শিরোনাম
শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

লবণসহিষ্ণু ঘাস

গবাদিপশু পালনে উৎসাহ জোগাবে

জলবায়ু পরিবর্তনের অশুভ প্রভাবে দেশের উপকূলভাগে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লবণাক্ত জমি ফসল চাষের অনুপযোগী হয়ে উঠছে অনেক ক্ষেত্রে। একসময় উপকূলভাগের মানুষের অন্যতম পেশা ছিল পশু পালন। জমির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাস এবং খড়ের অভাবে গরু, ছাগল, মহিষ পোষা হ্রাস পেয়েছে। যার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গরু ও মহিষের মাংস ক্রমেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ দুঃসংবাদের অবসান ঘটাতে পারে লবণসহিষ্ণু নতুন জাতের ঘাস। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের গবাদিপশুর জন্য উচ্চফলনশীল ও লবণসহিষ্ণু নেপিয়ার ঘাসের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)। সম্প্রতি লবণসহিষ্ণু ঘাসের জাত বিএলআরআই ঘাস ৫-কে মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। উপকূলীয় অঞ্চলের গবাদিপশুর প্রয়োজনীয় ঘাসের চাহিদা পূরণ করে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রাণিজ পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে লবণসহিষ্ণু এই ঘাসের জাত। এ ছাড়া এই ঘাসের চাষ উপকূলীয় অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে বলে মনে করছেন উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ১৯টি জেলা নিয়ে গঠিত; যা দেশের মোট আয়তনের ৩২ শতাংশ। ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের বসবাস এ অঞ্চলে। জলবায়ু পরিবর্তনের অপপ্রভাবে উপকূলভাগের মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লবণাক্ততার প্রসার উপকূলভাগের মানুষের জন্য নিশ্চিত করছে দরিদ্রতা। নতুন উদ্ভাবিত ঘাস দেশের উপকূলভাগে গরু ও মহিষ পালনে উৎসাহিত করবে। ঘাস উৎপাদন ও গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে বিপুল মানুষ লাভবান হবে। দেশে উন্নতমানের দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস চাষ বৃদ্ধি পেলে অনেকেই গরু ও মহিষ পালনে উৎসাহী হবে। গ্রাম পর্যায়ে গড়ে উঠবে গবাদিপশুর ফার্ম। প্রতিটি পরিবারে গবাদিপশু পালনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর