ভোররাতের আগুনে পুড়ে গেছে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। এ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮টি জুয়েলারিসহ ৪ শতাধিক দোকান। বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটের পর ভোররাতের আগুনে কৃষি মার্কেট পুড়ে ছারখার হওয়ার ঘটনায় এটা নিছক অগ্নিকান্ড না নাশকতা সে প্রশ্নও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষত সংসদ নির্বাচনের সাড়ে তিন মাস আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে স্বার্থান্বেষী কোনো মহল নাশকতার আশ্রয় নিচ্ছে কি না এমন সংশয়ও দানা বেঁধে উঠছে। যেসব মার্কেটে এ পর্যন্ত আগুন লেগেছে সেগুলোতে ভোরের দিকে আগুন লাগার অভিন্নতা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টায় মার্কেটের ডান দিকে এ আগুনের সূত্রপাত। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তাদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দোকান মালিক সমিতি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক। ভয়াবহ এ আগুনে ওই মার্কেটের ১৮টি জুয়েলারি দোকান ছাড়াও কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান পুড়ে গেছে। মার্কেটটিতে ৪ শতাধিক দোকানে কাজ করতেন ২ হাজার লোক। এখানে সবজির পাশাপাশি জুতা, কাপড়, জুয়েলারিসহ অনেক ধরনের দোকান ছিল। মুদি, চাল, তৈজসপত্র, হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক, রূপসজ্জার পণ্যও বিক্রি হতো। শুধু মার্কেটের এক পাশে থাকা মাছ-মাংসের দোকানগুলোয় আগুন পৌঁছাতে পারেনি। এ আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের অগ্নিকান্ড শুধু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নয়, তাদের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের জন্য এক বড় ক্ষতি। আমরা আশা করব অগ্নিকান্ডের কারণ উদঘাটনে যথাযথ তদন্ত করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।