শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

যৌথ ভবিষ্যৎ : একটি উত্তম আগামীর প্রত্যাশা

বিবেক দেবরয়

যৌথ ভবিষ্যৎ : একটি উত্তম আগামীর প্রত্যাশা

এসডিজিগুলো হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করার লক্ষ্যে জাতিগুলোর জন্য একটি এজেন্ডা হিসেবে গৃহীত হয়েছে। সেগুলো এতটাই পরিচিত যে, তাদের নতুন করে পরিচিত করার দরকার নেই। আগের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মতো, একটি সমজাতীয় কাঠামো রয়েছে, যেখানে ১৭টি বিস্তৃত লক্ষ্যমাত্রা ১৬৯টি লক্ষ্যের  মাধ্যমে স্পষ্টতা প্রদান করে এবং চিহ্নিত সূচকগুলোর মাধ্যমে আরও পরিমার্জিত হয়। সেপ্টেম্বর ২০১৫তে গৃহীত হয়ে এতে ২৩২টি সূচক রয়েছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে গেলে অনেকগুলো লক্ষ্য ও সূচক রয়েছে, যা সরকারের সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। কিন্তু এটি ইতোমধ্যে প্রদত্ত গঠন প্রক্রিয়া। কভিড সেই সম্ভাবনাগুলোকে একেবারে ছিটকে দিয়েছে। কভিডের ফলে শুধু মৃত্যুহার নয়, অসুস্থতা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ফলাফলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধার ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এটি ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে আরও জোরালোভাবে সামনে এসেছে। জাতিসংঘের ২০২২ সালের এসডিজি রিপোর্ট একটি মর্মান্তিক চিত্র উপস্থাপন করে। সর্বশেষ উপলব্ধ তথ্য ও অনুমান অনুযায়ী, এটি প্রকাশ করে যে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা একাধিক, নিরন্তর ও অভিন্ন সংকটগুলোর কারণে মারাত্মক ঝুঁঁকির মধ্যে রয়েছে।

কভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাত প্রাধান্য পেয়েছে। জেফরি স্যাকস ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সাদৃশ্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং এটি এসডিজিবিষয়ক আগ্রহ থেকে বিচ্যুতিগুলোকেও তুলে ধরে। তবুও এটা স্পষ্ট যে, এ বহুসংখ্যক ও একই সময়কালীন সংকট নীতিগত মনোযোগ ও অগ্রাধিকারগুলোকে মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য যেমন এসডিজিগুলো এবং প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাগ্রিমেন্ট থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে : স্বল্পমেয়াদি সমস্যাগুলোর দিকে মনোযোগের স্থানান্তর ঘটেছে যা ধীরগতি প্রাপ্ত হওয়ার হুমকি সৃষ্টি করে, এমনকি উচ্চাকাক্সক্ষী ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা গ্রহণকে বন্ধ করে দেয় এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের ওপরও চাপ তৈরি করে।

ভারত, এসডিজিগুলো ও কভিড

এসডিজিগুলোর দিকে ভারতের অগ্রসর হওয়া এবং ভারত তার অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য যা করতে চায় সেগুলো একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ‘সাবকা সাথ সাবকা বিকাশ সাবকা বিসওয়াস’ এবং জীবনযাত্রার ও ব্যবসা করার সহজতা মে ২০১৪ থেকে সরকারের লক্ষ্য হয়ে রয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার এটি অনুসরণ করে চলেছে।

কভিড অতিমারি সারা বিশ্বের মতো ভারতকেও অজান্তেই ধরে ফেলেছে। এটি ছিল একটি বহিরাগত ধাক্কা। সেই সময়ে, প্রচলিত ধারণা এমন ছিল, যা উন্নত বিশ্বের অনেকেই ভেবেছিল যে, ভারত বিপর্যস্ত হবে। লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। যখন জনগণের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, দেখা যায় যে কোনো সূচকে ভারত অসাধারণভাবে সফল হয়েছে। সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হার উভয়ই কমে গেছে। সেই সময়ে প্রচলিত ধারণা অনুসারে বিষয়টি ছিল এমন যে, ভারত কখনোই তার নিজস্ব একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে না এবং নির্বিশেষে, তার জনগণকে টিকা দিতে সক্ষম হবে না। উভয় ধারণাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ভারত এ বাহ্যিকভাবে আরোপিত বিপর্যয়কে অসাধারণভাবে মোকাবিলা করেছে, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ওপর জোর দেওয়া এবং কল্যাণকর সুবিধাগুলোর বহনযোগ্যতার দ্বারা তা সম্ভব হয়েছে। রাজস্ব নীতির বিতর্কে সেই সময়ে এটি প্রস্তাবিত মতবাদ ছিল যে, লকডাউন ও অতিমারি থেকে উদ্ভূত হয়ে ভারতের উচিত তার অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার জন্য সরকারি ব্যয়, অর্থাৎ রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি করা। বিনামূল্যের খাবার (প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ আন্না যোজনা) বাদে তেমন কিছুই করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার মূলধন ব্যয় বৃদ্ধি করেছে, স্বীকার করেছে যে মূলধন ব্যয়ের প্রভাব রাজস্ব ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি এবং আর্থিক সতর্কতা অবলম্বন করাকে অগ্রাহ্য করেনি। অতএব সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলোয় যতখানি শঙ্কা রয়েছে, ভারত এ আর্থিক বছরে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি এবং অদূর ভবিষ্যতেও সেটাই থাকবে। এমনকি মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রেও, মূলত আমদানিকৃত মুদ্রাস্ফীতি থাকা সত্ত্বেও, ভারত উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো করেছে। যা করা হয়েছিল তার বেশির ভাগই ছিল ২০১৪ সালের মে মাস থেকে অনুসরণকৃত নীতিমালার ধারাবাহিকতা। প্রথমত, প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও উদ্যোক্তাগণের প্রকাশ ও বিকাশের জন্য একটি সক্ষম পরিকাঠামো রয়েছে। দ্বিতীয়ত, অন্তর্ভুক্তি হয়েছে যাকে ক্ষমতায়ন হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর একটি অংশ যৌথ ব্যক্তিগত পণ্য- পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শৌচালয়, পানি, প্রযুক্তি ও আর্থিক পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে করা হয়। এটি সমাজের ঐতিহাসিকভাবে বঞ্চিত ও প্রান্তিক অংশগুলোকে মূলধারায় পরিণত করতে সক্ষম করে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০-২১ এ উন্নতিগুলো পরিমাপ ও সংখ্যায় ব্যক্ত করার জন্য একটি ‘বেয়ার নেসেসিটিজ’ সূচক (বিএনআই) তৈরি করেছে। অবশিষ্ট অংশটি ছিল আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে ডিবিটি (ডিরেক্ট বেনেফিট ট্রান্সফারস)-এর সঙ্গে যোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ভর্তুকি প্রদান করার লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক ও জাতি ঐক্য (এসইসিসি)-এর ব্যবহার। সরকারি ড্যাশবোর্ড ব্যতীত, এ উন্নতিগুলো তৃতীয় পক্ষের নিরীক্ষায় এবং জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা (এনএফএইচএস-৫)-এর প্রশ্নমালার উত্তরগুলোও স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং এটি কোনো বড় আশ্চর্যের কিছু নয় যে, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসূচক (এমডিপিআই) ব্যবহার করে ইউএনডিপির ২০২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, অনেক ভারতীয়ই দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠেছেন। তাই যদিও সব দেশ এসডিজিগুলো থেকে বিচ্যুত হয়েছে, ভারত অনেকের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। জেফরি স্যাকস-এর পূর্বোক্ত ড্যাশবোর্ডও এটিকে সবার দৃষ্টিগোচর করিয়েছে। এটা বলা উচিত যে, এসডিজি সূচকগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক অভিযোজিত ও পরিবর্তিত হয়। ভারতের জন্য, পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের (এমওএসপিআই) একটি জাতীয় নির্দেশক পরিকাঠামো রয়েছে। ভারতে যা ঘটে তা তার রাজ্যস্তরে যা ঘটে সেটার সমষ্টি। এনআইটিআই আয়োগ একটি এসডিজি সূচকের ভিত্তিতে রাজ্যগুলো স্কোর করে থাকেন। পারফরম্যান্সের মাপকাঠিতে কোন রাজ্যগুলো ভারতকে নিচে নামাচ্ছে তা বের করা সহজ। সরকারি ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং সর্বাধিক ফলাফল প্রদান করবে এমন ক্ষেত্রগুলো মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চাকাক্সক্ষী জেলা কর্মসূচি এ ধরনের মনোযোগ দেওয়ার একটি উদাহরণ, যা ১১২টি তুলনামূলকভাবে অনুন্নত জেলাকে লক্ষ্য করে ২০১৮ সালে চালু করা হয়েছিল এবং বাহ্যিক পরীক্ষা এটাই দেখায় যে, সেখানে উন্নতি হয়েছে।

ভারত ও জি২০

১ ডিসেম্বর, ২০২২-এ, ভারত ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে জি২০-এর প্রেসিডেন্সি গ্রহণ করে এবং ১৮তম জি২০ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। জি২০-এর প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব গ্রহণকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি২০-এর জন্য ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো উল্লেখ করে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। এর কিছু অংশ উদ্ধৃত করা উচিত, কারণ এটি ভারতের উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে। “জি২০-এর পূর্ববর্তী ১৭টি প্রেসিডেন্সি অন্য অনেক ফলাফলের মধ্যে সামষ্টিক-অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য, আন্তর্জাতিক কর আরোপকে যৌক্তিককরণ, দেশগুলোর ওপর আরোপিত ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল এনে দিয়েছে। আমরা এ অর্জনগুলো থেকে উপকৃত হব এবং সেগুলোকে আরও কার্যকর করব।” আমাদের মনে রাখা উচিত, বছরজুড়ে যা ঘটে তার একটি অংশ পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলোর এজেন্ডা বহন করে। “তবে ভারত যেহেতু এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে, আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করি  জি২০ কি আরও এগিয়ে যেতে পারে? সামগ্রিকভাবে মানবতার উপকার করার লক্ষ্যে আমরা কি একটি মৌলিক মানসিকতার পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারি?... এমন একটি ঐতিহ্য, যা ভারতে জনপ্রিয়, পৃথিবীর পঞ্চতত্ত্ব- সব জীবন্ত প্রাণী এবং এমনকি জড়বস্তুকে দেখে, জল, আগুন, বায়ু এবং স্থান এ পাঁচটি মৌলিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হিসেবে। এ উপাদানগুলোর মধ্যে সঙ্গতি আমাদের অভ্যন্তরে এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে, আমাদের শারীরিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি এ সর্বজনীন একত্ববোধের প্রচারে কাজ করবে। তাই আমাদের মূল সুর- ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। আজ আমরা সবচেয়ে বড় যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি- জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ ও অতিমারি- একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে নয়, বরং শুধু একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। সৌভাগ্যবশত, আজকের প্রযুক্তি আমাদের সমগ্র মানবজাতির জন্য সমস্যা মোকাবিলা করার পথও প্রদান করে। আমরা আজ যে বিশাল ভার্চুয়াল বিশ্বে বাস করি তা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাপনযোগ্যতাকে প্রদর্শন করে।” এসডিজিগুলোও একই কথাই বলে। আরও উদ্ধৃতি প্রদান করার জন্য ধারা ২-এ বর্ণিত ভারতীয় সাফল্যের বিষয়ে- “আমরা জাতীয় উন্নয়নকে টপ-ডাউন শাসনের অনুশীলন নয়, বরং একটি নাগরিক-নেতৃত্বাধীন ‘জনগণের আন্দোলন’ হিসেবে সম্পাদন করার চেষ্টা করেছি। আমরা ডিজিটাল পাবলিক পণ্য তৈরি করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি যা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আন্তচালনযোগ্য। এগুলো সামাজিক সুরক্ষা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ইলেকট্রনিক অর্থ প্রদানের মতো বৈচিত্র্যময় ক্ষেত্রগুলোতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি এনেছে। এসব কারণে ভারতের অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য বৈশ্বিক সমাধানের জন্য অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। আমাদের জি২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালে আমরা ভারতের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও মডেলগুলোকে অন্যদের জন্য বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য সম্ভাব্য নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপন করব। আমাদের জি২০ অগ্রাধিকারগুলো কেবল আমাদের জি২০ অংশীদারদের সঙ্গেই নয়, বরং গ্লোবাল সাউথে আমাদের সহযাত্রীদের সঙ্গেও আলোচনা করে গঠন করা হবে, যাদের কণ্ঠস্বর প্রায়শই আড়ালে রয়ে যায়। জি২০-এর অধীনে বেশ কিছু একই ধরনের প্রক্রিয়া রয়েছে। শেরপা ও ফাইন্যান্স ট্র্যাক রয়েছে, যা ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে সহজলভ্য। বেশ কিছু এনগেজমেন্ট গ্রুপ আছে।  শুধু দিল্লিতে নয়, বিভিন্ন শহরে আনুষ্ঠানিক জি২০ বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় প্রেসিডেন্সি জি২০ প্রক্রিয়ার মধ্যে যে অন্তর্ভুক্তিগুলো নিয়ে আসে তার লক্ষণ এটি। হ্যাঁ, ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং অর্জনের প্রদর্শনীও থাকবে। এ অর্জনগুলো এসডিজিগুলোর দিকে, ভারতের জন্য ও বিশ্বের জন্য পদক্ষেপ।

                লেখক : ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনেতিক              উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

সর্বশেষ খবর