রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সোনার ডিম প্রসব

চোর-মহাচোরদের ধরুন

বাংলাদেশে কোনো সোনার খনি নেই। তবে আছে বাংলাদেশ বিমান। বিমানের ফ্লাইট এখন সোনার ডিমও প্রসব করছে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ২৮০টি সোনার বার ও ৬টি সোনার ডিম পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ৩৪ কেজি ৩৫১ গ্রাম। বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। এ ঘটনায় দুবাইফেরত চার যাত্রীকে আটকও করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৪৮ ফ্লাইট থেকে এ সোনার চালান উদ্ধার করা হয়। এনএসআই, কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দার সমন্বিত অভিযানে জব্দ করা হয় ওই সোনা। সকালে দুবাই থেকে ফ্লাইটটি ওসমানীতে অবতরণের পরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। বিমানের চারটি সিটের নিচ ও ওয়াশরুম থেকে ১০টি প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় সোনার বার ও ডিমগুলো উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ বিমান স্বাধীনতার পর থেকে মুনাফার বদলে লোকসান নামের ঘোড়ার ডিম প্রসব করে চলেছে। ১৮ কোটি মানুষের এই দেশের ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশে কর্মরত। তারা দেশে আসা এবং কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানকে বেছে নেয়। কিন্তু বিমানে আরব্য উপন্যাসের ‘থিপ অব বাগদাদ’-এর কল্যাণে লাভের বদলে লোকসান গোনা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সান্ত্বনা, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটগুলো এখন সোনার ডিম প্রসব শুরু করেছে। দেশে সোনার খনি না থাকার যে শূন্যতা তা কাটিয়ে উঠতেই যেন তাদের এই সুপরিকল্পিত প্রয়াস। সোনা চোরাকারবারের ক্ষেত্রে চোরাকারবারিরা সেসব এয়ারলাইনস বেছে নেয় যেগুলোর ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রায় সর্বত্র চোর-মহাচোরদের অবস্থান। আমরা আশা করব আটক বিপুল পরিমাণ সোনা কোনো বাগদাদি চোরের কারসাজিতে উধাও কিংবা পিতলে রূপান্তরিত হবে না। এগুলো সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে জমা হবে। এর সঙ্গে জড়িত বিমানের চোর-মহাচোরদেরও ধরা হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর