সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নৈরাজ্যের রাজনীতি কেউ চায় না

দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনুন

নৈরাজ্যের রাজনীতি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কোনো মানুষের কাম্য হতে পারে না। রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর দল-বিশেষের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সে অপচর্চাই দেখল দেশবাসী। সমাবেশের বদলে পুলিশের ওপর বেপরোয়া হামলাকেই কিছু অর্বাচীন যেভাবে করণীয় কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ব্ল্যাক স্যাটার ডে-তে হামলা ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে পুলিশ বক্স। প্রাণ হারিয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য ও গুরুতর আহত হয়েছেন ৪১ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনকেও দুর্বৃত্তরা তান্ডবের লক্ষ্যস্থল হিসেবে বেছে নেয়। অথচ প্রধান বিচারপতি রাজনীতির কেউ নন। এমনকি সরকারের অংশও নন তিনি। রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা রাষ্ট্রের ওপর হামলা তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতারই শামিল। শনিবার রাজনৈতিক পরিচয়ধারী দুর্বৃত্তরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাংবাদিকদের ওপর। সাংবাদিকদের অপরাধ- তারা পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তপনার চিত্র ধারণ করছিলেন নির্মোহভাবে। হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা। সারা দুনিয়ায় যুদ্ধ-সংঘাতেও হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স হামলা থেকে মুক্ত থাকে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সমাবেশের বদলে পরিকল্পিতভাবে সংঘাতে জড়িত হওয়াকে দেশ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত বললেও কম বলা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে শনিবার রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকায় যেভাবে বেপরোয়া হামলা, লুটপাট ও বিপুলসংখ্যক যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই রাজনীতি নয়। এটি সন্ত্রাস ও বর্বরতার অশুভ চর্চা। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও অর্থনীতির জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার এ অপকৌশলে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন যে কোনো মানুষ উদ্বিগ্ন হতে বাধ্য। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার অবতারণা ঘটানো হয়েছে কি না তা তদন্তের দাবি রাখে। যেসব অর্বাচীন কান্ডজ্ঞানহীনতার গড্ডলিকা প্রবাহে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর