বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা

নিশ্চিত করবে খাদ্য নিরাপত্তা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুনিয়াজুড়ে নিরাপদ, টেকসই ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। ইতালিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দফতরে জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপরোক্ত আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী এমন একসময় এ আহ্বান জানিয়েছেন যখন জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বমন্দার করাল গ্রাসে বিশ্ব ভয়াবহ খাদ্য সমস্যায় পতিত হয়েছে এবং যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে তাঁর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবে আর্থিক প্রণোদনা, খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, প্রযুক্তি বিনিময় এবং খাদ্য অপচয় রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সারা বিশ্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিকভাবে ৬৯০ মিলিয়ন মানুষ এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই। প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞায় খাদ্য, সার, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যাকে ঘনীভূত করেছে। সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহের অক্ষমতার জন্য কৃষি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যই একমাত্র প্রতিবন্ধকতা নয়। সম্মিলিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে বৈশ্বিক টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হবে। জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবে সময়ের চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে। এ প্রস্তাব শুধু খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে তা নয়, বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতারও পরিপূরক হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ ক্ষুধা মানুষকে সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়। যা থেকে নিজেদের সুরক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর