মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আনিসুল হক সড়ক

অপদখলের লজ্জা এড়াতে হবে

তেজগাঁওয়ের আনিসুল হক সড়ক এখন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দখলে। ব্যস্ততম এ এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায় সারি সারি ট্রাক-ভ্যানের কারণে। আর সাধারণ মানুষের পক্ষে সন্ধ্যার পর এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এ সড়কটি দিয়ে একসঙ্গে দুটি রিকশার চলাচল কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এ ব্যস্ততম সড়কটি দিয়ে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, তেজগাঁও ও গুলশানে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ যাতায়াত করে। সড়কটি ট্রাকের দখলে থাকায় যাতায়াতকারীদের যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের কারণে পথচারীদের হাঁটারও কোনো জায়গা নেই। বড় ট্রাকের কারণে ফুটপাতও দখল হয়ে যায়। সড়কের মধ্যে রাখা গাড়ি মেরামতের কাজও হচ্ছে অবাধে। রেললাইন থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত পুরো সড়কেই যেমন রাখা হয় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান তেমন রাখা হয় বিভিন্ন অফিসের বাস ও ব্যক্তিমালিকানার বাস। এ রাস্তা ব্যবহার করেন তেজগাঁও এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ, জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটসহ সরকারি-বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানে লোকজন। সড়কটি ফার্মগেট ও তেজগাঁওয়ের অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান পথ। অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় সরু হয়ে গেছে সড়ক। ৫ মিনিটের এ সড়ক পার হতে কখনো আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টাও লেগে যায়। স্মর্তব্য, এ সড়কটি দীর্ঘকাল যাবৎ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছেন। সন্ধ্যার পর অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এ এলাকা। উত্তর ঢাকার প্রথম মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে দুবর্ৃৃত্তদের কাছ থেকে সড়কটি উদ্ধার করেন। উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক নামের উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কিন্তু ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের বদলে রাজধানীর সাধারণ নাগরিকদের প্রতি দায় অনুভব করে দখলমুক্ত করেন সড়কটি। এ সড়কটি তিনি সাজান নতুনভাবে। তাঁর মৃত্যুর পর সড়কটির অপদখল প্রয়াত মেয়রের উত্তরসূরিদের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ লজ্জা এড়াতে তাঁরা সক্রিয় হবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর