শিরোনাম
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর স্যালাইন নিয়ে নৈরাজ্য

মনিটরিং জোরদার করতে হবে

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। গত আগস্টেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, যা চলতি বছরে মোট আক্রান্তের ৫৮ ভাগ। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন মোট ৫৯৩ জন, যার ৩৪২ জনেরই (৫৭.৬৭ ভাগ) মৃত্যু হয়েছে আগস্টে। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ তখন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারী করতে।  চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে। ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোনো কারণে হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা দিলে রোগী ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়বে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়বে। ঘাটতি পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর