শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

তামিমের অবসর

এমন অবসর ভালো লক্ষণ নয়

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের ওয়ানডে সিরিজ চলমান অবস্থায় অধিনায়কত্ব শুধু নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনন্য রাজপুত্র হিসেবে ভাবা হয় তামিম ইকবালকে। এখনো পর্যন্ত দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কীর্তিমান ব্যাটার তিনি। দেশের সেরা বাঁহাতি ব্যাটার হিসেবেও নন্দিত তামিম ইকবাল। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে তার অর্জন গর্ব করার মতো। ৭০ টেস্টে ১০ সেঞ্চুরিসহ ৫,১৩৪ রানের অধিকারী তিনি। ২৪১টি ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরিসহ রান ৮,৩১৩। টি-২০-এর ৭৮ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরিসহ তার অর্জন ১,৭৫৮ রান। ওয়ানডেতে টাইগারদের মধ্যে তার রানই বেশি। পৃথিবীর সবকিছুর যেমন শুরু থাকে তেমন থাকে শেষও। যত বড় কৃতী ক্রিকেটার হোন- তামিম ইকবালকে আজ হোক কাল হোক বিদায় নিতেই হতো। কিন্তু যেভাবে বিদায় নিলেন তা প্রত্যাশিত ছিল কি না প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃষ্টিস্নাত প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বৃষ্টি আইনে হেরে যায় ১৭ রানে। ম্যাচ হারের পর ক্ষিপ্ত এক কর্তাব্যক্তি নাকি অধিনায়ককে ডেকে বলেন, ফিটনেস ঠিক না থাকার পরও খেলার কারণ কী? এমন মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি তামিম। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে অভিষেক তামিমের। ইতি টানলেন ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে। ফিটনেস নিয়ে কথা ওঠার পর তামিম পরশু রাতে পরিবারের সঙ্গে অবসরের বিষয়ে কথা বলেন। তাদের সম্মতির পর বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে হুট করে অবসরের ঘোষণা দেন। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়, অনেক দিন ধরেই আমি ভাবছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে। তামিম এর আগে টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। এবার বিদায় বললেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে। তবে টেস্ট খেলবেন কি না জানা নেই। যদিও তিনি জানিয়েছেন, সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলেছেন। বিদায়বেলায় মিডিয়াকর্মীদের অনুরোধ করেছেন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সমর্থন জোগাতে। তামিম ইকবাল যে দুঃখ ক্ষোভে বিশ্বকাপের আগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট। যারা তাকে এতে বাধ্য করেছেন তাদের সুমতি ফিরলে দেশের ক্রিকেটের জন্য মঙ্গল।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর