রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিঁয়াজে নাভিশ্বাস

দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দুই দিন ধরে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় পিঁয়াজের দাম সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দেশি পিঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি কিংবা তারও ওপরে। ভারতীয় পিঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। এ দাম এক সপ্তাহ আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের পিঁয়াজের বাজারে নজিরবিহীন অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে এখন প্রতি কেজি পাবনার পিঁয়াজ ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা করে বিক্রি হওয়া ফরিদপুরের পিঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০-১০০ টাকা। পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেন, দেশি পিঁয়াজের সিজন শেষ। তাই দাম বেশি। ১৫ দিন পর নতুন পিঁয়াজ আসবে, তখন দাম কমবে। দেশে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানির উদ্যোগ নেয়। তবে সে উদ্যোগ থেমে যায় অদৃশ্য কারণে। আমদানিকারকদের মতে, বাংলাদেশে শুধু ভারত ও মিয়ানমারের পিঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। ফলে মিসর বা অন্য দেশ থেকে আমদানির ঝুঁকি তারা নিতে চান না। পিঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠায় জনমনে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন মূল্যবৃদ্ধিকে অনাকাক্সিক্ষত মনে করছে সরকার। তবে তাদেরও যেন করার কিছু নেই। এর আগে আলু ও পিঁয়াজের দাম সরকার বেঁধে দিলেও কেউ তাতে পাত্তা দেয়নি। সরকার নির্ধারিত দামকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আলু, পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দামে। ভারত চার মাসের জন্য বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে অভ্যন্তরীণ বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। ফলে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশি ভোক্তারা। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পরনির্ভরতা কাটিয়ে দেশে পিঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর