শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ড. শেখ মেহেদী হাসান

যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ (১২ ডিসেম্বর ২০২২) উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা আগামী ’৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।’ স্মার্ট বাংলাদেশ হলো বিজ্ঞানভিত্তিক, তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কথা বলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত। আসলে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এ শব্দগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ থিওরিকে বাস্তবে রূপায়ণ করা সম্ভব, যার মূল সারমর্ম হলো- দেশের প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আছি যেখানে মানবতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম। পৃথিবীর সব সম্পদ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এমন কল্যাণের দ্বার উন্মোচিত হবে যেখানে প্রতিটি মানুষের সুখী ও সম্মানজনক জীবনের ন্যূনতম নিশ্চয়তা থাকবে।’ তাঁর স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ পেয়েছে। দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন সর্বজনীন এবং সবার আয়ত্তের মধ্যে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি প্রচেষ্টা ব্যাপক আকার ও মাত্রায় বাস্তবায়িত হয়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামগুলোতে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হলো- বাংলাদেশে ডিজিটাল ক্ষমতার প্রসার ঘটেছে। বিশ্বের যে কটি দেশ অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী, বাংলাদেশ তাদের কাছে একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে। এ রূপান্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেবা, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নকে নতুন পথে চালিত করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের তরুণদের রয়েছে দুটি বিশেষ শক্তি- আস্থা, ক্ষমতা ও দক্ষতার মাত্রা। পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে এ আস্থা, বিশ্বাস নিয়েই আমরা প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে সক্ষম।    এ জন্য সমগ্র বিশ্বই আজ তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত শক্তি ও প্রচেষ্টার দিকে। ১৯৯২ সালে বিএনপির আমলে বাংলাদেশকে বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল লাইনে সংযোগ দিতে চাইলে ‘তথ্য পাচার’ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে তা খালেদা জিয়ার সরকার প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ১০ হাজার স্কুলের জন্য অর্ধেক দামে নেদারল্যান্ডস থেকে কম্পিউটার আমদানির চুক্তি করলে শুধু শেখ রেহানার কন্যা, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে ওই কোম্পানির নাম ‘টিউলিপ’ হওয়ায় পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকার সেই চুক্তি বাতিল করে। ফলে বাংলাদেশ তো সেই কম্পিউটার পায়নি, উপরন্তু অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ৩২ কোটি টাকা জরিমানা দিয়ে নিষ্কৃতি পায়।

সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য নিরলস কাজ করছে। শিক্ষা, কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। করোনা অতিমারির সংকটকালীন মুহূর্তেও ঘরে বসে অনলাইনে নাগরিকরা প্রায় সব ধরনের সেবা পেয়েছেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা ঘরে বসেই করতে পেরেছেন। প্রযুক্তির এ সহজলভ্যতার কারণে সব ধরনের বিল ও আর্থিক লেনদেন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর কথা হলো- ‘খুঁজে নাও পছন্দের কর্মক্ষেত্র, বেছে নাও নব প্রযুক্তি, কাজে লাগাও নিজের উদ্ভাবনী শক্তি, অনুকরণ নয়, ছড়িয়ে দাও উদ্ভাবন।’ এ অসাধারণ উপদেশ লাখ লাখ তরুণের অনুপ্রেরণা।

ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে- দেশের সবকিছু উন্নত বিশ্বের মতো প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা, যাকে এক কথায় ডিজিটালাইজেশন বলা হয়ে থাকে। এটি বিশেষ ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিনির্ভর ডকুমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। একসময় আমাদের দেশের পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা অনেক দেশেই কম ছিল। সেই পাসপোর্ট যখন সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে রূপান্তর করা হলো তখন এর গ্রহণযোগ্যতাও অনেকগুণ বেড়ে যায়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’-এর শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬তম। বর্তমানে দেশ ডিজিটাল বিপ্লবের পরের অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। অ-ডিজিটাল ক্ষেত্রগুলোতে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রভাব এখন অনস্বীকার্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক উন্নত হতে হবে এবং সে উদ্যোগ সফল করতে স্মার্ট বাংলাদেশ এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এক কর্মপরিকল্পনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। সরকারি বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস ও বিগ-ডাটা সমন্বিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়।’ ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সার্ভিসের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ প্রয়োজনীয় সেবা কম সময়ে, কম খরচে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৯০ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে। দেড় বিলিয়ন ডলার আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় হচ্ছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন, ভূমিসেবা আপনি আপনার স্মার্ট ফোনে পাবেন। স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক বড় হবে নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে। দাফতরিক কাজে কাগজের ব্যবহার কমে যাবে। সব লেনদেন হবে ক্যাশলেস। আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেস হবে। সমাজের ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমবে। শতভাগ মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত থাকবে। জানা গেছে, শিক্ষা কৃষি বিচার বিভাগ স্বাস্থ্যসহ ৪০টি উদ্যোগ নির্বাচন করেছে সরকার। এ মুহূর্তে ১৯ কোটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট এবং ১৬ লাখ এজেন্টের মাধ্যমে মানুষ সেবা পাচ্ছে। ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভ্রমণে ভোগান্তি দূর করতে ই-টিকিট চালু হয়েছে। বিচারিক ব্যবস্থাকে সহজ করতে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিশিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ। ভার্চুয়াল কোর্ট করোনাকালীন চালু করা হয়। থানায় সাধারণ ডায়েরি, মামলা ফাইলিং ডিজিটাল হয়েছে। জরুরি সেবায় জনগণের পাশে আছে ৯৯৯। ভূমিসেবায় বিপুল পরিবর্তন এসেছে। ভূমিবিষয়ক জরুরি সেবা প্রদানে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং ১৬১২২ একত্রে কাজ করেছে। ৩৩৩-২ নম্ব^রে ফোন করে ঘরে বসেই ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপ প্রাপ্তি, নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বেড়েছে। ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তায় আনা সম্ভব হয়েছে। ই-টেন্ডারিং চালু রয়েছে।

২০২১ থেকে ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাও প্রণয়ন শুরু হয়ে গেছে, অর্থাৎ ’২১ থেকে ’৪১ পর্যন্ত সময়ে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। অন্যদিকে ২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও এ বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দর, সুস্থ ও স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করে দেওয়ার কথা বলেছেন মাতৃসম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের লক্ষ্য স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম। উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে।

বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপাদান তরুণ প্রজন্ম। প্রযুক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার রূপকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সরকার ও নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি’ স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে স্থাপন করা হয়েছে ‘সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রসহ মোট ১০০টি উদ্ভাবনী আইসিটি পণ্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাজারে আসবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার আইসিটি রপ্তানি ও ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় সংসদ সদস্যদের তিনটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে- নীতি কৌশল আইন প্রণয়ন, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা এবং জনপ্রতিনিধি ও ১৭ কোটি মানুষের ভয়েস হিসেবে জাতীয় সংসদে অবদান রাখা।

স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তর এক বিশাল কর্মযজ্ঞ-পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, দক্ষ লোকবল, সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা, আন্তরিকতা এবং সদিচ্ছা থাকতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকবে তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নত প্রযুক্তি, প্রযুক্তিগত ক্ষমতার প্রসার এবং শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টা জোরদার হবে। অবকাঠামো ও অন্যান্য সরকারি সেবায় বিনিয়োগের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী ম্যানুফ্যাকচারিং খাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে বলিষ্ঠ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।  জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা, উদ্ভাবনী জাতি গঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণ, যা অর্জিত হলে ২০৪১ সালে দেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর মেধাভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ।

লেখক : রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ

সর্বশেষ খবর