সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা

অসতর্কতার কারণেই এ প্রাণহানি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে হৃদয়বিদারক ওই দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে। এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগলে মা, দুই মেয়ে, নাতিসহ আটজন অসহায়ভাবে প্রাণ হারান। ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা এলাকার ওই দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে চালক বের হতে পারলেও এতে থাকা সাতজনই ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যান। অ্যাম্বুলেন্স চালককে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে বিকাল ৫টার দিকে তিনিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিহতদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ তাসলিমা বেগম প্রায় দেড় মাস ধরে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়ে ঈদুল আজহা সামনে রেখে কদমতলী থেকে স্বজনদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগর যাচ্ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্লাইওভারের ওপর ওঠার সময় ডান পাশের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নিহত প্রত্যেকের লাশ বহন ও দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহগুলো স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়। অনুমান করা হয়, চালকের ভুলে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মধ্যে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভ্যাস মজ্জাগত। বেপরোয়াভাবে অ্যাম্বুলেন্সটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় দুর্ঘটনা অনিবার্য হয়ে ওঠে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার অভিলাষে ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ ট্র্যাজেডির উদ্ভব ঘটে। অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অনেকেই একটানা ১৫-২০ ঘণ্টা ডিউটি করেন। এর আগে পদ্মা সেতুতে একই কারণেই একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সজাগ হলে ট্র্যাজেডি এড়ানো সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর