বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

অপ্রতিরোধ্য ডেঙ্গু

মশা নিধনে জোরালো কর্মসূচি নিন

ডেঙ্গু এখন এক ভয়ংকর আতঙ্কের নাম। প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গুজ্বরে। সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালেই এখন ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এ তিন জেলায় রাজধানী ঢাকার মতো রেকর্ডসংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। সোমবার সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৩ জন, মারা গেছেন ৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ২৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ১ হাজার ৫৫ জন। যারা মারা গেছেন তাদের সবাই ঢাকার। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৭০ জন, মারা গেছেন ১৮৫ জন। এর মধ্যে জুলাইয়ের ২৪ দিনে মারা গেছেন ১৩৮ জন। ডেঙ্গু আগ্রাসনে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সোমবার এ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫৭৯ জন। রোগীর চাপ সামলাতে শয্যা না থাকায় মেঝেতে রোগী রেখে চলছে চিকিৎসা। বেসরকারি হাসপাতালেও শয্যা সংকট। রোগী সামনে আরও বাড়তে থাকলে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ভর্তি ছিলেন ২৭৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৭৮ জন, শিশু হাসপাতালে ৮১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭৮ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৭৭ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৫৭ জনসহ রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৩১৬ জন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৭৯ জন। ঢাকার বাইরেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৬৮ জন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মশা নিধনে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। আগামী তিন মাসের মধ্যে শীত মৌসুমের আগমনে ডেঙ্গুর আগ্রাসন থেমে যাবে। তবে রাজধানীসহ ডেঙ্গু উপদ্রুত এলাকায় থেকে যাবে এডিস মশার লার্ভা। এগুলো নিধনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিলে ডেঙ্গুর অভিশাপ থেকে আগামী বছরগুলোতেও দেশবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর