রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পোশাক রপ্তানি

অসন্তোষ সৃষ্টি কোনোভাবেই কাম্য নয়

দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ধস নেমেছে। গত এক মাসে রপ্তানির অর্ডার কমেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। বিশ্বমন্দায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দেশগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরম অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয়; যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের পোশাকশিল্পে। চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলোয় অর্ডার কমে যাওয়ায় অনেক মালিক যথাসময়ে শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ৩৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বাড়িয়েছেন ডিপো মালিকরা। এতে পোশাকশিল্পের ব্যয় বাড়লেও বাড়তি দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অভিযোগ পোশাকশিল্পের মালিকদের। ২০২১-২২ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রপ্তানি করে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মে মাস থেকে এ ধারা অব্যাহত থাকেনি। এপ্রিলের ৩ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার থেকে মে মাসে তৈরি পোশাকের চালানের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানেও সেই ধারাবাহিকতায় কমছে পোশাক রপ্তানি। পোশাক মালিকদের দাবিকে সত্যের অপলাপ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। পোশাক-শ্রমিকদের বক্তব্য, মালিকদের লোকসানে পড়া পুরোটাই গালগল্প। শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য ফাঁদ পাতছেন মালিকরা। পোশাকশিল্পে অসন্তোষ সৃষ্টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর