রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা

এ অপখেলা বন্ধ হোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বিশ্বকে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার নীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। দৃঢ়ভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে। বাংলাদেশের সংবিধান সবার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। বিগত কয়েক বছরের আন্তসংযুক্ত সংকটগুলোর কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আমদানি বিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকার নিম্ন আয়ের ১ কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনগণকে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে এবং কোনো জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের বিজ্ঞানীরা খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতাসহ বিরূপ আবহাওয়া উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে এ নিয়ে ১৭ বছর বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। বিশ্বসমাজের সামনে তাঁর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী। বিশ্ব আজ যে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করছে তার পেছনে শক্তিধর দেশগুলোর যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার অপখেলা প্রধানত দায়ী। এ অপখেলা বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে ৭০০ কোটির জীবনে বিড়ম্বনা ডেকে এনেছে। বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে কভিড মহামারির মধ্যেও প্রবৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলা এবং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক ধকল সৃষ্টি করেছে তাতে ওই সংকটের কোনো পক্ষ না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। গরিব দেশগুলোয় নেমে এসেছে ক্ষুধা ও বেকারত্বের অভিশাপ। মানবতার স্বার্থেই যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার অপখেলা বন্ধ হওয়া উচিত এখনই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর