শিরোনাম
শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভূমিকম্প

বিজ্ঞানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শ্বাস-প্রশ্বাসে। অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না, তেমনি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব। বিজ্ঞান কোনো আলাদা বস্তু নয়। এগিয়ে চলার নামই বিজ্ঞান, বিশেষ জ্ঞানের নামই বিজ্ঞান, সৃষ্টির নামই বিজ্ঞান। ফলে বিজ্ঞানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সৃষ্টির জন্মাক্ষণ থেকেই। আমাদের মুনি-ঋষিরা ছিলেন বিজ্ঞানের অনুরাগী। শুনলে আশ্চর্য মনে হতে পারে, ধর্মগ্রন্থ যদি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তা হলে দেখা যাবে এর সবকিছুই বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সৃষ্টির জন্ম ধ্বংসস্তূপে থেকেই, ফলে সৃষ্টি ও ধ্বংস পাশাপাশি বিরাজ করছে। ধ্বংসের বিভিন্ন রূপের মধ্যে একটি হলো ‘ভূমিকম্প’। ভূমিকম্পের এক মুহূর্তের নৃত্যে স্তব্ধ হয়ে যায় সৃষ্টি। সৃষ্টিকে তার যাত্রা আবার নতুন করে শুরু করতে হয় সে ধ্বংসস্তূপ থেকেই। প্রকৃতির রাজ্যে বিজ্ঞান অনেক কিছু জয় করে নিয়েছে, তবে সে এখনো নিরুপায় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস প্রদানে। ভূমিকম্প সম্বন্ধে আমাদের অসীম কৌতূহল। ভূমিকম্পের সৃষ্টির উৎস কোথায়? ভূমিকম্পের ঠিক পূর্বে মাটির নিচে বৈদ্যুতিক পরিবহনতা ও ভূ-জলের গভীরতায় কিছু পরিবর্তন ঘটে। তাছাড়া শিলোচ্যুতি বরাবর শিলাস্তরের উত্থান ও পতন ঘটে। তার মধ্যে চাপ ও তাপের তারতম্য ঘটে ভূমিকম্পের ঠিক আগে। ভূমিকম্পের আগে শিলাস্তরের ওপর যে চাপের সৃষ্টি হয় এবং সে চাপ যখন শিলাস্তরের ওপর যে চাপের সৃষ্টি হয় তা যদি আঁচ করে নেওয়া যায় তাহলে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সম্ভবপর হবে।

                আফতাব চৌধুরী

সর্বশেষ খবর