শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোলার গ্যাস ঢাকায়

সাগরসীমায় অনুসন্ধানে জোর দিন

রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার শিল্প-কলকারখানার গ্যাস সংকট নিরসনে গতকাল থেকে ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদিত গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে সরবরাহ শুরু হয়েছে। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি সিএনজি আকারে গ্যাস সিএনজিতে সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে। প্রথম ধাপে চার-পাঁচ মাস পর্যন্ত দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রূপান্তর করে তা ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এক বছরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। মূলত গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলীকরণ করে তা ভোলা থেকে ঢাকায় পরিবহন করা হবে। জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সঞ্চালন লাইন না থাকায় ভোলা থেকে উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহন করে শিল্প-কারখানায় সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো কোনো গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস সিএনজি করে শিল্পে সরবরাহ করা হচ্ছে। সিএনজি আকারে এই গ্যাস এনে শিল্পে ব্যবহার করায় তা শিল্প খাতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিল্প-কারখানায় বর্তমানে পাইপলাইন থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস দেওয়া হয় ৩০ টাকায়। আর সিএনজি স্টেশন থেকে পরিবহনে গ্যাস বিক্রি হয় ৪৩ টাকায়। ভোলার গ্যাস সিলিন্ডারে করে কারখানায় পৌঁছে দেওয়া হবে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায়। বাংলাদেশে চাহিদার তুলনায় জ্বালানির উৎপাদন খুবই কম। তেল, গ্যাস, কয়লার ওপর পরনির্ভরতার কারণে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। এক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের স্থলভাগে গ্যাসের বড় কোনো মজুদ পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে সাগর প্রান্তের অনুসন্ধানের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সাগর প্রান্ত থেকে গ্যাস না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলনের ওপর নির্ভর করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর