শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়ক দুর্ঘটনা

এ নৈরাজ্যের অবসান হওয়া উচিত

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের এমন কোনো দিন নেই যে সড়কপথে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে না। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে স্বজনদের অশ্রুপাত ঘটেনি এমন দিনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সড়ক দুর্ঘটনা অতি তুচ্ছ বিষয়ে পরিণত হওয়ায় এটিকে সামাল দেওয়ার মতো কোনো কর্তৃপক্ষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। খাতাপত্রে এসব দেখভালের দায়িত্ব যাদের তারা কর্তব্য পালনের বদলে নিজেদের পকেট স্ফীত করার কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন- এমন অভিযোগ প্রবল। বুধবার শুধু সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। পেশায় তারা সবাই নির্মাণশ্রমিক। কাজের জন্য পিকআপ ভ্যানে করে হতভাগ্য শ্রমিকরা যাচ্ছিলেন কর্মস্থলে। পথিমধ্যেই বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিয়েছে ১৪টি তাজা প্রাণ। আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন। বুধবার সকাল ৬টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার কুতুবপুরে পিকআপ ভ্যান ও আলুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গভীর শোকের ছায়া গ্রাস করেছে ১৪টি পরিবারকে। ভোরে সিলেট নগর থেকে ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। শ্রমিকবাহী পিকআপ ভ্যানটি নাজিরবাজারের কুতুবপুর যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পতিত হয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি উল্টে যায়। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকিদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা যান। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের ধারণা, ট্রাকচালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যা দুর্ঘটনা অনিবার্য করে তোলে। আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ ঘটে চালকদের গাফিলতিতে। রাতের বাস ও ট্রাকচালকদের একাংশের মধ্যে ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালানোর প্রবণতা রয়েছে। এ নিয়ে অনেকে গর্বও করেন। এ নৈরাজ্যের অবসান হওয়া উচিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর