শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গুজবের ফাঁদে দেশ

ইবলিশের বরপুত্রদের রুখতে হবে

গুজব রটনাকারী বরাহ শাবকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তারা গুজব রটনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। গুজবকারীরা হয়ে উঠেছে কালোবাজারিদের পৃষ্ঠপোষক। নিত্যপণ্যের সংকটের কল্পকথা প্রচার করে আতঙ্কিত করে তুলছে ভোক্তাদের। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে বিবেকবর্জিতরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য গুজব এখন একাত্তরের পরাজিত শক্তির বশংবদদের মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। মনগড়া তথ্য প্রচারে ব্যবহার হচ্ছে ফেসবুক এক্স তথা সাবেক টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমকে। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েও ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। এসব গুজব অনলাইনে শেয়ার হচ্ছে লাখ লাখ। চায়ের দোকানে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার খোরাক জোগাচ্ছে। সম্প্রতি গুজব প্রচারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আদলে স্ক্রিনশট তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মানুষ সহজেই বিশ্বাস করছে। গুজবের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না রুপালি পর্দার সেলিব্রেটি, ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, দেশে অস্থিরতা তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। অনেকে ভিডিও ভাইরাল করার উদ্দেশ্যেও চটকদার মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ১ হাজার ৮২টি ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল রাজনৈতিক গুজব ২৪৮টি। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ৯২। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জড়িয়ে গত আট মাসে ৭৪টি গুজব ছড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। গুজব রটনাকারীরা মানুষের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক সংঘাত বাধানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গে ইন্ধনও জোগাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করছে। ইবলিশের এই বরপুত্রদের রুখতে আইন প্রয়োগকারীদের সক্রিয় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর