মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোক্তা অধিকার

ক্ষমতায়ন ছাড়া কাজ হবে না

বাংলাদেশের মানুষ অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। ব্যবসায়ীর মুখোশপরা একদল লুটেরার কারণে সাধারণ মানুষ যেমন শোষিত হচ্ছে, তেমনি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সৎ ব্যবসায়ীদের ভাবচ্ছবি। সার্বিকভাবে ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে ভোক্তাদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের ভোক্তারা যে বিপাকে আছে সে বিষয়টি উপলব্ধি করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। বাজার সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আরও ক্ষমতা থাকা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেছে। এজন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সংস্কারও চাইছে সংস্থাটি। একই ধরনের সুপারিশ জানিয়ে সম্প্রতি সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও করণীয়’ সম্পর্কিত ওই প্রতিবেদনে ক্যাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগ করার সুপারিশ করেছে। ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ‘ভোক্তা সম্পর্কিত’ একটি বিভাগ এবং বাণিজ্যনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আরেকটি বিভাগ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। স্মর্তব্য, ভোক্তাস্বার্থ দেখতে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা আইনসহ আরও কয়েকটি আইন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরসহ রয়েছে নানা সংস্থা। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় এসব সংস্থার সক্ষমতা সীমিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারে অকার্যকর। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম বাজার পরিদর্শন ও কিছু জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাজার কারসাজির পেছনে জড়িত সিন্ডিকেট প্রতিরোধে এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সীমিত। আমাদের বিশ্বাস, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ক্ষমতায়নসহ ভোক্তাস্বার্থ রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা হলে অসৎ ব্যবসায়ীদের লাগাম পরানো সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর