মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন মুদ্রানীতি

মূল্যস্ফীতি রোধের কৌশল সফল হোক

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জনবান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ কমিয়ে টাকার মান উন্নয়নে সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে সরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা। মুদ্রানীতি ঘোষণায় আইএমএফের পরামর্শকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, এমনটি মনে করার কারণ রয়েছে। মুদ্রানীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মুদ্রানীতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছে। এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মুদ্রানীতিতে এটা কাঠামোগত পরিবর্তন বলা যায়। নতুন মুদ্রানীতিতে টাকার চাহিদা কমাতে সুদহার বাড়ানো হয়েছে। ঋণের সুদহারের ৯ শতাংশ সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাহিদা, আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্থিতিশীল বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রেপো সুদহার বাড়িয়ে ৬.৫ ও রিভার্স রেপোর সুদহার বাড়িয়ে ৪.৫ শতাংশ করার মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ । চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে সরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৪৩ শতাংশ, যেটি আগের অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ছিল ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ১০.৯ শতাংশ, যেটি বিগত অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ছিল ১১ শতাংশ। ইডিএফ মুদ্রাহার ৪.৫ শতাংশ করা হয়েছে। স্মর্তব্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের অসন্তুষ্টির যে কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সংরক্ষণমূলক মুদ্রানীতি তাতে বাদ সাধতে পারলে তা হবে দেশবাসীর জন্য বড় অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর