শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের অগ্রগতি

ফিনিক্স পাখির কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী

রূপকথার ফিনিক্স পাখির কথা অনেকেরই জানা। ভস্মের মধ্য থেকে উড়াল দেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল যে পাখি। বাংলাদেশের উত্থানকেও একই অভিধায় তুলনা করা যায়। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্কলারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী সংগত কারণেই বলেছেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষে যে দেশটি ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, যে দেশটির অবস্থান ছিল বিশ্বের সব দেশের পেছনে, সে দেশটি এখন দুই শর বেশি দেশের মধ্যে ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইকোনমিক অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তিনি রাজনীতিতে এসেছেন তাঁর পিতার স্বপ্ন অনুধাবন করে। স্বপ্নটি ছিল বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আমরা এ স্বপ্ন পূরণে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি। ২০২৬ সাল নাগাদ আমরা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা করছি। ২০০৯ সাল থেকে গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কল্যাণে ব্যাপক সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ উন্নতি লাভ করেছে। ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ২০তম অর্থনৈতিক শক্তি। দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২২ সালে এ হার নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। অতিদারিদ্র্যের হার এখন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬০ ডলারে। করোনা মহামারির আগে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশে। করোনা মহামারিকালে যেখানে অন্য দেশগুলোর উৎপাদন কমে যাচ্ছিল, সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এখন প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে। শিল্প খাতে জিডিপি বেড়ে ২২ থেকে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়েছে গত দেড় দশকে। কমেছে শিশুমৃত্যুর হার। লৈঙ্গিক সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। এ অগ্রগতি যে এমনি এমনি আসেনি প্রধানমন্ত্রী তা তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তৃতায়। এ জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণ ও বিচক্ষণ পরিকল্পনাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বলেছেন, তারা যেন জন্মভূমিকে ভুলে না যায়। কারণ জন্মভূমিই আমাদের পরিচয়। বক্তব্যটি প্রাসঙ্গিকই শুধু নয়, তাৎপর্যেরও দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর