বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকার ও সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে

অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ

সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকার ও সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে

১. শিরোনাম-এর তিনটি শব্দ নিয়েই আলোচনা শুরু করা যায়। প্রথমত, ‘সংবিধান’ যা সর্বোচ্চ আইন। আইনের সংজ্ঞায় সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইন অর্থ কোনো আইন, অধ্যাদেশ, বিধি-বিধান, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশ আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো প্রথা বা রীতি। দ্বিতীয়ত, ‘সুষ্ঠু’ শব্দটির অর্থ হলো, সহজ কথায় নিখুঁত, ত্রুটিহীন, শান্তিপূর্ণ এবং অনবদ্য। তৃতীয়ত, ‘নির্বাচন’ শব্দটির অর্থ, অনেকের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া বা ‘বাছাই করা’ ইত্যাদি। কীভাবে বাছাই করবেন? বাংলাদেশ সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।’ বাংলাদেশ সংবিধানে ৬৫(২) অনুচ্ছেদের মর্মকথা, ‘সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হইবে ‘প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে।’

২. গণতন্ত্র ঃ নির্বাচন : সংবিধানে ১১ অনুচ্ছেদে লিখিত আছে, “প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।” অর্থাৎ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রাষ্ট্রের মূলনীতি। নির্বাচনবিজ্ঞানীরা প্রায় সবাই একমত ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মৌলিক শর্ত সর্বজনীন ভোটাধিকার।’ ফ্রিডম হাউসের ভাষায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হলো ‘নির্বাচনী গণতন্ত্র।’ বিশিষ্ট রাষ্ট্র বিজ্ঞানী রবার্ট ডাল এই নির্বাচনী গণতন্ত্রের সঙ্গে যে সাতটি পূর্ব শর্ত যোগ করেছেন তার স্পিরিট হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, মিডিয়ার স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদি। ভোটারবিহীন ‘নির্বাচনে’ যে সরকার গঠিত ডিজিটাল পরিভাষায় তা ‘হাইব্রিড রেজিম।’ এর লক্ষণ হলো, ভোটাধিকার প্রত্যাখ্যান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর গায়েবি মামলা হামলা ও নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ, রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয়করণ এবং রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নির্বাচন ভন্ডুল করা। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র মুমূর্ষু বা নিখোঁজ হয়ে পড়ে।

৩. দলীয় সরকার : দীর্ঘ ৫০ বছরে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার ওপর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। জাতি-রাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে সব জেলায় ডিসি ও এসপিদের ঢাকায় ডেকে এনে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেন, ‘নির্বাচনে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো বৈষম্য যেন না হয়। সব দল ও প্রার্থী যেন সম সুযোগ পায়।’ কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীরা তা মানেনি। ১৯৭৩ সালে ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৫টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ পদ দখল করা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমাই দিতে পারেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন, আইন, আদেশ, বিধি-বিধান ও প্রথা যাই হোক না কেন তা সংবিধানের সঙ্গে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ। জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হন। ফলে ৭ মার্চ-এ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় নির্বাচন মৃদু প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীর নিকট লন্ডনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলগুলো যদি ১০০টি আসন পেত তাহলে দেশের রাজনৈতিক সমস্যা অনেক কম হতো।

৪. ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, মোটাদাগে বলা যায়, তার কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। সামরিক শাসন আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কারণ নেই। ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা চালু হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে একতরফা সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৬.৭৪% শতাংশ ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থী অর্থাৎ ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৫২% ভাগ ভোটার অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি ৮ লাখ লোককে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনের ইতিহাসে এটি ‘ঐতিহাসিক কলঙ্ক’ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এই নির্বাচন ছিল প্রহসন ও অগ্রহণযোগ্য। এই নির্বাচনে গঠিত সরকারের বৈধতা সংবিধান কীভাবে দেবে। সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, এটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন। নির্বাচনের পর এই প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি।

৫. সংবিধান, আইন ও নীতি-নৈতিকতার মাপকাঠিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা ধরা যাক। ঢাকার ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেই স্মরণ করিয়ে দেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী শাসন, বিরোধীদের নিপীড়ন এবং দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বলেছিলেন, বিরোধীদের অব্যাহতভাবে হয়রানির কারণে জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এ রকম অনুভূতি হয়েছে যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক নিয়মাবলি ও সংস্থাগুলোকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিলেন, ‘এ বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে যে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তবে পরবর্তী সংসদে ক্ষমতাসীন দল বিব্রতকর সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। তার মতে এটা ছিল জালিয়াতির নির্বাচন।’ এই নির্বাচন ছিল নিশিরাতের ভোট চুরির অভিনব কৌশল।

৬. বর্তমান বাস্তবতা : বর্তমানে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি স্তরেই ব্যাপকভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। যেখানে দল ও সরকার প্রধান একই ব্যক্তি, সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তারা দলের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে- মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতাকে এড়িয়ে। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা স্বীয় স্বার্থে ভুলে গেছেন তারা কোনো দল বা সরকারের কর্মচারী নন-সংবিধান মোতাবেক তারা ‘প্রজাতন্ত্রের সেবক।’ লক্ষ্য করব, ১৯৯১ সালে ঊর্ধ্বতন সচিব থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রদবদল বা বদলি করা হয়। সচিব থেকে মুখ্য সচিব পর্যন্ত ১৯৯১ সালে ৪৯১ জন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে কে রদবদল করা হয়। এমনকি ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন বিপুলসংখ্যক ডিসি, এসপি ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করেছেন। বর্তমানে যেভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের স্তরে স্তরে দলীয়করণ করা হয়েছে তা বলবৎ রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

৭. সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ‘ভাঙিয়া দেওয়া’ অবস্থায় ৯০ দিনের মধ্যে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। এর সহজ অর্থ হলো, নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রিসভা এবং সংসদ কার্যকর থাকবে। সংসদে ৩০০ আসনে সংসদ সদস্য বহাল থাকা অবস্থায় আবার আরও নতুন ৩০০ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ ৬০০ এমপি। এ কেমন ব্যবস্থা? জনগণ এমন ব্যবস্থাকে নির্বাচনী তামাশা মনে করে।

৮. সাংঘর্ষিক নয় : শান্তিপূর্ণ সমঝোতা এরূপ রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচন আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সরকারি দল বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী ‘বর্তমান সরকার ও সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন।’ বিরোধী পক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবি তুলেছে। এ অবস্থায় সংবিধানের মধ্যে থেকে বিশেষজ্ঞগণ একটি সমঝোতামূলক ফর্মুলা বের করতে পারেন কি না তা দেখার জন্য জাতি সাগ্রহে তাকিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির অভিমত হলো, দুটি পক্ষই এমন ব্যবস্থা ও পরিবেশ সৃষ্টি করবেন যেন ‘উইন-উইন’ মনোভাবে তুষ্টি বোধ করতে পারেন। এর জন্য অপরিহার্য হলো সদিচ্ছা, সংলাপ ও সমঝোতা।

ক. প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে- নির্বাচনের ৯০ দিন পূর্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচিত গণপরিষদ ভেঙে দিয়েছিলেন এই রীতি রয়ে গেছে। ১৯৯৫ সালে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে সংসদ নেতা অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী যেমন আছেন, সংসদ উপনেতাও আছেন। দুজনই পার্লামেন্ট কর্তৃক নির্বাচিত। সংসদ নেতার অবর্তমানে সংসদ উপনেতার কার্যক্রম সুস্পষ্ট ভাষায় লিখিত আছে। প্রথমে সংসদ নেতা সংসদ উপনেতার নিকট প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন।

খ. ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের Rules of Business অনুযায়ী ৩ই(র) অনুসারে দেশের সৎ, বিবেকবান ও দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকারি জোট ও বিরোধী জোটের সম্মতিতে প্রয়োজনীয় উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন। নির্বাচনকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পরিষদে সভাপতিত্ব করবেন। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবেন। উপদেষ্টাগণ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী এ প্রস্তাবগুলো যথার্থ হিসেবে প্রতীয়মান।

৯. নির্বাচন কমিশন : সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ একটি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন অপরিহার্য। সেটি কীভাবে হতে পারে। ক্ষমতাসীন জোট, আন্দোলনরত জোট ও তৃতীয় জোটপ্রাপ্ত দল সমঝোতার ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও কমিশনারদের নিয়োগ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর তাদের নাম পেশ করবেন। রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেবেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৫ সালের ২৭ মে যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন তিনি যথার্থভাবে দাবি তুলেছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তখন তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেন। বর্তমানে সে রীতি অনুসরণ করা যেতে পারে। ভারতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের ক্ষেত্রে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার রীতি আছে।

১০. ১১৯ (১) অনুচ্ছেদে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো, ‘ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকিবে।’ কিন্তু সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে ‘সহায়তা’ করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ ভারতের সংবিধানে ‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দটি বিদ্যমান যা আমাদের সংবিধানে ১৯(১) তা যুক্ত আছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে (৪) বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।’ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশেও তাই। কিন্তু ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে সংসদে আইন পাস করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হলো কেন? সব কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলেও নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করতে পারবেন না কেন? নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে ক্ষমতা হ্রাস সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিপন্থী।

১১. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন অকৃত্রিম দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের মৌল নীতি ও আদর্শকে ধারণ ও প্রয়োগ। ইতিহাস আমাদের বলে দেয়, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ রক্তে ভেজা শহীদ নূর হোসেনের আত্মাহুতি কি দেশবাসী ভুলে গেছেন? জনগণের পরম অভিব্যক্তির শক্তি নিশ্চয়ই সব প্রতিকূলতা ছিন্নভিন্ন করে গণতন্ত্রকে বিজয়ের সুবর্ণ দ্বারে নিয়ে যাবে।

লেখক : ’৭২ সালের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর