মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মেট্রোরেলের চলাচল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল ৬ লাইনের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের দিন নিজে ভ্রমণ করে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও প্রান্তে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও আজ শুরু হবে মেট্রোরেলে যাত্রী চলাচল। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে দেশে মেট্রোরেল চালুকে একটি বড় ধরনের অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতকাল উন্নত বিশ্বের অমুক দেশের মেট্রোরেল খুবই আরামদায়ক, ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মেট্রোরেলে চেপে ভ্রমণের সুবিধাই আলাদা- এমন স্বপ্নের গল্প আর অন্যের মুখে শুনতে হবে না। এখন থেকে খোদ বাংলাদেশের এমন গল্পই পৃথিবীর অন্য দেশে আলোচিত হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না। ঝকঝক শব্দে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন কাক্সিক্ষত গন্তব্যে। বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল লাইন-৬ চালুর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। স্বাপ্নিক এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর যানজট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাতত দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রোরেল। আগামী বছরের ডিসেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত এবং কমলাপুরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে একে একে আরও পাঁচটি লাইন চালু করা হবে। এর মধ্যে পাতালরেল হিসেবে মেট্রোরেল লাইন-১-এর কাজও শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল আপাতত দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও এর প্রকৃত সুফল অনুভূত হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন চালু হওয়ার পর। পরবর্তীতে অন্য লাইনগুলো চালু হলে যানজটের কাছে জিম্মি ঢাকা মহানগরীর বিস্তীর্ণ এলাকায় সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মেট্রোরেল নগরবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেবে। সুষ্ঠু গণপরিবহনের অভাবে যারা এখন ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করেন তারা মেট্রোরেলে চলাচল করতে উৎসাহী হবেন।