মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মা-বাবার সান্নিধ্য, বাসাইল পৌর নির্বাচন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

মা-বাবার সান্নিধ্য, বাসাইল পৌর নির্বাচন

১৮ জুন রবিবার বাবা দিবসে এক অসাধারণ লেখা পড়লাম অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর। জনাব আবদুল্লাহ  মেডিসিনের একজন চমৎকার ডাক্তার। একজন ভালো মানুষ। করোনাকালে তাঁর স্ত্রী ইহলোক ত্যাগ করেছেন। মানুষটা অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন। একজন ভালো ডাক্তার, ভালো মানুষ, সর্বোপরি ভালো লেখক খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ একজন যথার্থ দরদি মানুষ। অনেক কিছু হওয়া সম্ভব। কিন্তু একজন ভালো মানুষ সহজে হওয়া যায় না। সেটাও তিনি হয়েছেন। ‘বাবা মানে ভরসার জায়গা, পরম নির্ভরতা’। কথাটা যে কত শাশ্বত সত্য যাদের বাবা-মা আছে তারা বুঝবেন না। বাবা-মার চাইতে আপনজন এই ধরাধামে কেউ নেই। যদিও আমরা অনেকেই বাবা-মাকে যথাযথ গুরুত্ব দিই না, বাবা-মাকে সম্মান করি না। কিন্তু আল্লাহ-রসুলের পর বাবা-মার জায়গা সন্তানের কাছে সবার ওপরে। আমরা আমাদের বাবা-মাকে বহুদিন পেয়েছি। আমার যখন ৫৫-৫৬ বছর তখন বাবা আমাদের সবার মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন। বাবা খুব মেজাজি মানুষ ছিলেন। মাঝেমধ্যে ভয় করতাম। অনেক সময় রাগারাগি হতো। ছোটবেলায় প্রায় সময়ই মার খেতাম। কিন্তু খাবার সময় পাশে বসিয়ে মাছের মাথাটা, ডিমটা, অন্যান্য মজার জিনিস যখন তুলে দিতেন বড় ভালো লাগত। মাঝবয়সে রাগারাগি হলে পালিয়ে বেড়িয়েছি। কিন্তু শেষ জীবনটা বেশ ভালোই ছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো মন কষাকষি ছিল না, কোনো দূরত্ব ছিল না। তবে এটা ঠিক, নির্মল ভালোবাসা, নিষ্কলুষ ওঠাবসা, চলাফেরা মায়ের সঙ্গে যতটা হয়েছে বাবার সঙ্গে ততটা হয়নি। আমার মনে পড়ে না মা বাড়িতে থাকলে তাকে না বলে ঘর থেকে বেরিয়েছি, বাবা থাকলে বাবাকেও বলেছি। বাবা নেই দুই যুগ, মা নেই প্রায় দেড় যুগ। এখনো বাড়িতে থাকলে ছেলেমেয়ে, স্ত্রী সবার সঙ্গে কথা বলে বাইরে বেরোই। এক ঘণ্টায় ফিরি আর ১০ ঘণ্টায়, তাদের বলে কয়ে যাই। এতে আমার খুব ভালো লাগে। মা ছিলেন আমাদের জীবনে এক মস্ত অবলম্বন। বাড়িতে ফিরেই মার পা কোলে নিয়ে পরম আনন্দে না টিপলে এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তি লাগত না। নেতা হিসেবে হুজুর মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দু-চার বার পা টিপেছি। এক অপার তৃপ্তি পেয়েছি। আর মায়ের পা স্পর্শ করলেই কেমন যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি হতো। বাবা ছিলেন টেপাটেপিতে ওস্তাদ। পা টেপা, হাত টেপা বাবার সারা জীবনের স্বাদ। আমরা তিন-চার ভাইবোন পিঠ চুলকে দিতাম, হাতের আঙুল ফুটাতাম। তার জন্য ২-৩ আনা পেতাম। সে নিয়ে কী আনন্দ এখনো ভাবতে অবাক লাগে। বাবা দিবসে মা দিবসে শুধু নয়, মা-বাবা হবেন মাথার তাজ, পরম তৃপ্তির আধার। মা-বাবার থেকে আপন বান্ধব কেউ নাই। বৃদ্ধাশ্রমে মা-বাবার স্থান হওয়া বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্ক, জাতীয় সত্তার প্রতি অবমাননা। আশা করি মায়েরা, বাবারা সন্তানের কাছে যথাযথ মর্যাদা পাবেন, ভালোবাসা পাবেন এটাই এই শুভদিনের প্রত্যাশা।

আজ কিছুদিন বাসাইল পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে খুবই ব্যস্ত। গত ১৬ মে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কথাবার্তা আমাদের পছন্দ হয়েছে। তারা বলেছেন, প্রভাবমুক্ত অবাধ নির্বাচন করবেন। জবরদস্তি ভোটের কোনো আলামত থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনাও চান অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আর এটা যদি হয় তাহলে আমরা গামছার দল আগামী সবকটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। নির্বাচনী প্রচারণা চলছে বেশ ভালোভাবে। যখন লিখছি তখন পর্যন্ত তেমন কোনো অনিয়মের ঘটনা চোখে পড়েনি। হ্যাঁ, দু-এক বার নৌকার প্রার্থী গোলমাল করার চেষ্টা করেছেন। প্রশাসন যেমন সেসব গোলমালে সহযোগিতা করেনি বা পাত্তা দেয়নি, তেমনি ভোটাররাও সেরকম কিছু করেনি। মূলত প্রার্থী তিনজন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রাহাত হাসান টিপুর গামছা প্রতীক, এনায়েত করীম অটল বিএনপির বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারিকেল গাছ, আওয়ামী লীগের আবদুর রহিমের নৌকা। রহিম ছাত্রজীবনে জাসদ করত। বঙ্গবন্ধুর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করত। কয়েক বছর হলো আওয়ামী লীগ করে। এখন টাকা হলে আওয়ামী লীগ হতে তেমন একটা অসুবিধা নেই। আওয়ামী লীগের আগে ঘোড়া মার্কা নিয়ে ফেল করেছিল। রহিমের সুবিধা হলো বাসাইলের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে তার বাড়ি। আগে জলাজঙ্গল থাকলেও মাটি ভরাট করে শহরে বাড়ি করেছে। বিএনপির অটল খুবই সাধারণ দরিদ্র ঘরের মানুষ। আমি এমপি থাকতে বহুবার দেখা হয়েছে। যা বলেছে তা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কেউ কিছু বললে তা করার মতো সামর্থ্য থাকলে না করে স্বস্তি পাই না। একসময় অটলের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। কিন্তু বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করায় তার অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির বহিষ্কারাদেশ আমার ভালো লাগেনি। মনে হয় অতিরিক্ত ঘৃণা থেকে নোটিসটা জারি করেছে। বলা হয়েছে, ‘আগামীতে গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।’ অমন না বললেও পারত। কোনো মানুষকে বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর বলতে হবে? একটা দলের জন্য বছরের পর বছর যখন একজন কর্মী কাজ করেন, তার সঙ্গে মতের অমিল হলেও একেবারে অত নিষ্ঠুর হওয়া আমার কাছে মনে হয় তেমন ভালো না। নির্বাচনী প্রচারে যতটা সম্ভব অংশ নিয়েছি। কয়েকদিন আগে উপজেলা শহরে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সভা করতে গিয়েছিল। সেখানে এলাকার এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম অংশ নেওয়ার কথা ছিল। নীতিমালায় এমপি, মন্ত্রী, সরকারি কর্মচারী বা প্রতিনিধি কারও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। সেজন্য জোয়াহেরুল ইসলামের মিটিং বন্ধ করে দেওয়া যথার্থ হয়েছে। সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে। ভোটাররা বরং আরও খুশি। ভোটে গোলমাল হবে না, জোরজবরদস্তি হবে না এটাই আমাদের আশা। বাকিটা দেখা যাক, আগামীকাল কতটা কী হয়। বাসাইলের নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর হলে সেটা যেমন নির্বাচন কমিশনের জন্য শুভ, তেমনি সরকারের জন্যও ভালো হবে।

যে কোনো নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ থাকলে সে এক মস্তবড় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের সুযোগ। জোরজুলুম, মারামারিতে সেসব নেই। চার-পাঁচ দিন আগে বর্নিকিশোরী গিয়েছিলাম। ভীষণ ভালো লেগেছে সেখানকার মানুষের সাড়া দেখে। আগে কোথাও কোনো রাস্তাঘাট ছিল না। এখন প্রচুর রাস্তা হয়েছে। কিন্তু সবই কেমন যেন এলোমেলো, রক্ষণাবেক্ষণহীন, ভাঙাচোরা। রাস্তা অনেকই হয়। কিন্তু তার রক্ষণাবেক্ষণ তেমন কেউ করে না। বাসাইল সদর থেকে মাইজখাড়া আড়াই-তিন কিলোমিটার। শেষের দিকে এক কিলোমিটার কোনো রাস্তা নেই। পাঁচ-ছয় বছর আগে যা দেখেছিলাম এখনো তাই রয়ে গেছে। কবে যে মাইজখাড়ার রাস্তা হবে কেউ বলতে পারে না। মাইজখাড়ার দিকে নারকেল গাছের প্রার্থী এনায়েত করীম অটলের বাড়ি। এনায়েত করীম অটল আগাগোড়াই বিএনপি করে। কিন্তু তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করায় বেশ চোট পেয়েছে। মোটামুটি পরিবেশ সুন্দর থাকায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম অনেকটা স্বচ্ছ ও প্রশাসন যথাযথ নিরপেক্ষ থাকার মতো হওয়ায় এখনো পরিবেশ বেশ সুন্দর আছে। সেদিন এমনিই হাঁটা পথে ঘুরতে বর্নি গিয়েছিলাম। কয়েক শ মা-বোন আর কয়েক শ ছোটবড় বাচ্চার সঙ্গে দেখা হয়েছে। বড় ভালো লেগেছে তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি। এমনিই বাচ্চারা আমার প্রিয়। বাচ্চারা কাছে এলে সবকিছু ভুলে যাই। আর প্রায় ৫০ বছর চকলেট আমার চিরসাথি। পয়সা থাকুক আর না থাকুক চকলেট থাকে পকেট ভর্তি। উত্তরে চিলমারী-রাজিবপুর-রৌমারী থেকে শুরু করে ফুলছড়ি-বালাশি-বাহাদুরাবাদ কোনো জায়গা নেই যেখানে আমি চকলেট বিলাইনি অথবা আমার চকলেট সেখানে পৌঁছায়নি। নদীপথে ধুনোট-সারিয়াকান্দি-চৌহালি-বেতিল-শাহজাদপুর যমুনার পাড়ে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আমি চকলেট বিলাইনি। নিজের এলাকায় তো কথাই নেই। বাচ্চাদের সঙ্গে মায়েরা-মেয়েরাও চকলেট নিয়ে থাকে। সেদিন একটি ছোট্ট বাচ্চা, কত আর হবে তিন-সাড়ে তিন বছর ছোট্ট হাতে একটা চকলেট গুঁজে দিলে বাচ্চাটি বলছিল, আরেকটা দাও। আরেকটা দিলে আরেকটা চায়। এভাবে প্রায় ছয়-সাতটা। জিজ্ঞেস করেছিলাম, এতগুলো চকলেট দিয়ে তুমি কী করবে? ‘কেন, মা আছে না! বুবু আছে, ভাই আছে।’ বড় ভালো লেগেছিল বাচ্চাটির কথাবার্তায়।

বর্নিকিশোরী আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ’৭১-এর মে মাসের ঘটনা। বর্নিগ্রামের একেবারে পুবপাশে মসজিদওয়ালা বাড়ির বাইরের ঘরে কিছু সময় বসে ছিলাম। হু হু করে দক্ষিণা বাতাসে বুক জুড়িয়ে যাচ্ছিল। কেন যেন শুয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে ছিল খোরশেদ আলম, শওকত মোমেন শাজাহান, আরিফ আহমেদ দুলাল, কমান্ডার মনিরুল ইসলাম। মনে হয় তন্দ্রা এসেছিল। কে যেন আমার দুই পায়ের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার কাছে ছিল একটা রিভলবার ও গ্রেনেড। রিভলবার হাতে নিতে যাব তক্ষুনি কানে আসে সবুরের গলা, ‘পাইছি। আর ছাড়মু না।’ উঠে বসে দেখি আবদুস সবুর খান বীরবিক্রম দুই পা জড়িয়ে আছে। সবুরকে এলেঙ্গার ফুলতলা থেকে বিদায় দিয়েছিলাম। প্রায় এক মাস। সবুরকে পেয়ে সেদিনের মতো আনন্দিত আর মনে হয় মুক্তিযুদ্ধে কখনো হইনি। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। পুরো মুক্তিযুদ্ধে দুটি মানুষ ভীষণভাবে আমার দৃষ্টি কেড়েছে। একজন সবুর খান বীরবিক্রম, আরেকজন আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক। সবুর খান আগস্ট পর্যন্ত আমার সঙ্গেই ছিল। আমাকে দেখাশোনা করত, আমার সঙ্গে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ পরিচালনা করত। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আলাদা কোম্পানি দেওয়া হয়। দেড়-দুই শ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে যারা দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল তাদের মধ্যে মেজর হাবিব, মেজর হাকিম, কোম্পানি কমান্ডার আবদুল গফুর, মনিরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, আনিসুল ইসলাম এরকম আরও দেড় শ কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে আবদুস সবুর খান বীরবিক্রম ছিল অসাধারণ। সবুর কোনো যুদ্ধে হারেনি। ঠিক তেমনি ভালুকার তামাইটের আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক অক্টোবর থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আমার দেহরক্ষী বাহিনীতে ছিল। কমান্ডার ছিল ফজলুল হক বীরপ্রতীক। আবদুল্লাহর মতো তুখোড় মুক্তিযোদ্ধা আমি দেখিনি। ভয় বলে কোনো বিষয় তার মধ্যে কাজ করেনি। যেখানেই গেছি সেখানেই জয়ী হয়ে ফিরেছি। এখন যেখানেই যাই অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। রাহাত হাসান টিপুর নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে বর্নিকিশোরীর অনেক কিছু মনে পড়েছে। মনে হয় প্রখ্যাত অভিনেতা সেলিমের বাড়ি বর্নিকিশোরী। ’৭১-এ যেখানে শুরু এখনো বর্নিকিশোরীর সঙ্গে লতায় পাতায় জড়িয়ে আছি। কয়েক বছর আগে যখন আমরা অবস্থান করছিলাম, ৩০৮ দিন অবস্থানের এক রাত বর্নিকিশোরী ছিলাম। সে ছিল মাহে রমজানের দিন। রোকনদের বাড়ি ছিলাম। ইফতার করেছি, সাহরি খেয়েছি তারপর তাদের বাড়ি ছেড়েছি। আমি যখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম তখন ওদের আরেক ভাই সৌদি আরব থেকে ফোন করছিল, বারবার খবর নিচ্ছিল। খেয়েছি কি না শুয়েছি কি না। এসব এখনো আমায় আকুল করে। বড় ভালো লেগেছে এবার নির্বাচনী প্রচারণায় ঘুরেফিরে। হঠাৎই সেদিন কাঞ্চনপুরের ঢংপাড়ায় গিয়েছিলাম। ব্রাহ্মণপাড়িল পৌরসভার শেষ। সেখান থেকে আরও ২ কিলোমিটার এগিয়ে ঢংপাড়া। আবুল কাশেম নামে এক দোকানি মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আমাদের বড় ভক্ত-অনুরক্ত ছিল। এখন নেই। আমাদের মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে। ঢংপাড়া আমাদের নিবেদিত কর্মী বুলেট, আরেকটু আগে সিংগাইরঢাকের সেলিম। যাই হোক নির্বাচন উৎসবমুখর সুন্দর হলে খুবই খুশি হব। ভোটার নির্বিঘ্নে ভোট দিলে তাতে যে জয়ী হবে সে-ই আমাদের। নির্বাচনী কাঠামো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাসাইলের পৌর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটা যদি একটু পরিবর্তন হয় আস্থা অর্জন করতে পারে সেটাই হবে দেশ এবং জাতির জন্য মঙ্গল।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

সর্বশেষ খবর