শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা

এনামুল হক শামীম এমপি

শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বিশ্বনেতা মানবতার মা শেখ হাসিনা। এই দিনটিকে বাংলাদেশের পুনর্জন্মের দিন বললেও নিশ্চয়ই বেশি বলা হবে না। কারণ, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হতো না, তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পুনরুদ্ধারও ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব। বাংলাদেশ সেই যে ১৯৭৫ সালে পথ হারিয়েছিল, সেই দেশ আর তার আপন পথ খুঁজে পেত না। অন্যভাবে বললে ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে একক নেতা, যিনি সত্যিকার অর্থেই বাঙালির অতি আপনজন। যিনি দেশকে নিয়ে ভাবেন, জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন, দেশের মানুষই তাঁর একমাত্র আপনজন। তার সংগ্রামমুখর জীবন বাংলাদেশেরও উত্থান-পতনের ধারাবাহিতার ইতিহাস। সহজ-সারল্যে ভরা তার ব্যক্তিগত জীবন। পোশাকে-আশাকে, জীবন-যাত্রায় কোথাও কোনো ধরনের বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার ছাপ নেই। এ যেন পিতার মতোই বাংলার মাঠঘাট থেকে উঠে আসা বাংলার মেয়ে। মেধা, যোগ্যতা, সততা, সাহস দিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কবি হাসান হাফিজুর রহমান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ‘আপনিই তো বাংলাদেশ।’ আসলে তিনিই (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ। কারণ তাঁর কারণেই বাংলাদেশের অর্জন এখন সারা দুনিয়ার নজরকাড়া। নজর কেড়েছেন তিনিও। তিনি বিশ্বনেতার তালিকাভুক্ত। জাতিসংঘের অধিবেশন, ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন ও অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করলেই সে চিত্র দেখতে পাই। বিশ্বনেতারা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সম্মান দেখান, তাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে এবং বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করি।

 

সবার মধ্যমণি ছিলেন বদলে দেওয়া বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পর যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে হাঁটছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশের নেতৃত্ব থাকলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে একটি অন্যতম অর্থনীতির দেশ।

জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি আঁধারভেদী আলোকশিখা। বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের আশ্রয়দাতা। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের কোটি কোটি বিপন্ন মানুষের মর্মবাণী আজ উচ্চারিত হচ্ছে তার কণ্ঠে। স্বজন হারানোর চিরবেদনায় কাতর হয়েও তিনি মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার অদম্য পথ চলাই তাকে গন্তব্যের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছে। আমি দীর্ঘদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে থেকে উপলব্ধি করেছি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ভাবনাই তার জীবনের ব্রত।

হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা। শুধু তাই নয়, তাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসারও জোগানদাতা এ বাংলাদেশ। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা ‘মাদার অব হিউমিনিটি’। সরকারি অর্থায়নে পাকাঘরসহ বাড়ি দিচ্ছেন ভূমিহীনদের। যা বিশ্বের নতুন নজির। তবে উন্নয়নের এ মহাসড়কের যাত্রাটা সব সময় কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। এসেছে অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। এসব বাধ-বিপত্তিকে আপনি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন, গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন অদম্য সাহসিকতায়। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করার। আপনি সেই ষড়যন্ত্রের মুখে কুঠারাঘাত করেছেন। জঙ্গির বংশকে করেছেন সমূলে নির্মূল।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মহামারি করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের সময় মানুষের জন্য আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি, খাদ্যের জন্য কখনো কোথাও হাহাকার হয়নি।

জাতির পিতার বীরকন্যা ক্ষমতায় এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব রেখেছেন। যাহার কোনো তুলনা নেই। জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। অভিবাদন।

লেখক : উপমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সাবেক সাংগঠনিক

সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সাবেক ভিপি, জাকসু

সর্বশেষ খবর