শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

জোরদার হোক আস্থার সম্পর্ক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অবশেষে জ্বলে উঠেছে আশার আলো। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিন্ন বন্ধু চীনের দূতিয়ালিতে এ ক্ষেত্রে ঘটেছে ইতিবাচক অগ্রগতি। প্রথম থেকেই মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা বলে এলেও সেখানে ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি। তারা রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ক্যাম্প তৈরি করেছিল। এবার তারা ক্যাম্প বা মডেল ভিলেজ নয়, রোহিঙ্গারা যেসব এলাকায় বসবাস করত সেখানেই তাদের পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে মিয়ারমার। রোহিঙ্গাদের ফিরে গেলে প্রথম তিন মাসের ব্যয় বহন করা এবং জীবিকার জন্য তাদের মাছ ধরা ও কৃষি কাজের সুযোগও দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েক পর্যায়ে ৭ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করার প্রত্যাশা নিয়ে খানিকটা নীরবেই ঢাকা ঘুরে গেছেন চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত দেং সিজুন। গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার তিন দিনের ঢাকা সফরে এসে সরকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে দেং সিজুন আলোচনা করেছেন। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এত দিনের আলোচনায় নতুন মাত্রা এসেছে। চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ঢাকায় চীনা দূতের এটি দ্বিতীয় সফর। গত সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনা দূত। আলোচনায় পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়। বাংলাদেশে আসার আগে চীনের বিশেষ দূত মিয়ানমার সফর করেছেন। মিয়ানমারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি-এমন বার্তা বাংলাদেশকে দিয়েছেন চীনের দূত। ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে চীন চায় বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবে তাদের বিরুদ্ধ শিবিরের সঙ্গে যুক্ত না হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কোনো যুদ্ধ জোটে না থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। যে কারণে বাংলাদেশের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা টিকিয়ে রাখতেই চীন রোহিঙ্গা সংকটের সম্মানজনক সমাধান খুঁজে পেতে চাচ্ছে। যা সফল হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশের আস্থায় থাকতে পারবে তারা। বহুপক্ষীয় সম্পর্কও জোরদার হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর