সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আন্দোলনে মধ্যাহ্নভোজ, ফল-জুস থেরাপি

নঈম নিজাম

আন্দোলনে মধ্যাহ্নভোজ, ফল-জুস থেরাপি

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ দুপুরের খাবার খেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়কে নিয়ে। হারুন খাবার তুলে দিচ্ছেন। গম্ভীর মুখে খাচ্ছেন গয়েশ্বর। সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। হারুন সাংবাদিকদের বলেন, তারা গয়েশ্বর রায়কে আটক করেননি। সংঘাত শুরুর পর নিরাপত্তার জন্য তাদের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন।  পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ঢিলাঢিলির সময় গয়েশ্বর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তার জন্য গয়েশ্বরকে ডিবি অফিসে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তারপর মধ্যাহ্নভোজের পর বাড়িতে পৌঁছে দেন। একই সময়ে বিএনপির অন্যতম শীর্ষনেতা আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হাফিজুর রহমান লিকু। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ফল ও জুস তুলে দেন আমানউল্লাহ আমানের হাতে। জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে পাঠিয়েছেন আমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। রাজপথে আমানের অসুস্থ হওয়ার খবরে প্রধানমন্ত্রী উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করেছেন। প্রয়োজনে এই বিএনপি নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পাঠানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জবাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান।

স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকলে এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেন না। রাজনীতিতে এমন শিষ্টাচার ও শালীনতাবোধ নতুন কিছু নয়। সরকারপ্রধানরা বিরোধী দলের নেতাদের পাশে অতীতেও দাঁড়িয়েছেন। সেই রাজনীতি এখন আর নেই। স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারা নষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু নিজের প্রতিপক্ষেরও সুখ-দুঃখের খবর নিতেন। তাদের পাশে দাঁড়াতেন। নিজের ক্ষতির কথা চিন্তা করতেন না। রক্ষীবাহিনীর উপপরিচালক কর্নেল (অব.) সরোয়ার হোসেন মোল্লার সঙ্গে পুরনো একটা ঘটনা শেয়ার হলো। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে একবার ঢাকার রাজপথে ভুখা মিছিল বের করেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। মিছিলটি দীর্ঘপথ পার হয়ে পুরাতন গণভবনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পৌঁছে। বঙ্গবন্ধু তখন দেশের বাইরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের ভিতরে আলাপ করে নিলেন রক্ষীবাহিনীর দুই উপপরিচালক আনোয়ারুল আলম শহীদ, সরোয়ার হোসেন মোল্লা ও পুলিশের এসপি মাহবুব। তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দেন হুজুরের প্রতি খেয়াল রাখতে। দৃষ্টি রাখতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। পারলে সেবাযত্ন করতে। মিছিলটি গণভবনের কাছে চলে আসে। মওলানা ভাসানীর পাশে ছিলেন কাজী জাফর আহমেদ ও আবদুল মান্নানসহ অনেক সিনিয়র নেতা। রক্ষীবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ও এসপি মাহবুব সিদ্ধান্ত নিলেন, দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করবেন মওলানা ভাসানীর জন্য। পাশাপাশি রক্ষীবাহিনীর এক কোম্পানি সৈন্য দিয়ে স্যালুট জানাবেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য পুরাতন গণভবনে মওলানা ভাসানীকে নিয়ে যান রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা। তারা মওলানা ভাসানীকে বলেন, আপনার সব কথা শুনে বঙ্গবন্ধুকে আমরা জানাব। তিনি দেশের বাইরে। কাজী জাফর আহমেদ কর্মকর্তাদের বলেন, আমরা লিখিত এনেছি দাবিগুলো। রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, লিখিত স্মারকলিপি রাস্তায় নেওয়ার কিছু নেই। ভিতরে চলুন। কোনো সমস্যা নেই। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ভিতরে যেতে সম্মত হন। ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা প্রেসিডেন্সিয়াল স্যালুট প্রদান করে মওলানা ভাসানীকে। তিনি বিস্মিত হন। এভাবে স্যালুট প্রত্যাশা করেননি। তার রাগ ঝরে পড়ে। স্যালুটের পর ভিতরে নেওয়া হয় মওলানা ভাসানীকে। খাওয়া-দাওয়ার বিশাল আয়োজন আগে থেকেই করা হয়েছিল। কর্মকর্তাদের অনুরোধে খাবার গ্রহণ করলেন মওলানা ভাসানী। সবার সঙ্গে গল্প করলেন। বললেন, মুজিবুরকে অনেক ভালোবাসি। খোশ মেজাজে তিনি বের হলেন পুরাতন গণভবন থেকে। এ নিয়ে আনোয়ারুল আলম শহীদও লিখে গেছেন বিভিন্ন লেখনীতে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। মত ও পথের ভিন্নতা নিয়ে দল ছাড়লেও ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধা রাখতেন মওলানা ভাসানীর প্রতি। বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল গিয়েও একবার ঈদে মওলানা ভাসানীকে দেখে এসেছিলেন। হুজুরের জন্য ঢাকা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ঈদ উপহার। আরেকবার পল্টনে আন্দোলন কর্মসূচি থেকে মওলানা ভাসানীকে আটক করে পুলিশ। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি জানার পর ক্ষুব্ধ হলেন পুলিশের ওপর। বললেন, হুজুরকে তোরা আটক করলি কেন? এখনই হেলিকপ্টারে সম্মানের সঙ্গে টাঙ্গাইলের সন্তোষে নিয়ে যা। রেখে আস হুজুরের বাড়িতে। খেয়াল রাখবি বাড়িতে খাবার নাও থাকতে পারে। যা দরকার কিনে দিয়ে আসবি। প্রয়োজন হলে টাঙ্গাইল সদর থেকে ডাক্তার নিয়ে যাবি। শুধু মওলানা ভাসানী নন আরও অনেক বিপক্ষের নেতার খোঁজ রাখতেন বঙ্গবন্ধু। তোফায়েল আহমেদ সব কিছুর নীরব সাক্ষী। স্বাধীনতার পর কারা অন্তরীণ সবুর খান, শাহ আজিজুর রহমানের পরিবারকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পাঠানোর দায়িত্ব ছিল তোফায়েল আহমেদের ওপর। তোফায়েল ভাইয়ের মুখে অনেক স্মৃতিকথা শুনেছি। বঙ্গবন্ধু বলতেন তাদের সংসার চলবে কীভাবে? সবুর খানকে বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত করেন। তোফায়েল আহমেদের দায়িত্ব ছিল বাড়ি পৌঁছে দেওয়া। সেই সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে জাসদের নেতাদের আহত হওয়ার খবরেও বঙ্গবন্ধু ব্যথিত হতেন। একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে আ স ম আবদুর রব গুলিবিদ্ধ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হন। ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা তখন জাসদের সাধারণ সম্পাদক। আর জাসদ সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উতাল-পাতাল আন্দোলনে ব্যস্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও, ভারতীয় হাইকমিশনারকে অপহরণের চেষ্টাসহ হঠকারিতার শেষ ছিল না তাদের। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পিজি হাসপাতালে আ স ম রবের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, রবের রুমে বসানো হয় টেলিফোন। বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। খোঁজখবর নেন চিকিৎসার। প্রয়োজনে বিদেশ পাঠানোর কথা বলেন।

আমাদের রাজনীতিতে সহনশীলতার একটা যুগ ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার কালো অধ্যায়ের ভিতর দিয়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। প্রতিহিংসার ডালপালার বিকাশ ২০০১ সালের পর থেকে। নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমার আর্তনাদের কথাগুলো সেই দিন শুনছিলাম। একটা ভয়াবহ সময় অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। মানুষ সেই সব দিনে ফিরে যেতে চায় না আর। রাজনীতিতে সবাই একটা ইতিবাচক সহনশীল পরিবেশ দেখতে চায়। আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা আগুনসন্ত্রাসের পরিবর্তে সুস্থধারার একটা যুগ চায়। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে শেখ হাসিনা উদারতার একটা অধ্যায় শুরু করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীতে কাছাকাছি অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিশাল শো ডাউন দেখেছি। দুই দলের সমাবেশ থেকে বক্তব্য-বিবৃতিতে পরস্পরকে আক্রমণ ছিল। কিন্তু কোথাও কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল না। কারও ওপর কেউ হামলা করেনি। পুলিশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে দুই দলের জনসমাবেশের নিরাপত্তায়। ঢাকাবাসীসহ গোটা দেশ স্বস্তি নিয়ে দুই দলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছিল। সেই ধন্যবাদের ওপর চরম আঘাত এসে হানা দেয় শনিবারের সংঘাত-সংঘর্ষ। বাস পোড়ানো, পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা সবাইকে থমকে দিয়েছে। তৈরি করেছে আতঙ্ক। ঢাকার প্রবেশপথগুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। কেন এমন পরিবেশ তৈরি হলো হঠাৎ করে কারও কাছেই বোধগম্য নয়। রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন, বোমাবাজি, আগুনের সেই যুগ এখন আর নেই। মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বরাজনীতির অনেক কিছুও বদলে গেছে। এখনকার যুদ্ধটা অর্থনীতি নিয়ে। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্ররা এখন ধ্বংসাত্মক কাজে নেই। ক্ষুদ্র থেকে বড় ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত নিত্যদিনের হিসাব নিয়ে। গাড়ি পুড়িয়ে, পুলিশের ওপর হামলা করে সরকার পরিবর্তন এখন আর সম্ভব নয়। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে সাময়িক বিশৃঙ্খলা করা যাবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিটা নিজেদেরই হবে। ভুলে গেলে চলবে না ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ভয়াবহ একটা সময় অতিবাহিত করেছিল। সেই সময়ে বিএনপি ভোটে না গিয়ে সহিংস আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সারা দেশ ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। উত্তরাঞ্চল একটা বিভীষিকার ভিতরে ছিল। ২৮টি জেলায় পুলিশও কয়েক মাস অসহায় ছিল। সেই আন্দোলন কোনো ফল বয়ে আনেনি। বরং বিএনপিকর্মীরা মামলা ও কারাভোগের শিকার হন। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয় মামলার খরচ চালাতে গিয়ে। অনেকে হারান প্রিয়জন। তখন আগুনসন্ত্রাসে না গিয়ে বিএনপি ভোটে গেলে আজকের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত। বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে যেতে হতো না। দলের নেতা-কর্মীদের এত হামলা মামলা মোকাবিলা করতে হতো না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতা থাকত। সেই জটিল পরিস্থিতির খেসারত বিএনপিকে এখনো দিতে হচ্ছে। হয়তো আরও অনেকদিন দিয়ে যেতে হবে।

সামনে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন আবার সংগঠিত হয়েছে। সভা-সমাবেশ করছে। উপস্থিতিও বেড়েছে। বিএনপি কর্মীদের মাঠ উপস্থিতির গরম কেন্দ্রীয় নেতারা সামাল দিতে পারেনি। তারা হুট করে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিল ঢাকায়। কোনো দরকার ছিল না এভাবে আবার কর্মীদের বিপদে ফেলার। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে মিছিল সমাবেশ স্বাভাবিক অধিকার। সেই অধিকারের সুযোগে শনিবার যা হলো তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভের কিছু নেই। নিজেদের বোঝা দরকার ছিল ফাগুনের গান ভাদ্র মাসে গেয়ে লাভ হয় না। সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। পরিবেশ, পরিস্থিতির পরিবর্তন এসেছে বিশ্বরাজনীতি ও ভূ-রাজনীতিতে। গত কয়েক বছরে অনেক কিছু ওলট-পালট হয়েছে। ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে সরকার উচ্ছেদ দুনিয়ার কোথাও এখন অসম্ভব। সরকার পরিবর্তনের উপায় হলো ভোট। ভোটের রাজনীতিতে সবাইকে থাকতে হবে। ভোগান্তি ও দুর্ভোগ কেউ পছন্দ করে না। অর্থনীতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরাও তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ যে অবস্থানে উঠে দাঁড়িয়েছে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। ক্ষমতার বদল বিদেশি পয়গামে হয় না। আসমান থেকে গায়েবি আওয়াজে কোনো কিছু আসবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে থাকতে হবে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করেছিল। ’৯৬ সালে জনতার মঞ্চের কারণে একতরফা ভোটে করা সংসদ বাতিল করে বেগম খালেদা জিয়া নতুন করে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। গঠন করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরশাদের পতন হয়েছিল সর্বদলীয় ছাত্র আন্দোলনে। বর্তমান বাস্তবতায় ৯ মণ ঘি পুড়বে না, রাধাও নাচবে না।

মানুষ শান্তি স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। গ্রামগঞ্জের অর্থনীতিতে এসেছে পরিবর্তন। আমার ভাই সেই দিন বলল, মায়ের জন্য গ্রামে কাজের লোক খুঁজে পাচ্ছে না। মাঠে কাজ করার লোক নেই। গ্রামীণ অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। শহরে স্থিতি তৈরি হয়েছে কভিড ও যুদ্ধকালীন অর্থনীতি মোকাবিলার ভিতর দিয়ে। বিএনপির আন্দোলনে ঢাকা এসে অনেকে দেখেছেন ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা থেকে ঢাকামুখী মহাসড়ক, পূর্বাচলের ৩০০ ফুট, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। চারপাশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে অস্বীকারের সুযোগ নেই।  জনমত সুষ্ঠু স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশের পক্ষে। উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে। মানুষ একটা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দেখতে চায়। সিটি করপোরেশন ভোটগুলো আশার আলো দেখিয়েছে।

মূলধারার রাজনীতি এড়িয়ে চোরাই গলিতে হাঁটাহাঁটি করে লাভ নেই। চোরাই পথে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। মইন ইউ আহমেদ মার্কা ১/১১ সরকার বাংলাদেশে আর হবে না। সব অবৈধ পথ এখন বন্ধ।  এখন ক্ষমতায় থাকতে অথবা আসতে জনসমর্থন লাগবে। গুজব ছড়িয়ে ক্ষমতা বদল হবে না। সাময়িক বিভ্রান্তি তৈরি করা যায়।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর