বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্যাস অনুসন্ধান

সাগরপ্রান্তে তৎপর হোন

ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি সংকটে ভুগছে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম এতটাই বেড়েছে যে, জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর নাভিশ্বাস উঠেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কয়েক বছর যাবৎ সুখে থাকা বাংলাদেশের জন্যও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মহাবিপদ হিসেবে হাজির হয়েছে। দুই বছর আগেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ক্রমাগত স্ফীত হওয়ার দিকে। জ্বালানি খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে এখন অবস্থা শ্যাম রাখি না কুল রাখির মতো। এ অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পেতে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি গ্যাসকূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে গতি আনতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য উৎপাদন বণ্টন চুক্তি সংশোধন কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পার্বত্য এলাকার ১০টি স্থানও চিহ্নিত করা হয়েছে। পেট্রোবাংলা ২০২৫ সাল পর্যন্ত যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড বাপেক্সের গ্যাসক্ষেত্রে পাঁচটি আর সিলেট গ্যাসফিল্ডস কোম্পানি এসজিএফএল একটি কূপ খননের কাজ করছে। চলতি বছরের মধ্যে বাপেক্সের পাঁচটি, এসজিএফএলের ছয়টি এবং বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডস কোম্পানি বিজিএফসিএলের চারটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ১৫ কূপে দৈনিক ২১.৭ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করছে পেট্রোবাংলা। আগামী বছর বাপেক্স ছয়টি, বিজিএফসিএল চারটি এবং এসজিএফএল চারটি কূপ খনন করতে পারে। এতে দিনে ১৭.৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হবে। বাংলাদেশে কয়েক বছরের চাহিদা পূরণের মতো কয়লার মজুদ থাকলেও নানা কারণে তা উত্তোলনের কথা এ মুহূর্তে ভাবা হচ্ছে না। কয়লা উত্তোলন করলে বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের বসতভিটা হারাবে। হাজার হাজার বৃক্ষরাজি ধ্বংস হবে। যা কোনোভাবেই কল্যাণকর হবে না। জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাগরপ্রান্তে অনুসন্ধান ও উত্তোলনের পথ বেছে নেওয়াই উত্তম। এ বিষয়ে সক্ষমতা অর্জনও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর