রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংসদীয় রাজনীতি

আলাপ-আলোচনার বিকল্প নেই

দেশের জাতীয় সংসদের ৫০ বছরপূর্তি নিঃসন্দেহে একটি গৌরবজনক ঘটনা। সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চলছে বিশেষ অধিবেশন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ অধিবেশনে দিয়েছেন স্মারক ভাষণ। যাতে সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্র বিকাশে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। বলেছেন, রাজনীতি থেকে হিংসা-হানাহানি অবসানের মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মহান সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ ও বেগবান করবে-এটাই সবার প্রত্যাশা। গণতন্ত্রচর্চার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় সংসদ। সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের সব বিভাগের জবাবদিহির ক্ষেত্রে আদর্শ স্থাপনের গুরুদায়িত্ব বর্তায় এ মহান সংসদের সদস্যদের ওপর। কেবল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতরাই সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। এ বিষয়ে সরকারি ও বিরোধী উভয় পক্ষের সংসদ সদস্যরা জাতির কাছে দায়বদ্ধ। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। সংসদে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সমর্থন ও মতামতের ওপর নির্ভরশীল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ‘নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য’ প্রতিষ্ঠা সংসদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি যখন চলছে, সে মাহিন্দ্র্যক্ষণে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তব্য নিঃসন্দেহে দিকনির্দেশনামূলক। রাজনীতিকদের জন্যও তা শিক্ষণীয়। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবেই। কিন্তু সে মতপার্থক্য সংঘাতে রূপ নিলে অশুভ মহল তার সুযোগ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যের নিরসন ঘটানো। সংসদকে জনগণের সংসদে পরিণত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে সবপক্ষের অংশগ্রহণও জরুরি। সংবিধানের অধীনে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে তা নির্ধারণে সরকার ও বিরোধী পক্ষের আলাপ-আলোচনাও সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর