঠিকই কিন্তু প্রকৃত কৃষক তেমন কিছু পায় না। দু-চার জন দলকানা হয়তো পায়। কৃষি ক্ষেত্রে কিছুটা গবেষণা হয়েছে। তাই এখনো আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সব ক্ষেত্রে গবেষণার প্রয়োজন। এখন তো আমরা খুবই ছোট, মূল্যহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সময় আমরা কিছুটা বড় ছিলাম, গুরুত্বও ছিল। বঙ্গবন্ধু কত ছটফট করতেন গ্যাস-পেট্রোল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞ লোক না থাকায়। গ্যাসফিল্ড আবিষ্কার করার লোক নেই, পেট্রোল তোলার লোক নেই। সব ভিনদেশিদের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু এখন আমাদের কত বিশেষজ্ঞ। পৃথিবীর বহু বহু দেশে আমাদের বিজ্ঞানীরা, আমাদের বিশেষজ্ঞরা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। চাঁদে মঙ্গলে অভিযানে নাসাতে আমাদের লোক কাজ করেন। কত বড় বড় বিস্ময়কর আবিষ্কার করছেন আমার বাংলার মানুষ, বাংলার সন্তানরা। আমরা সত্যিকারের কোনো মেধাকে কাজে লাগাতে চাই না, খুঁজে বের করতে চাই না। শুধু দলকানা খুঁজি।
রাষ্ট্র পরিচালনায় শুধু বিশ্বস্ততাই বড় কথা নয়, দক্ষতা-যোগ্যতা-মেধারও প্রয়োজন আছে। যত বড় শত্রুপক্ষের লোকই হোক তাকে দিয়ে কাজ করাতে পারলে তিনি যোগ্য প্রশাসক। চাটুকার- জি হুজুর নিয়ে আর যা কিছুই হোক জাতির জন্য বড়সড় কোনো কাজ করা যায় না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য সাহসী যোগ্য লোকের প্রয়োজন। কর্মচারীদের সঙ্গে আত্মীয়তা করব না, ছেলেমেয়ে বিয়ে দেব না। তাই চাটুকারের প্রয়োজনের চাইতে যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের বেশি দরকার। যে শত্রুকেও একটা পরিবেশের মধ্যে ফেলে কাজ আদায় করে নিতে পারে সে-ই তো যোগ্য শাসক, সে-ই যোগ্য নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! একজন প্রবীণ নাগরিক এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার কাছে আমার আবেদন- আর কিছু হোক বা না হোক বিচার-আচার করতে পারবেন কি পারবেন না সেসব দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু জানতে বড় ইচ্ছা করে দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করে এখানে ওখানে কত সম্পদের পাহাড় গড়েছে তাদের বিচার করতে পারবেন কি পারবেন না, করবেন কি করবেন না এসব না হয় ছেড়েই দিলাম। কানাডার বেগমপাড়ায় কার কটা বাড়ি, বিদেশে কার কোথায় কত সম্পদ আছে তার একটা তালিকা যদি মেহেরবানি করে আপনি প্রকাশ করতেন আপনার সরকারের আমলে প্রকাশিত হতো দেশবাসী বড় খুশি হতো। সুইস ব্যাংকে কার কত টাকা কীভাবে আছে শুধু তার একটা সুন্দর বিশ্বাসযোগ্য তালিকা দেশবাসী জানতে চায়। আমার বিশ্বাস, আপনি দেশবাসীর এ আকাক্সক্ষা পূরণ করবেন। অতিসম্প্রতি আপনার সরকার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি দিয়েছে। এতে দেশের মানুষ নাখোশ নয়, বরং খুশিই হয়েছে। আপনি এবং আপনার সরকার যে আরও কয়েক শ বা কয়েক হাজারকে অব্যাহতি দেবেন এটা সাধারণ মানুষ অনেক আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা, আলাপ-আলোচনা করছে। দেশকে দেশের মতো করে পরিচালনা করলে অনেকেরই তাতে তেমন আপত্তি থাকত না। আপনি কি লক্ষ করবেন, আপনার এক উপদেষ্টা বলেছেন, প্রয়োজনে সারা দিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে কতটা আপনার ক্ষতি হয়েছে উপদেষ্টা ভদ্রলোক কি তা বুঝেছেন। জানি না কেন এমন ধরনের কিছু লোকের প্রতি আপনার এত দুর্বলতা। এরা অনেকেই কিন্তু তাদের অতীত জীবনে কখনো কোনো ভালো কাজ করে জাতিকে দেখাতে পারেননি। প্রয়োজনে সারা দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হবে তা-ও আবার এই কঠিন সময়; ওভাবে বলা কতটা আগুনে ঘি ঢালার শামিল তিনি কি ভেবে দেখেছেন?লেখক : রাজনীতিক
www.ksjleague.com