রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে

প্রশাসনের ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ

পণ্যের বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভোগ্যপণ্য আলু, পিঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পিঁয়াজ ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ শতাংশ বেশি দামে। ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও দাম বেড়েই চলছে। সোজা কথায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না বিক্রেতারা। আলু, পিঁয়াজ, ডিমের দাম এরপরও দফায় দফায় বেড়েছে। মাসখানেক আগে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৬৫, আলু ৩৬ এবং প্রতি পিস ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে ওই ঘোষণার পর এক দিনের জন্যও নির্ধারিত দামে এসব পণ্য কিনতে পারেননি ক্রেতারা। বাজারে এখন প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা, দেশি পিঁয়াজ কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করলেও ৪৫ থেকে ৫০ টাকার নিচে কোথাও মিলছে না। সরকারের দাম বেঁধে দেওয়া আরেক পণ্য পিঁয়াজ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি এ পণ্যটির দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালোমানের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পিঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুধু ডিম-পিঁয়াজ নয়, সব ধরনের সবজি ও মাছের দামেও অস্থিরতা রয়েছে। পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি ৬০ টাকা কেজির কমে মিলছে না। বাজার অর্থনীতিতে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা থাকে না। বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। সরকারের যা করা উচিত তা হলো পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি হয় তা রোধ করা। মনোপলির ব্যবসায় বাধা দেওয়া। এ দুটি ক্ষেত্রে কোনো অবদান না রেখে ভোক্তা অধিকারের নামে তথাকথিত অধিদফতর গড়ে তোলা হয়েছে এবং দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার যে ভুল কৌশল নেওয়া হয়েছে, তা সরকারি কর্মকর্তাদের উৎকোচ বৃদ্ধিতে মদদ জোগাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চাইলে কী কী কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে সেখানে হাত দিতে হবে। নইলে তা হবে অন্তঃসারশূন্য কর্মকাণ্ড মাত্র।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর