বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশে অঢেল সম্পদ

অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করুন

সংসদ নির্বাচন কমিশনে নির্বাচন প্রার্থীরা তাদের সম্পদের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে আমজনতার অবস্থা ভিরমি খাওয়ার মতো। এমনিতেই আমাদের জাতীয় সংসদ কোটিপতিদের সংসদ বলে পরিচিতি লাভ করেছে ১৯৯১ সালের পর থেকে। এখন তাদের মধ্যে শত কোটি এবং হাজার কোটি টাকার মালিক কতজন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি ‘নির্বাচনি হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে-

তাঁদের কাছে প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে। ওই মন্ত্রী তাঁর হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের ব্যাপারে তথ্য দেননি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে। সেগুলোর মূল্য ১৬ দশমিক ৬৪ কোটি পাউন্ড বা ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। ওই মন্ত্রী ২০১০ সালে প্রথমে একটি কোম্পানি খোলেন, যার বর্তমান সম্পদ মূল্য ১ দশমিক ৭৩ কোটি পাউন্ড। এরপর ২০১৬ সালে খোলা আরেকটি কোম্পানির সম্পদ মূল্য ৭ দশমিক ৩১ কোটি পাউন্ড। ২০১৯ সালে খোলা কোম্পানির বর্তমান সম্পদ মূল্য দশমিক ৭৯ কোটি পাউন্ড। তিনি ২০২০ সালে চতুর্থ কোম্পানি চালু করেন, যার সম্পদ মূল্য ২ দশমিক ১৫ কোটি পাউন্ড এবং ২০২১ সালে পঞ্চম ও ষষ্ঠ কোম্পানি খোলেন, যেগুলোর বর্তমান সম্পদ মূল্য ৩ দশমিক ২২ কোটি পাউন্ড।

টিআইবি তাদের রীতি অনুযায়ী ওই মন্ত্রী যেহেতু নিজে তার তথ্য গোপন করেছে সেহেতু তা উল্লেখ করেনি। তবে তারা বলেছেন সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ যদি টিআইবির কাছে তথ্যসূত্র জানতে চায়, তাহলে তারা তথ্যপ্রমাণসহ তা দেবেন। সোজা কথায় টিআইবি যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে তা হলো তাদের তথ্যের সুস্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য ভিত্তি রয়েছে। বলাই বাহুল্য বিদেশে যারা ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনি হলফনামায় যিনি তথ্য গোপন করেছেন তিনি ঠিক কাজটি করেননি। এ অর্থ দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে বলেই তথ্য গোপনের কসরত চলেছে। আমরা চাই বিদেশে পাচারকারী তা সে যেই হোক তার মুখোশ উন্মোচন হোক। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর