কপি শীতকালীন সবজি। শীতকালে প্রচুর কপি পাওয়া যায়। তবে আজকাল যেকোনো ঋতুতেই কপি বাজারে পাওয়া যায়। তবে শীতকালে উৎপন্ন কপিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কপির সবজি বেশি খেলে বাতের রোগ হয় এবং পেটে গ্যাসও হয়। বাতের রোগীর পক্ষে কপি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। তবে বিজ্ঞানীরা অভিমত প্রকাশ করেছেন, কপি পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সার কমিয়ে দেয়। প্রোস্টেট ক্যান্সার রোগে যারা ভুগছেন তাদের দিনে তিন-চারবার কপির সবজি তরকারি খেতে দেওয়া হয়। কপির মধ্যে যেসব রাসায়নিক পদার্থ আছে, কপিতে পানির পরিমাণ শতকরা ৯০ শতাংশ, প্রোটিন ১.৮ শতাংশ, কার্বন ৬.৩ শতাংশ, চর্বি ০.১ শতাংশ, খনিজ পদার্থ ০.৬ শতাংশ থাকে। আবার কপিতে ফসফরাস ০.০৫ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ০.০৩ শতাংশ আর আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম থাকে। ভিটামিন এ, বিওয়ান, বিটু, সি বেশি মাত্রায় থাকে। বাঁধাকপির সবুজ পাতাতে আয়োডিন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। কপি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কপিতে ভিটামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকার ফলে কপি পানিতে সিদ্ধ করে ছাঁকনিতে ছেঁকে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখের শুষ্ক চামড়া মসৃণ হয়। ফুলকপি খেলে গর্ভাশয় শক্তিশালী হয়। বাঁধাকপি তরকারি বা সালাদ খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। বাঁধাকপিতে ফসফরাস আছে। সেজন্য বাঁধাকপি খেলে রক্ত স্বল্পতা রোগ কমে যায়। কাঁচা বাঁধাকপির তৈরি সালাদ খেলে মাতৃস্তনে দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়। কপি অথবা কপির রস খেলে লিভার বেড়ে ওঠার অসুস্থতা কমে যায়। কাঁচা কপি খেলে দেহে আয়োডিন সৃষ্টি হয়। সে জন্য থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক থাকে। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ফুলকপি ও বাঁধাকপি খেতে দেওয়া উচিত। এতে তাদের দেহ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ হবে। বাঁধাকপির তরকারি খেলে পরিপাক যন্ত্র শক্তিশালী হয়ে ওঠে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও উন্নত হয়।
লেখক : আফতাব চৌধুরী।